পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8之 હવાનો ১৩৪৪ বলিল—তুমি বাবার কোলে ব'সো-আমি তোমাদের বাতাস করি। বিশ্বনাথ একটু স্থস্থ হইলে মা প্রশ্ন করিলেন—টাকাটা বুঝি প্রজাদের কাছে আদায় ক’রে নিয়ে এলি ? -- গেলেই, তাগাদ করলেই, আদায় হয় বাবা ; আমি কত বার বলি তোমাকে, তা-তুমি কানেই তোল না। ও টাকাটা আদায় হলেও ত মাসে দশ-বার টাকা আসে । বিশ্বনাথ হাসিয়া বলিল—ম্যাড, ম্যাড, মাদার তুমি ম্যাড। মা হাসিয়া বলিলেন—তোর কি হাসি-তামাশার সময়অসময় নেই রে! / বিশ্বনাথ বলিল—পাগল; পাগল, তুমি পাগল তাই বলছি! লোকে কখনও পাওনা দেয় । বিশেষ খাজনা ! ওই রামনগরের কাঠওয়ালাকে চারটে তালগাছ বেচে দিলাম—তিন টাকা ক’রে—বার টাকায়। মায়ের মুখ আবার গম্ভীর হইয়া উঠিল, একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া তিনি উঠিয়া দাড়াইলেন। বলিলেন— বেীমা বিশুকে তেল দাও গো ! বাণী তখন আব্দার ধরিয়াছে—বাব একটা গল্প বল। খুব ভাল গল্প ! —আঁচছা ! —বল না—হঁ্যা ! –এই একদিন মা আমি গিয়েছিলাম নদীর ধার দিয়ে বেড়াতে। শীতকাল, চাষীরা সব সরষে বুনেছে, সরষের গাছ হয়েছে। হঠাৎ মা, কোথা থেকে একটা ইয়া বড় বাদ চলে এল। হালুম করে আমাকে ধরে আর কি ! - বাণীর মুখ ভয়াতুর হইয়া উঠিয়াছিল, সে বলিল—কত বড় বাঘ বাবা ? -4हैं मैड ब$ ! अभि श्राव्र कि कत्रि, कव्रजाम कि ভাড়াতাড়ি একটা সরষে গাছে উঠে পড়লাম । —আর বাঘট| ? —বাঘট| সেই গাছতলাতেই দাড়িয়ে গর্জাতে লাগল, লাফাতে লাগল। এমন সময় মা, আকাশের ওপর থেকে সৌ ক’রে ঝাপ দিয়ে পড়ল একটা চড়ুই পার্থী, ব্যাস বাঘটাকে ছে| দিয়ে নখে ক'রে তুলে নিয়ে চলে গেল। আর আমি সেই চড়ুই পার্থীটার পাথার বাতাসে তুল ভেঙে ধপাস ক’রে মাটিতে— বুঝলে কিনা— । সঙ্গে সঙ্গেই সে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভঙ্গীতে মাটির উপর ধপ করিয়া পড়িয়া চোখ বিস্ফারিত করিয়া অদ্ভুত ভঙ্গীতে মেয়ের দিকে চাহিয়া রহিল । - বাণী সে ভঙ্গী দেখিয় খিলখিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। তাহার স্ত্রী আসিয়াছিল তেল দিতে এবং অত্যন্ত গম্ভীর ভাবেই সে আসিয়াছিল, সে পৰ্য্যন্ত তাহার ঐ ভঙ্গী দেখিয়া না হাসিয়া পারিল না। বিশু আবার আরম্ভ করিল—বুঝলে মা, আমি পড়ে গিয়ে ভাবছি কি করে উঠব। এমন সময় কোথা থেকে বেরিয়ে এল এক পরী: হাতে তার তেলের বাট ! বাণী সবিস্ময়ে বলিয়া উঠিল—পরী ! —স্থ্য মা, পরী—এই চুল পড়েছে পা পৰ্য্যন্ত, এই সুন্দর নাক—এই পটল-চেরা চোখ, গোলাপফুলের মত রং– । —পরী কি বললে বাবা ? —বললে ?—আমাকে আমনি করে বসে থাকতে দেখে মুখ বেঁকিয়ে বললে—মরণ আর কি ! মা আবার বাহির হইয়া আসিয়া বলিলেন—আৰ মেয়ে নিয়ে খেলা করতে হবে না বিশু, ওঠ—উঠে স্নান ફે, ভাত খা ! বাণী বলিল—তার পর বাবা ! —তার পর এই ম্যা কুতু—কুতু—! কৗতুকুতুর ভয়ে বাণী পলাইয়া গেল। বিশ্বনাথ তেল মাখিতে বসিল ।

  • 臀 *

সন্ধ্য হইতেই দিবানিদ্র সারিয়া, বিশ্বনাথ উঠয়। নিজেই চায়ের জল গরম করিতে বসিল । চা খাইয়া আবার সে গাড়ীখানা বাহির করিয়া রওনা হইল থিয়েটার-ক্লাব অভিমুখে । ক্লাবে তখনও সকলে জমায়েত হয় নাই, সদ্যপ্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত কয়েকটি অন্নবয়সী ছেলে হারমোনিয়াম ও ডুগি-তবলা লইয়া নিদারুণ অসঙ্গতির সহিত সঙ্গীতের শ্রাদ্ধ করিতেছিল। বিশুদাদাকে দেখিয়া তাহার। উৎসাহে উৎকট ভাবে চীৎকার করিয়া উঠিল । * - বিশ্বনাথ আকস্মিক কোন একটা যন্ত্রণায় কাতর হইয়৷ | \ –