পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্যের মূলতত্ত্ব শ্ৰীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় 3. টিফিন-পিরিয়ডের ঘণ্টাখানেক পরে বাংলার পণ্ডিত দেবকণ্ঠ বাৰু অমুস্থ হইয়া বাড়ী চলিয়া গেলেন। একেবারে অভাবনীয় সৌভাগ্য । সেকেণ্ড পণ্ডিতের কোষ্ঠীতে যে আবার অস্থখে-পড়া লেখা আছে, যত দূর মনে পড়ে সাত-আট বৎসরের পাঠ্য-ক্ষ্মীবনে এ অভিজ্ঞতা জামাদের এই প্রথম । তাও এমন স্থবিবেচনার সহিত অস্থথে পড়া যে মনটা আপনি কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত হইয়া পড়ে। আজি সপ্তম ঘন্ট। অর্থাৎ শেষ ঘণ্ট। ছুটি, – হেডপণ্ডিত মহাশয়ের অ্যাডিশন্তাল ক্লাস, তিনি বোসপাড়ায় শ্রাদ্ধ করাইতে গিয়াছেন। এখন দুইটি ঘণ্ট। একসঙ্গে ছুটি পাওয়া বাইবে । সেকেণ্ড পণ্ডিত মহাশয়ের এই একটি দিনের দুবিবেচনার জন্য আমাদের বরাবরের পুঞ্জীভূত আক্রোশ একেবারে ধুইয়া মুছিয়া নিঃশেষ হইয়া গেল। পঞ্চম ঘণ্টার পরে আমরা সব ফাষ্ট ক্লাসের ছেলেরা ধু যতদূর সম্ভব বিষন্ন করিয়া আপিস-ঘরে হেডমাষ্টারের &ছে গিয়া উপস্থিত হইলাম। মুখপাত্র হিসাবে আমি সট। যতটা পারা গেল অন্ধকার করিয়া বলিলাম, “স্তার, সেকেও পণ্ডিত মহাশয়ের ক্লাস’...।” “হ্যা, ঠিক, মনেই ছিল না ; কখনও তো পড়েন না ভদ্রলোক অমৃখে কিনা...তাই তো। আবার হেডপত্তিত মহাশয়ও গরহাজির, তিনি থাকলেও বা তোমাদের বাংলাটা পড়িয়ে দিতে পারতেন।” হেডমাষ্টার মহাশয়ের দুশ্চিন্তায় আমরা মুখটা আরও বিবর করিবার চেষ্টা করিলাম। আমার নিজের মুখের কথা বলিতে পারি না, তবে দেখিলাম এইরূপ অমানুষিক চেষ্টার ফলে, কৃত্রিম বিষণ্ণতার পাশে ভিতরের অকৃত্রিম পুলক ঠেলা মারিয়া আসিয়া, হরার মুখটা এমন বকৃত করিয়া দিয়াছে যে দেখিলে না-হাসিয়া থাকা দুষ্কর হইয়া পড়ে। বলিলেন, বিলাস ত বাংলার শোকে ফোস করিয়া একটা দীঘশ্বাসই ফেলিয়া বসিল। ওর নিয়ম, সকলে কি করে সেটা প্রথমে লক্ষ্য করবে, তাহার পর সকলের উপর টেক্কা দিয়া একটা কিছু করিবে । घरब्र दग्निप्राझिरजन ¢नरद७ भाडेॉब्र, cभोजदौ गाँप्रद ** কেরানী অটল বাৰু। হেডমাষ্টার বলিলেন, “অটলবাবু, তাহলে আপনিই না হয় ।” “আমায়ই যেতে হবে ?” বলিয়া দলটির পানে মুখ তুলিয়া চাহিতেই তাহার চোখ পড়িল হেডমাষ্টারের চেয়ারের পিছনে বলাইয়ের উপর ; সে প্রবল মিনতির সঙ্কেতস্বরূপ কোলের কাছে হাত দুইটি একত্র করিয়া ঘষিতেছে । অটলবাবু ঠোটে একটা হাসি চাপিয়া মুখ ঘুরাইয়া “যেতে আপত্তি নেই, তবে মাইনের বিলটা তাহলে কাল তোয়ের হওয়া মুস্কিল - বড় কাটাকাটি কিনা এ-মাসে**** হেডমাষ্টার ব্যস্তভাবে বলিলেন, “ন, না, তবে থাক, পরশু ইনস্পেক্টর আসবে, ঠিক সময় মাইনে পাই নি সব দেখলে আবার..." অটলবাবু একবার বলাইয়ের দিকে চাহিলেন, সে সঙ্গোপনে অঞ্জলিবদ্ধ হাতটা তুলিয়া, আর ওদিকে মাথাটা একটু নামাইয়া কৃতজ্ঞতা জানাইল । হেডমাষ্টার বলিলেন, “তবে আর উপায় কি ? তোমরা মাও। চুটি তো খোজোই সব। একটু ক্ষতি হ’ল, তা মার্ক বাংলা ত ?” অস্বাভাবিক বিষন্নতায় দম বন্ধ হইয়া যাইতেছিল যেন, ঠেলাঠেলি করিয়া দুয়ারের ভিতর দিয়া বাহির হইতেছি এমন সময় বিলাস হতভাগা বাদ সাধিল । উদেইসিদ্ধি ত হইয়াই গিয়াছে, ফাকতালে খানিকটা মুশ অর্জন করিয়া