পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ প্রবণসী ১৩৪৪ প্রাচীন “মারু" অর্থাৎ জমিদারদের সথের বজরা জুলতে লাগল। জাহাজ ডাঙার থেকে স’রে যাচ্ছে, ফিতার বাধনে টান পড়ছে। তীরের বন্ধুরা যেন বিরাট জাহাজটাকে সমুদ্রে ঘুড়ির মত ওড়াচ্ছে, জাহাজ যতই দূরে স’রে যায় ততই তারা লাটাইয়ের স্বতার মত ফিতার পাক খুলে খুলে দেয়। লাটাইয়ের স্বতে দিয়ে আকাশের ঘুড়ি যেমন মাটির মানুষের সঙ্গে বাধা থাকে, তেমনই ফিতা যতক্ষণ আলগা 75ই চলল ততক্ষণ ডাঙার বন্ধুর। সমুদ্রযাত্রী বন্ধুদের বেঁধে ধরে রাখল। ষে ফিতার দৈঘ্য শেষ হয়ে যায়, জাহাজের টানে পট করে সেটা ছিড়ে যায়, সে বন্ধুর মায়ার বন্ধন কেটে 6** I Gकडे बl cदमै खे९नाश् द'cद्र ७को किङांद्र মুখে আর একটা ফিতার শেষ বেঁধে তাকে দ্বিগুণ লম্বা ক’রে তুলছিল। কিন্তু এক এক করে সব বন্ধনই টুটে গেল, জাহাজ তীরের মায়ামুক্ত হয়ে সমুদ্রে পাড়ি দিল, তাকে আর পিছু ডাকা গেল না। বন্ধুদের হস্তচু্যত ফিস্তাগুলি জলে ভেসে ভেসে জাহাজের সঙ্গে চলল। মনে করেছিলাম এইবার বুঝি সবাই ঘরে ঢুকবে। কিন্তু কারুর সে-র কম উৎসাহ দেখা গেল না। অৰ্দ্ধচন্দ্রের মত বোম্বাই শহর সমুদ্রকুল ঘিরে রয়েছে, তাঁর ঘেসে জাহাজ চলেছে, সবাই সেইদিকে তাকিয়ে আছে । হঠাৎ দেখি, গুটি পাঁচ-ছয় জাপানী মহিল| তিন-চারটি বাচ্চাকাচ্চ ও একজন ভদ্রলোককে সঙ্গে ক’রে মোটর গাড়ীতে এসে হাজির। এটাও ডকের মত দেখতে । এর এক জায়গায় বিদায়ু-পৰ্ব্ব শেষ ক'রে আর এক জায়গায় বন্ধুদের আবার দেখতে এসেছে। এ ধানেও সেই ফিতা ছোড়া, কিন্তর জাল বোন । কচি কচি ছেলেরাও ঘুড়ির মৃ তার মন্ত ক’রে ফিতা টানতে লাগল। সব ফিতার বাধন শেষ করে জাহাজ একটা একটা ক’রে লক-গেট পার হয়ে চলল। শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়াতে বোম্বাইএর শেষ দুখ আর দেখা হ’ল না। কেবিনে ঢুকে শুয়ে পড়লাম। আমাদের কেবিনের নম্বর ২৭ ছিল। কিন্তু জাহাজের থোলে ঢুকেই চারটে দিকু এমন একরকম লাগত যে প্রথম দিন কতবার যে আমি কেবিন ও পথ ভুল করেছি তার ঠিক নেই। রবিবাবুর প্রথম সমুদ্ৰ-যাত্রার মত কাও আৰও করিনি, কিন্তু সেটা নেহাৎ অদৃষ্ট স্বপ্রসন্ন ছিল বলে। প্রথম দিন চাবি দিয়ে পরের কেবিন খুলতে খুব চেষ্টা করেও যে খুলঙে পারি নি তার কারণ চাবিট। তাতে লাগল না। কেবিন-বয় আমার অবস্থা বুঝে ঠিক পথটা আমায় দেখিয়ে দিতে এল । তার কথাও ভাল ক’রে না বুঝে এক মনে চাৰি ঘোরাচ্ছি, হঠাৎ চোখে পড়ল –ওমা এ মে ২৪ नषत्र घ्। ছেলেমাহুষরা বোধ হয় সব জিনিষ তাড়াতাড়ি নে । আমার মেয়ে এক মুহূৰ্ত্তেই জাহাজের পথঘাট অপিন্ধি সব চিনে ফেলল। কোন ঘরে কে কে থাকে সব তার গ্রন্থ। আমাদের সামনের কেবিনে দুটি আমেরিকান মহিলা ছিলেন। তারা এই দেশেই শিক্ষয়িত্রীর কাজ করেন, চুটিতে বাড়ী যাচ্ছিলেন । একটি মহিলা এমন রোগ যে স্তার এক পাটি দাত ছাড়া আর কিছু প্রায় চোখে পড়ে না। দেখলেই হাসতেন, কিন্তু কথা খুব কম বলতেন । পাশের কেবিনে একটি সাহেব ছোকরা থাকত। সে যাচ্ছিল হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। বেচারীর অবস্থা বড় কাহিল। খাবার টেবিলে তার সঙ্গে বসতেন পাচটি