পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=iडिन्क কলির মেয়ে বড় মেয়ে পূর্ণিমার গত বৎসর মাত্র বিবাহ হইয়াছে, প্রথম পূজার তত্ত্ব, ভাল করিয়া না করিতে পারিলে ৰ থাকিবে না। কিন্তু করেন কোথা হইতে ? নিজের বন্ধুর বাপ-মায়ের ত চোখের চামড়া নাই, কানের রিও নাই বলিয়া মধ্যে মধ্যে সন্দেহ হয়। কথা শুনাইতে স্বরবালা ক্রটি করেন না । কিন্তু এই তিন বৎসরের তর মেয়ে আটক করিয়াও ত কিছু আদায় করিতে রিলেন না ? কোনও মতে মেয়েকে একখানা ডুরে শাড়ী = জামাইকে অতি সাধারণ ধুতি-চাদর পাঠাইয়া তাহারা ভ দারিয়া দেয় । তিনিও ভেমনি, যতদিন না হাড়-বিপ্লন ছদে ভাল করিয়া তত্ব সাজাইয়া পাঠাইবে, ততদিন --দীকে বাপ-মায়ের ছায়াও তিনি মাড়াইতে দিবেন না। ৰাজ বেয়ানের চিঠির মৰ্ম্ম শুনিবা মাত্র তাহার হাড়ের ৮ভর পর্য্যন্ত জালা করিতে লাগিল। তাহাকে উহারা বোকা পাইয়াছে বটে। অমুখ শুনিলেই তিনি এনি মেয়ে পাঠাইয়া দিলেন আর কি ? স্বনয়নী যাহাতে লে করিয়া শুনিতে পায় এমনই জোর গলায় কতকগুলি reবাণ বর্ষণ করিয়া তিনি কাৰ্য্যান্তরে চলিয়া গেলেন। z ভছারা ভাল করিয়া তত্ত্ব করে তাহা হইলে সেই-সব sরদপত্র লইয়া তাহার নিজের তত্ত্ব পাঠানোর দায়ও -নেকখানি উদ্ধার হইয়া যায়। না-হয় মিষ্টি দই প্রভৃতি পড় কিনিয়া দিলেই হইবে। এ এমন কিছু নূতন ব্যাপার ছেলের বিয়ের পাওনা দিয়া মেয়ের বিয়ের কাজ উদ্ধার g ত সনাতন পদ্ধতি ? দুনয়নী দাড়াইয়া চোখ মুছিতে লাগিল। শাশুড়ীকে , ভাল রকমই চেনে, তাহার যে কথা সেই কাজ। এ ,ae তাহাকে ইহারা তাহা হইলে বাপের বাড়ী যাইতে দবেন না। কতকাল সে বাপ-মা ভাই-বোন কাহারও মুখ দেখে নাই। এখানে ত সে জেলের কয়েদীর মত .াকে। তাহার হাটিবার চলিবার বা কথা বলিবার wiধীনতাটুকুও নাই। দু-বেলা দু-মুঠা খায় এবং সারাদিন থাটে । আকাশের রং যেন কষ্টিপাথরের মত কালে হইয়া wদিতেছে, স্থনয়নীর বুকের ভিতরটাও যেন এমনই অন্ধকার । エラ হঠাৎ সদর দরজায় ধাক্কা পড়িল, স্থনয়নী বুঝিল হেমেন্দ্র বাড়ী ফিরিয়াছে। তাড়াতাড়ি চোখমুখ ভাল করিয়া মুছিয়া ফেলিল, সহানুভূতি যেখানে কিছুই নাই বা মুখের কথায় শেষ সেখানে নিজের দুঃখ জানাইতেও লজ্জা হয় । । হেমেন্দ্ৰ আসিয়া ঘরে ঢুকিল। জুতাজোড় খুলিতে খুলিতে বলিল, “বাবাং, খুব বেঁচে গেছি। আর দু-মিনিট হলেই ভিজে চুপচুপে হয়ে যেতে হত।” স্বনয়নী সে কথায় কোনও মন্তব্য না করিয়া বলিল, “চা আনব নাকি ?” স্ত্রীর গলাটা কেমন যেন ধর-ধরা, চট করিয়া ঘরের আলোটা জালিয় দিয়া হেমেন্দ্র স্বনয়নীর দিকে চাহিয়া দেখিল, চোখেমুখে স্পষ্ট অশ্রুজলের চিহ্ন। জিজ্ঞাসা করিল, “কি হ’ল আজ আবার ?” স্ত্রী বলিল, “কিছু হয়নি, আমি চ নিয়ে আসছি,” বলিয়া সে বাহির হইয়া গেল। এ-বাড়ীতে স্বরবালার অখণ্ড প্রতাপ, ইটালীতে মুসোলিনীরও ইহার চেয়ে বেশী ক্ষমতা আছে কিনা সন্দেহ। তিনি যে ফতোয় জারি করেন, তাহার বিরুদ্ধাচরণ কেহ মনে মনে করিলেও তাই রাজদ্রোহ বলিয়া পরিগণিত হয়। পাচ বৎসর এ-বাড়ীতে বাস করিয়া স্থনয়নী ইহা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়াছে। sा जात्र खजशादाब खङ्काईय़ा जईश cग बाहिब इर्देश আসিল। উনানটা এখনও ভাল করিয়া ধরে নাই, তাড়াও কিছু নাই। কেহ আজ রাত দশটার আগে ভাত খাইবে না, কাজেই রাত আটটা-নয়টার আগে ভাত চড়াইবার প্রয়োজনই নাই। - ঘরে ঢুকিয়া দেখিল, তাহার স্বামী কাপড়-চোপড় বদলাইয়া আরাম করিয়া ইজি-চেয়ারে বসিয়া সিগারেট টানিতেছে। পাশের ছোট টিপয়টার উপর চা ও খাবার নামাইয় রাখিয়া হনয়নী বলিল, “এখনই আলে। জাললে কেন ? মা বকবিকি করবেন না ?” হেমেন্দ্র মোহনভোগের প্লেটটা তুলিয়া লইয়া খাইতে আরম্ভ করিল, বলিল, “তুমি দরজাটা ভেজিয়ে দাও না, ম। অত বাইরের থেকে বুঝতে পারবেন না।” স্ননয়ন দরজ ভেজাইয়া দিয়া চুপ করিয়া জানালার পাশে গিয়া বসিরা রহিল। SS *