পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պo প্রবাসী ՏNՉՅՅ অনাথ চুপ করিয়া রহিল। সেকেণ্ড মাষ্টার চারি দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া পিছনের বেঞ্চে ভবেশের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিলেন, “তুমি, কবি ?” rf ভবেশ কবিতা লেখে বলিয়া একটু বিশেষ ভাবে সেকেও মাষ্টারের লক্ষ্যস্থল। বলিল, “আজ্ঞে, সপ্তদশ শতক !” “उl ख् श्tदं ; সতর শতাব্দী না হয়ে যায় কোথায় ?...আবার সপ্তদশ শতক –ভাষার জলুণ দেখ না! তুমি যে এর মধ্যে শতদল’ কি কিশলয়’ এনে ফেল নি এই আমার বাবার ভাগি ! তুমি, শৈলেন ?” বলিলাম, “অষ্টাদশ শতাব্দী স্যার।” “কেন বলতে পার ?—এদিকে ত শতাব্দী হ’ল কি ক’রে ? রহস্যটা জানা ছিল না, চুপ করিয়া রহিলাম। “তোমরা বাপু এসেছ মহাকাব্য পলাশীর যুদ্ধ পড়তে, অথচ এদিকে ১৭৫৭ কোন সেনচুরি হ’ল জান না ; যদিই বা জান এক আধজন তো কি ক’রে হ’ল বলতে পার না। তোমরা কাব্যটার কি ছাই রস গ্রহণ করবে শুনি ?” আমরা লজ্জায় সকলে অধোবদন হইয়া বুছিলাম ; গণকে লজ্জায়, অনেকে আবার পরস্পরের পানে আড়চোখে চাহিবার সুবিধার জন্ত । “হয়েছে, আর লজ্জা দেখাতে হবে না, লজে পাবার কথাত বেচারী নবীন সেনের, তোমাদের মত পাঠকের ধতি পড়ে যার নাকালের অন্ত নেই....ীশুখ্ৰীষ্ট কত দিন পূৰ্ব্বে জন্মেছিলেন বলতে পারেন বলাইবাৰু ?” बनाई *tथांद्र छिद्र निरक চাহিয়া রহিল। "ভূমি, অনাথ ? ইংরেজী এটা কত সাল ?” “উনিশ-শ বার স্যার। “তা ट्' ंव्ल f" “উনিশ-শ বার বছর পূৰ্ব্বে জন্মেছিলেন স্যার ” “অর্থাৎ—” চকখড়িট হাতে লুকিতে লুফিতে মাষ্টার মহাশয় উঠিলেন এবং বোর্ডে গিয়া পড়িয়া পড়িয়া লিখিলেন, “উনিশ-শ বার মাইনাস উনিশ শ বার-ইজ ইকওয়াল টু জিরে, অর্থাৎ ?...” - S on 6 on s१4१, अछेॉन" সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে আবার ক্লাসের দিকে চাহিলেন। সকলেই হতভম্ব হইয়া গিয়াছিলাম, তাহার দৃষ্টি এড়াইয়া বোর্ডের ১৯১২–১৯১২র বিয়োগ-ফল শূন্তটার পানে শূন্তনেত্রে চাহিয়া রহিলাম । সেকেণ্ড মাষ্টার মহাশয়—বোধ হয় কাব্যটা অঙ্কের জটিলতা অবলম্বন করিতেছে দেখিয়া প্রসন্নভাবে স্মিতহাস্য করিলেন, তাহার পর শূন্তটার দিকে তর্জন নির্দেশ করিয় বলিলেন, “অর্থাৎ এই জিরো হ’ল ষ্টার্টিং পয়েণ্ট—এইখান থেকে হিসাবের স্বরু—অর্থাৎ—?” আমরা ক্রমেই ঘৰ্ম্মাক্ত হইয়া উঠিতেছিলাম। যাহার একটু আধটু বুঝিতে গুছিলাম সাহস করিয়া উত্তর দিতে পরিলাম না। মাষ্টার মহাশয় আরও প্রসন্নতার সহিত হাস্য করিলেন । “অর্থাৎ এই শূন্য থেকে এক-শ বছর পর্যন্ত হ'ল প্রথম সেনচুরি, এক-শ থেকে দু-শ বছর হ’ল---” প্রায় সমস্ত ক্লাস হইতে মুক্তকণ্ঠের একটা আওয়াজ উঠল, “দ্বিতীয় সেনচুরি স্যার ।” “বুঝেছ ত ?” বিলাস বলিল, “একেবারে জল হয়ে গেছে স্যার।" “টুকে নাও।” একথাটা মাষ্টার মহাশয়ের একটা মুদ্রাদোষ দাড়াইয়া গিয়াছিল—প্রতিদিন পাচ-ছয় পিরিয়ড করিয়া অঙ্ক কৰাইতে কষাইতে । টুকিবার কিছু না থাকিলেও আমরা খাতার উপর একটু পেন্সিল চালাইয়া—, অতঃপর কি বলেন শুনিবার জন্য আবার মাষ্টার মহাশয়ের দিকে চাহিলাম । মাষ্টার মহাশয় বলিলেন, “তোমরা যুদ্ধের কাহিনী পড়তে যাচ্ছ—কিন্তু জেনে রেখে কাব্য পড়া মাত্রই একটা যুদ্ধ করা —শুধু কাব্য বলি কেন, যে-কোন জিনিষ পড়াই যুদ্ধ করা। কোন একটা জিনিষ বোঝা মানে সেই জিনিষটাকে আয়ত্ত করা অর্থাৎ জয় করা । তোমরা এক্ষেত্রে নবীন সেনের কাব্য পলাশীর যুদ্ধ’ আয়ত্ত করতে যাচ্ছ, তার রস উপলব্ধি করবে বলে, এই ত ? এই যে কাব্যের বিরুদ্ধে বিজয়-অভিযান এতে তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র থাকা চাই তো ? এখন, সে-অন্ত্র কি ?...তুমি ? তুমি ? ভবেশ ?”