পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৪ সরে পড়বার ফুরসহ নেই । জীবধর বলতে লাগল—এ কি আরম্ভ করেছ, বাবা ? এক মায়ের পেটে না জন্মেও কানাই আর আমি চিরকাল ভাই ভাই ছিলাম । ক’খুচি আউশ ধান সব যে বরবাদ ক’রে দেয়— সুন্দ আকাশ থেকে পড়ল। —কি হয়েছে সর্দার-খুড়ে ? জীবধর বলল—সে কি ? তুমি জান না কিছু ? কাছারি থেকে ডেকে পাঠিয়েছিল। নায়েব বললেন—কে এসে নাকি নালিশ ক'রে গেছে। তুমি যে সেদিন কি সব ব’লে গেলে,—আমি ভাবলাম, তুমিই বুঝি খবর দিয়ে এসেছ ! নন্দরাম বলল—কি সৰ্ব্বনাশ, আমি খবর দিতে যাব ! তাতে ক্ষতিটা আমার না আর কারও ? অন্যায় ভ হচ্ছেই, খবর দেবার লোকের অভাব কি ! কে গিয়ে লাগিয়ে এসেছে। তার পর উৎসুক কণ্ঠে বলল—কিন্তু বিচারটা कि इ'ज, खुनि– জীবধর চিস্তিতভাবে বলল—বিচার হয় নি এখনও। একটা কিছু হবেই ত, তাই আরও ভাবনা লেগেছে। আমি দেখছি, জেতার চেয়ে আমার হারই ভাল। একবার ইচ্ছে হ’ল, চেপে যাই। কিন্তু রাজ-কাছারিতে দাড়িয়ে সবটাই *'লে আসতে হ’ল। কাল কানাইকে ডেকে পাঠাবে শুনলাম ।

    • निन गडाडे कौनाङ्केटब्रव्र छांक इत्न । किरत्र ७ल, भूत्र বলি সুখ । নন্দ মুখ কাচুমাচু করে বলল—খবর কি, বাবা ? खउर्जा इरख्न चाक्कि।

श् िहि दरब झन्ड शनरड दांनाई बटाटा* আবার কি হবে ঘোড়ার ডিম। নায়েবের "*** *प्य óन, नशन आज़ाड़े कि आiत्र बाज़ाङ्के *"* "*" | बन !“औद६टबद्र स्रावांब्र काञ्चनांखिहै। cनश्र । খবর পেয়েছে, কাছারিতে ম্যানেজার এসেছে—তাড়াতাড়ি তার কাছে সাতখানা ক’রে লাগান হয়েছে। অারে বাপু, ম্যানেজার এর করবে কি ? ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে গেলে হয় কখনও ? নায়েব তাই আরও রেগে গেছে। উক্ষ মুখে নন্দ বলল—হ’ল কি ভাই বলে— কানাই সগৰ্ব্বে বলতে লাগল—নতুন আবার হবে কি। নায়েব বলে দিয়েছে, ধান আমার পাওন | প্রবাসী ১৩৪৪ কিন্তু নায়েব য'-ই বলুন এবং কানাইয়ের সঙ্গে তার ঘে-প্রকার রফাই হোক, ম্যানেজার উপস্থিত থাকায় শেষ পৰ্য্যস্ত হুকুম সম্পূর্ণ উন্ট রকম হয়ে গেল। ধান পাবে জীবধর, এমন কি কানাইয়ের দশ টাকা ফেরতও দিতে হবে না, গরুকে এতদিন যা খাইয়েছে, তাতেই টাকার শোধ হয়ে গেছে। হুকুমটি এখনও জানাজানি হয় নি। তেঘরার গাঙে নৌকা-বাইচ ছিল। এই বাইচের বড় নামডাক, যে দল জেতে তাদের পিতলের ঘড়া বখশিশ দেওয়া হয়। জীবধর দুলিকে নিয়ে বাইচ দেখতে গিয়েছিল। কাছারির নকুল-বরকন্দাজও গিয়েছিল সেখানে ; সেই চুপি চুপি জীবধরকে হুকুমের কথাটা বলল। দুলি আর বেশীক্ষণ থাকতে দিল না ; কেবলই বলে—বাড়ী চল, বাড়ী চল— বাড়ী এসে খবরটা ঢাক পিটিয়ে জাহির করে নন্দরামের সামনে দিয়ে জাক ক’রে বেড়িয়ে আসবে—এই তার মতলব । বাপে মেয়েয় ফিরছে। সন্ধ্য। গড়িয়ে গেছে। বাড়ী যাচ্ছে, তা ছলি যেন নাচতে নাচতে চলেছে। দেহাতির চরের কাছাকাছি এসে বলল—চল না বাবা, ক্ষেত্তের দিক দিয়ে ঘুরে যাই একটু— - —উ হু, রাত্তির বেলা জীবধর মাথা নাড়ল । কিন্তু কে কার কথা শোনে ! কানাই মেদিন মান খাওয়াবার চুক্তি ক’রে নিয়েছে, সেই দিন থেকে জুলি নেতৃমুখো হয় নি। আজ সে কিছুতে শুনল না। জীবনকে এক রকম জোর ক’রে নিয়ে চলল। গেয়োবনের মধ্যে যেন কিসের আওয়াজ। দুলি স্থাক দেয় কে ? কোন সাড়া নেই, চারিদিক চুপচাপ। জুলি বলে—বাবা, মানুষ অাছে ওখানে— জীবধর বলে— আছে, আছে । মাছ ধরছে কারা 'আরে আরে চললি ঐ জঙ্গলের মধ্যে ম্যাচ ম্যাচ ক’রে ? এমন ডাকাত মেয়ে দেখি নি ত! জঙ্গলের মধ্য থেকে দুলি চীৎকার আরম্ভ করেছে—বাৰা দেখ–দেখসে এসে গয়লার কাও । আমি তখনই জানি— জীবধর গিয়ে দেখে, চোর বামালমৃদ্ধ ধরা পড়েছে। হাতে কোদাল, কোদাল দিয়ে নন্দরাম বাধ কাটছিল। আর