পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“SЗо পক্ষে ৪ তাহা আইনসঙ্গত। ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ না-করিয়া বা না-করাইয়া যে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন হয়, আইন দ্বারা বা চুক্তি ও বাটোয়ারা দ্বারা তাহ বন্ধ করা যায় না। মিঃ জিন্না ও অন্য অনেক মুসলমান ও অনেক হিন্দু যে পরিচ্ছদে ও অন্য কোন কোন বিষয়ে পাশ্চাত্য কালচার’ ও "সভ্যতার” নিকট আত্মসমপণ করিয়াছেন, সে স্থলে সংথ্যাগরিষ্ঠ কোন সম্প্রদায় তাহদের উপর তাহা চাপায় | মুসলমান শাসনকাল হইতে আরম্ভ করিয়া হিন্দু ও মুসলমান কালচ্যারের সংমিশ্রণ ঘটিয়াছে। এখন আবার পাশ্চাত্য কালচ্যারের সহিত হিন্দু ও মুসলমান কালচ্যারের মিশ্রণ ঘটিতেছে। অবশু, ইহার একটা কারণ, এক সময়ে মুসলমানরা ভারতবর্ষের অনেক অংশে প্রভুত্ব করিত এবং এখন ইংরেজরা করে । কিন্তু পাশ্চাত্য নানা দেশে এখন যে ক্রমশ: লোকদের উপর ভারতীয় অাদর্শ ও সংস্কৃতির প্রভাব বাড়িয়া চলিতেছে এবং আগে যে চীন কোরিয়া ও জাপানের উপর তাহ পড়িয়াছিল, রাষ্ট্ৰীয় প্ৰস্থৰ তাহার কারণ নহে ; কারণটি ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যেই অন্তর্নিহিত আছে । হিন্দু রাজা না হইয়াও যদি অতীতে মুসলমানকে প্রভাবিত করিয়া থাকে, এখন যদি করিতেছে, বা ভবিষ্যতে করে, তাহা মিঃ জিন্নার বা মোসলেম লীগের ভাল না লাগিলে উপায় কি? কোন আইন, চুক্তি বা সৰ্ত্তের দ্বারা ইহা নিবারিত হইবে না। মুসলমানদের সমষ্টিগত স্বতন্ত্র রাষ্ট্রনৈতিক অস্তিত্ব মিঃ জিন্না ভারতবর্ষীয় মুসলমানদের সমষ্টিগত স্বতন্ত্র রাষ্ট্রনৈতিক অস্তিত্ব চান। কিন্তু অন্ত কোন দেশেই কোন সংখ্যালঘু জনসমষ্টিরই এরূপ স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকৃত হয় নাই, বা সেরূপ স্বতন্ত্র অস্তিত্বের ব্যবস্থা করা হয় নাই। সংখ্যা"দের ভাষিক, ধাৰ্ম্মিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষা করাই লীগ অব নেশুন্সের প্রভাবে সংখ্যালঘুদের স্বাণরক্ষার্থ ব্যবস্থিত সন্ধিগুলির (Minority Guarantee Treatiesএর ) উদেপ্ত। পাশ্চাত্য রাজনীতিজ্ঞেরা ও লীগ অব 5ল সংখ্যাগরিষ্ঠদের রাষ্ট্রের মধ্যে সংখ্যালঘুদের রাষ্ট্র স্বষ্ট্রির (creation of a State within a State-gā ) বিরোধী। কিন্তু মিঃ জিন্ন তাহাই চাহিতেছেন। একটি সম্প্রদায়ের আলাদা রাষ্ট্রনৈতিক অস্তিত্ব স্থাপন ও রক্ষার চেষ্টা করিলে সেই সব সম্প্রদায়ের দ্বারা দেশের স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্ট হইতে পারে না ; তাহারা নিজেদের দলগত সাধারণ সাংসারিক স্থবিধাই দেখিবে। ব্যক্তিগত বা দলগত *डिलाङ**न लद्देश यांशत्र वाख, श्रमन लुशत्र डाहारनत्र কৰ্ম্ম নয়, সাধ্যও নয়। ՏՎՅEՅ মিঃ জিন্না বলিয়াছেন, ভারতীয়েরা যাহাতে আপনাদিগকে কেবল পৌরজন (citizen) মনে করিতে পারে, এইরূপ মনোভাব জন্মান আমাদের কৰ্ত্তব্য । রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে ইহাই যে আদর্শ তাহাতে সন্দেহ কি ? কিন্তু আলাদা আলাদা । সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রনৈতিক প্রতিষ্ঠান থাকিলে তাহ কিরূপে । সম্ভব ? তিনি আরও বলিয়াছেন, যে, নিজ নিজ সম্প্রদায়কে বলিষ্ঠ করিতে চেষ্টা করা অপরাধ নয়, যদি তদ্বারা দেশের । স্বাধীনতা লাভের ব্যাঘাত না-হয়, এবং অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষতি না-করা হয়। কিন্তু মোসলেম লীগের মত সাম্প্রদায়িক সমিতির দ্বারা স্বাধীনতা লাভের ব্যাঘাত হইয়াছে ও হইবে, এবং মুসলমানের সংখ্যা অনুসারে ন্যায্য পাওনা অপেক্ষা বেশী যাহা পাইয়াছেন, হিন্দুদের ক্ষতি করিয়া তাহ র্তাহাদিগকে দেওয়া হইয়াছে ।

পাটনায় প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলন ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে খ্ৰীষ্টিয়ান সম্প্রদায়ের পর্ব উপলক্ষে ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষের সৰ্ব্বত্র ছুটি থাকে। সেই ছুটির সময় প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের আগামী অধিবেশন পাটনায় হইবে । সরকারী বিহার প্রদেশের মধ্যে বাংলাভাষাভাষী লোকদের বাসভূমি অনেক অঞ্চল অন্তভূক্ত হওয়ায় ঐ বিহার প্রদেশে বহু লক্ষ বাঙালীর বাস। ইংরেজ । রাজত্বের আরম্ভের আগে হইতেই বাংলার সহিত বিহারের শাসনসম্বন্ধীয় যোগ ছিল। ইংরেজশাসনকালে সেই যোগ ১৯১১ সাল পর্য্যস্ত বজায় থাকে । এই কারণে খাস বিহারে বিস্তর বাঙালী বিষয়কৰ্ম্ম উপলক্ষে যাইতে থাকেন। তাহদের অনেকে পুরুষানুক্রমে তথায় বাস করিতেছেন। নূতন করিয়া বিহারে বাঙালীর গমন ও তথায় বসবাসও এখনও চলিতেছে । এই সকল কারণে শিক্ষিত, সন্ত্রান্ত ও সঙ্গতিপয় অনেক বাঙালী সরকারী বিহার প্রদেশে বাস করেন। শিক্ষা ও সংস্কৃতি, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনুশীলন, বাংলা সাহিত্যের সম্পদ বৃদ্ধির চেষ্টা, কৰ্ম্মদক্ষতা এবং আর্থিক সামর্থ্য-প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের অধিবেশনকে সাফল্যমণ্ডিত করবার নিfমত্ত যাহা কিছু আবখ্যক, বিহারের বাঙালীদের ভাল আছে । সরু মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ কৃতবিদ্য, কুঞ্জ ও সন্ত্রান্ত ব্যক্তিদিগকে লইয়া যে অভ্যর্থনা-সমিতি গঠিত হইয়াছে, তাহার দ্বারা কাৰ্য্যটি স্বসম্পন্ন হইবে বলিয়া নিশ্চিত আশা কর। যাইতে পারে। উপসমিতিগুলিও স্ববিবেচনা পূরক গঠিত হইয়াছে। মহিলা-বিভাগের গঠনও বিবেচিত হইয়াছে। ডক্টর প্রশাস্তকুমার সেন মহাশয়ের পত্নী প্রভৃতি বহুমহিলা তাহার সদস্য নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন।