Ա-Ե প্রবণসী ১৩৪৪ লইবার জন্য মুখট। আবার এক চোট বিষণ্ণ করিয়া লইয়া মুরুবিয়ানা চালে বলিল, “নেহাৎ উপায় নেই তাই, নইলে বাংলা কি আর তাচ্ছিল্য করবার জো আছে স্যার ? কি রকম ফেল করছে আজকাল বাংলাতে! বরং আজ হুেভপণ্ডিত মশাই আসেন নি, যদি দুটো ঘণ্টাই বাংলা ই'ত'-বাঙালীর ছেলে হয়ে ..” কয়েক জন একসঙ্গে বিলাসের জামার খুঁট ধরিয়া টানিলাম। সে থামিল বটে, কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যাহা হইবার হইয়া গিয়াছে। হেডমাষ্টার একটু চিন্তিত ভাবে মাথা নাড়িলেন, তাহার পর বলিলেন, “তা বলেছ ঠিক । . তাহলে ?” আমরা সবাই শ্বাসরুদ্ধ করিয়া দাড়াইয়া পড়িলাম । চিস্তিত ভাবে মাথা নাড়িতে নাড়িতে হেডমাষ্টার হঠাৎ মাথা তুলিয়া সেকেণ্ড মাষ্টারের দিকে চাহিলেন, একটু হাসিয়া বলিলেন, “এই ত কালীবাবু রয়েছেন। কি মশাই, আপনার মতে তো ম্যাথেমেটিক্স-জানা লোকের কিছু আটকাবার কথা নয়। দেখবেন নাকি একবার চেষ্ট করে ? আপনার এ-ঘণ্টা ত ফুরসংও আছে।” পিছনে বিলাসের চারি ধারে দাতে দাত ঘষার একটা *क चांeब्रांख इड्रेल। ८ट्छमाछेत्र मशअञ्च चूत्रिग्न চাহিতেই হরা সঙ্গে সঙ্গে মুখটা প্রসন্ন করিয়া লইয়া বলিল, “ভাহ’লে বেশ হয় স্যার ” সেকেও মাষ্টার মহাশয়ের চেহারাট বেশ মনে আছে। মোটাসোটা দীঘর্ণকৃতি পুরুষ। দৰ্প, প্রসন্নতা এবং দাড়িতে ভরা মুখমণ্ডল ; দেখিলে ভয়, শ্রদ্ধা এবং *****fथ नउ श्हेंग्रां यादन । नदर्दनाङ्के डॉल कब्रिग्रा कांल्ला এবং ইঞ্জি-করা একটি কামিজ গামে। গলায় কোচন চাদর, দুই কাধের উপর দিয়া বুকের মাঝামাঝি আসিয়া *झियाप्छ, उशिरड दिशाल वकटिक खात्र€ विश्रांज चत्रिग्र বোধ হইত। মাষ্টার মহাশয়ের একট অভ্যাস ছিল প্রায়ই চাদরের কোচন প্রাস্ত দুইটি দুই হাতে মাঝামাৰি অনিয়া তাহাদের মুখ মিলাইয়া আবার ছাড়িয়া দিতেন। বোধ হয় কোন দিকে বেশী কোন দিকে কম ঝুলিয়া থাকা তিনি সহ করিতে পারিতেন না। জিনিষটাকে আমরা মাষ্টার o -- اختی-تی মহাশয়ের ম্যাথেমেটিক্যাল জিম্ন্যাসটিক্স বা অঙ্কের কসরং বলিতাম । এই অঙ্কই ছিল তাহার দপ। দপের মূলে ছিল দুইটি কথা । এক, তাহার নিজের । শক্তির উপর প্রবল আস্থা—অবহু শক্তিও ছিল অবিসংবাদিত; আর দ্বিতীয়, শাস্ত্রটার উপর তাহার অটুট নিষ্ঠ। সেকেণ্ড মাষ্টার বলিতেন, সমস্ত স্বষ্টিট বিধাতার কষ। একটা অঙ্ক মাত্র। আমাদের ধৰ্ম্মে যে বলে এটা তাহার ধ্যানের পরিণাম একথাও যেমন ভুল, খ্ৰীষ্টান মতের খামখেয়ালী ইচ্ছার থিয়োরিটাও ঠিক তেমনি ভুল। তার যে বলে-ভগবান বলিলেন জল হোক আর অমনি জল হইল, একথার কোন মানে হয় না । গণিতধৰ্ম্মী হষ্টির কোন গাণিতিক প্রয়োজনের জন্তই ভগবানকে জল স্বজন করিতে gছয়ছিল এবং তা করিতে হইয়াছিল নিখুঁত আঙ্কের হিসাবে যথাপরিমাণে অক্সিজেনের সহিত যথাপরিমাণ হাইড্রোজেন মিশ্রিত করিয়া। এতে যদি একটুও ভুল হইত ত ধানই বল কিংবা খামখেয়ালী ইচ্ছাই বল—মাথা খুড়িয়া মরিলেও জলের জন্ম হইত না । স্বষ্টির মূলতত্ত্ব গণিত বলিয়া মাষ্টার মহাশয়ের মতে এর সব রহস্যের কুলুপই এক গণিতের "মাষ্টার-কী’ বা রাম-চাৰি দিয়া খোলা যায়। ধৰ্ম্ম—অঙ্ক, गलौउ-षश् ; इंख्शिन, দর্শন—অঙ্ক, ব্যাকরণ—অঙ্ক •• আজ টিফিন-পিরিয়ডেই একচোট ঘোর তৰু ছয় গেল। সেকেণ্ড মাষ্টার মহাশয় বুকের উপর চাদরের দুই প্রান্ত মিলাইয়া ধরিয়া বলিতেছিলেন, “অঙ্কের ভিতর কি নেই মশাই ? আর অঙ্কের বাইরে আছেই বা কি ? নিউটন অঙ্কের একটি খুঁট ধ’রে টান দিলেন,-সামান্ত একটি ফল-পড়া নিয়ে গ্রহনক্ষত্রের গতিবিধির সারা রহন্ত ফরফর করে বেরিয়ে এল। আপনারা কালিদাস কালিদাস করেন, ভাবলাম একবার দেখাই যাক না ব্যাপারটা কি। সেদিন মেঘদূত পড়ছিলাম,--ভেবে সারা হচ্ছিলাম আপনারা ওতে ভাবে এলিয়ে পড়বার মত কি পান এত । ও ত একেবারে খাটি অঙ্কের হিসেব—কি রেটে গেলে, কোথায় থামলে কোন সময়ে কি ব্যাপারটি প্রত্যক্ষ করতে করতে যাবে তার নিক্তি দিয়ে ওজন করা হিসেন ।
