পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লজ্জাবতী গাছের টবের কণার উপর সাদা রঙের শুয়োপোকাগুলি চক্রাকারে ঘুরিতেছে। ইহার মথ-জাতীয় এক প্রকার কাল রঙের প্রজাপতির বাচ্চ । প্রজাপতি পাতার গায়ে একসঙ্গে ১০।১৫ হইতে ২০২৫টা পৰ্য্যন্ত ডিম পাড়িয়। রাখিয়া যায়। দশ-বার দিন পরে ডিম ফুটিয়া ছোট ছোট শুয়োপোক বাহির হইয়। একসঙ্গেই অবস্থান করে। একএকটা গাছে এরূপ পাচ-সাতটা হইতে বিশটা পৰ্য্যস্ত বিভিন্ন দল দেখিতে পাওয়া যায় । ইহার দলবদ্ধ ভাবেই গাছের পাতা খাইয়। নিঃশেষ করিয়া দেয়—কখনও দলছাড়া হইয়া ইতস্ততঃ ছড়াইয়৷ পড়ে না । খুব ছোট অবস্থায় যখন এক ডাল হইতে অন্ত ডালে যাইবার প্রয়োজন হয় তখন মাকড়সার মত মুখ হইতে স্থত। বাহির করিয়া ঝুলিয় পড়িয়া অন্যত্র যায়—সকলেই একসঙ্গে স্থত। ছাড়িয়া কতকটা জালের মত যাতায়াতের রাস্ত স্বষ্টি क८व्र दब्लैिब्र छयज्छक्र बहेब *** ना । गङएखड़े अछख शिग्रा ७कमात्र छड़ इक्वेड श्रोत्र । গাছপালা-বিবজ্জিত একটা পাথরের বেদীর উপর কোন কারণে ছোট্ট একটি গাছসহ টব রাখা হইয়াছিল। একদিন সকালবেলায় দেখা গেল—সেই সিমেন্টের মেঝের উপর দিয়া দূর হইতে প্রায় দশ-বারটা সাদা বঙের শুয়োপোকা পিপড়ের মত সার বাধিয়া অগ্রসর হইতেছে। আশেপাশে গাছপালা নাই—ইহার কোথ৷ হইতে আসিল ? আর এদিকেই বা অগ্রসর হইতেছে কেন ? ইহাদিগকে লক্ষ্য করিয়া এরূপ ভাবিতেছি, দেখিতে দেরিতে তাহারা আসিয়া টবটার পাশে উপস্থিত হইল। কিছুক্ষণ থমকি৷ দাড়াইবার পর লাইনটা যেন কতকটা ছত্রভঙ্গ হইয় পড়িল—কেহ লক্ষ লক্ষ লেমিংস্-এর মৃত্যু-অভিযান কেহ এদিক-ওদিক একটু ঘুরিয়া, কেহ কেহ বা মাথা উচাইয়া কিছু যেন অনুভব করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল । বোধ হয় উহারা টবের উপরের গাছটার গন্ধই পাইয়াছিল। কারণ খানিক বাদে দেখা গেল উহারা আবার পূৰ্ব্বের মত লাইন করিয়াই টবের গা বাহিয়া উপরে উঠতে লাগিল । টবের কানার প্রায় দেড় ইঞ্চি নীচে মাটির মধ্যে গাছটি জন্মিয়াছিল। শুয়োপোকাগুলি একে একে উপরে উঠিয়াই টবের গোলাকার কানার উপর দিয়া ঘুরিতে লাগিল । কারণ গোলাকার রাস্তার আর অস্ত পায় না। এদিকে পাতার গন্ধ পাইয়াও বুঝিতেছে খাদ্যবস্তু অতি নিকট ; কারণ ইহারা গাছের পাতা খাইয়াই জীবন ধারণ করে । এদিকে রাস্তাও ফুরায় না । গোলকধাধায় পড়িয়া একই রাস্তায় বার-বার ঘুরিয়া মরিতেছে—ইহা বুঝিবার মত বুদ্ধিও ইহাদের নাই। প্রায় সমস্ত কানাট জুড়িয়াই ইহার। চলিতেছিল। মাঝে একটু ফাকও নাই যাহাতে অগ্রগামী একটু এদিক-ওদিক মাথা ঘুরাইয় অবস্থা তদারক করিতে পারে—কেবল একে অন্যকে অনুসরণ করিয়া চলিয়াছে। বিরাম নাই, বিশ্রাম নাই—তাহাতে আবার অনাহার। একদিন একরাত্রি চলিয়া গেল—তখনও দেখি সেই অগ্রগতির বিরাম নাই । এরূপ অবস্থায় পাচ দিন পাচ রাত্রি অতীত হইল।