পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক বাদাম, আমোদ-প্রমোদ সবের ভার লইয়াছে রাষ্ট্র। চার দিনের খাটুনির পর শ্রমিকের এক দিন পুরা মজুরীতে অবসর লাভ। আর সেই অবসরের দিনকে বিচিত্র উপায়ে শিক্ষা ও আনন্দপ্রদ করিবার জন্য রাষ্ট্র ও সমাজের কি বিপুল চেষ্ট, কি ব্যগ্র আয়োজন । জাৰ্ম্মানীতে রাষ্ট্র নর্ডিক জাতির প্রতিভূ, রুশিয়াতে রাষ্ট্র মানবজাতির প্রতিভূ। কুশিয়ার কার্য্যকলাপে তাই এখন কোন ঈর্ষা, বিজিগীষা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাই । অাছে একটা ধৈর্ষ্য ও করুণা যাহা রুশ ইতিহাস বিশ্বমানবের জন্য যেন ক্রশের মত বহন दद्रिव्राप्छ । * যুগে যুগে কত সভ্যতা, কত রাষ্ট্র পৃথিবীর ইতিহাসে কত না উজ্জল লিপিতে তাহার বাণী লিথিয়া গিয়াছে। কিন্তু সে বাণী মহামানবের ত হয়ই নাই, সমাজের বা জাতির বাণী না হইয়া সেই দেশের সেই যুগের কোন সম্প্রদায় বা শ্রেণীর বাণী হইয়াছে। তাই সে বাণী অক্ষয়ত লাভ করিতে পারে নাই। রুশিয়ার বাধ্যতামূলক শিক্ষার আয়োজনে, তাহার বৃহৎ শিল্প ও বৈদ্যুতিক প্রতিষ্ঠানে, তাহার অাট, সাহিত্য ও অবসর-বিনোদনে আমরা একটা বিরাট কৃষক-সমাজের অভিনব স্ফৰ্ত্তি দেখিতে পাই । আর কোন শ্রেণী বা সম্প্রদায় এখানে নাই, কৃষক ছাড়া। কৃষক প্রকৃতির সহিত মানুষের সংগ্রামের রূপক ; এবং শিল্পী, ব্যবসায়ী, এনজিনিয়ার, রাষ্ট্রিক, সকলেই তাহারই সেবায় রত, কৃষি-সমৃদ্ধির পরিপোষক। রুশ রাষ্ট্র সুবকের মনোময় রূপটি অবলম্বন করিয়া আজ বিশ্বের বাণী বহন করিতেছে, তাহ শ্রমের বাণী, শ্রম অস্বীকার ও অপরের শ্রমলব্ধ ফলাদায়ের বাণী নহে, তাহা শাস্তির বাণী, জাতিতে জাতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিত ও সংঘর্ষের বাণী নহে, তাহ বিজ্ঞানের বাণী, বস্থঙ্করার লুক্কায়িত সম্পদ উদ্ধার করিয়া মানুষের কল্যাণনিয়োগের বাণী । রুশিয়া ও জাৰ্ম্মানীর রাষ্ট্র, বিপরীত তত্ত্ব ও আদর্শ অনুধাবন করিলেও তাহাদিগের মধ্যে একটা সমতা তবুও লক্ষিত হয়। এই সমতা এক দিকে যেমন দুই দেশের ভব্যিংকে অনিশ্চিত রাথিয়াছে, অপর দিকে বিশ্বের গ্রগতিকেও ক্ষুঃ করিতেছে। জাৰ্ম্মান ও রুশ রাষ্ট্র উভয়ই এখন দুই দেশে এক রাজনৈতিক দলের করায়ত্ত। প্রজা (t রুশিয়া ও জাৰ্ম্মানী تي تح তন্ত্রের সম্যক্ প্রতিষ্ঠা তখনই যখন দেশের রাষ্ট্রক মত গড়িয়া উঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন মতের ঘাতপ্রতিঘাতে, তাহাদিগের সামঞ্জস্য বিধানে। পৃথিবীর ইতিহাসে ইংলণ্ডই সত্য সত্যই সম্যক ভাবে এই হিসাবে প্রজাতান্ত্রিক। যে রাষ্ট্রক আবহাওয়ায় একের অধিক রাজনৈতিক দল পুষ্টিলাভ করিতে পারে না, সে আবহাওয়া আপাত স্বাস্থ্যকর হইলেও অচিরেই যে ঘোর অনিষ্টকর ও অসহ্য হইতে পারে, ইহার খুবই সম্ভাবনা। তখন জাৰ্ম্মানীর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের তৈয়ারী অতিদৃঢ় রাষ্ট্রের ভিত্তি নিনিল হইয়া যাইবে, রুশিয়ার বলশেভিক দলের বিশ্বমানবিক আদেশ অতি হেয় ও সংকীর্ণ হইয়া পড়িবে। এ ভয় যে অমূলক নহে তাহ জাৰ্ম্মানী ও রুশিয়ার কয়েকটি ঘটনা সম্প্রতি প্রমাণ করিয়া দিয়াছে । কিন্তু এ ব্যাধি জগতের যুগ-ব্যাধি। উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে রাষ্ট্র ছিল বিজিগীষু, ভূমণ্ডলগ্রাসী ; বিংশ শতাব্দীতে সেই বিজিগীষা জাগিয়া রহিয়াছে কোথাও নগ্ন মূৰ্ত্তিতে, কোথাও বা অর্থ নৈতিক আধিপত্যের আবরণে ; সব দেশে রাষ্ট্রের বিপুল ঐশ্বৰ্য্যে, তাহার অন্তর্জাতিক দ্রোহিতায় । যত কাল বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এত প্রবল থাকিবে ভূত কালই দেশে দেশে রাষ্ট্র জাতীয় শক্তির পূর্ণ আধার ও । আশ্রয় হইয়া সমাজ ও সভ্যতা যে পরিমাণে অন্তর্জাতিমুখী তাহার ব্যত্যয় ঘটাইবে। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রের পরজাতিবিমুখ আচরণ, শিক্ষা ও দীক্ষা অস্তজাতিক সংঘর্ষের কারণ। যতই এই সংঘর্ষ বাড়িতে থাকে ততই আবার রাষ্ট্রের প্রতিপত্তি বাড়ে। সমস্ত বিশ্ব এখন এই কাৰ্য্য-কারণের বিপাকে পড়িয়ছে, এবং ইহার ফলে আরও কত কাল যে দেশে দেশে রাষ্ট্রক আদর্শের সঙ্গে বিশ্বমানবের অাদর্শের - ?वश्रद्रौडा ८तथा धाडेटव डाशब इंघड नाडे । शृथिवीप्ड ৰত কাল রাষ্ট্ৰীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা জাগ্রত থাকিবে তত कालझे যে যে দেশ, যেমন ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মানী বা রুশিয়া, বিশ্বমানবের শিক্ষা ও আচরণের ভার এখন লইয়াছে, তাহারা উহাদিগের অন্তজাতিক শক্তির পূর্ণ ব্যবহার করিতে পারিবে না, বিশ্বের প্রগতি ও নানা বাধার মধ্য দিয়া অসমতালে চলিতে থাকিবে। • নিউ-ইয়র্কের পথে