পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তর সংখ্যা ] · नांठाईब्रा कश्रिणम, “4ष्ठ मांन-शTांन रुद्ररङ निर्थाण কোথা থেকে বেীমা, সেভ আমি ভেবেই পাচ্ছি না। তোমাকে যখন তোমার বাবা দান করেছিল সে কথা ত ভুলে যাইনি, তোমার বাপ ত একটা হওঁকী দিয়ে তোমায় উচ্ছ,গ করেছিল। দানের ঘটা কি কেবল এই গরীবের উপর দিয়েই চলবে। তবু যদি ছ থানা সানা দানা পরে অসিতে বাছ, বলিয়া তিনি আর একদফা হাসিতে সুরু করিলেন। এতবড় কদৰ্য্য উপহাসের জালা, ঐ অতটুকু ছেলে শিবু, সেও বরদাস্ত করিতে পারিল দুগ্ধ আরও কি বলিতে যাইতেছিলেন অকস্মাং শিশিরকেবারে “চোপরাও বলছি” বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল। সে বালক হইলেও মায়ের অপমানের তীব্রত যে কতখানি তাহা সম্যক্ উপলব্ধি করিয়াছিল। সে একেবারে পাগলের মত হইয়া গেল এবং পরক্ষণেই রান্নাঘরের বেড়া হইতে একখানা বাকারি ভাঙ্গিয়া বুদ্ধাকে তাড়া করিয়া যাইতেই, রাজলক্ষ্মী নিজে সামলাইয়া এবং ধমক দিয়া উঠিলেন, “শিবে, দস্তি কোথাকার, তোর এতখানি দুঃসাহস হয়েছে ?” দীনতারিণী ওখান হইতে কহিলেন, “হ’বে না কেন বাছা! যেমন শিক্ষেীক্ষে তেমনই ত হ’বে ।" রাজলক্ষ্মী একথায় কানও দিলেন না। দ্রুতপদে শিবুর সম্মুখীন হইয়া, তাহার হাতের বাথারীথান ছিনাইয়া লইয়া সপসপ, করিয়া ঘা কতক বসাইয়া দৃঢ় স্বরে কহিলেন, “থাক কাণ ধ’রে দাড়িয়ে হতভাগা পাজী কোথাকার ” অকস্মাৎ ঠাকুরমার স্নেহ মমতা যেন উছলিয়া উঠিল। তিনি বধূকে সম্বোধন করিয়া কঠোরস্বরে কহিলেন, “আমার ছেলের গায়ে তুমি হাত তুলতে কে ? তোমার আম্পৰ্দ্ধা ত বড় কম নয়!” বলিয়াই নাজীর হাত ধরিয়া এক টান দিয়া কছিলেন, “চ’লে আয় তুই ওর সমুখ থেকে।” শিবু কিন্তু এতখানি সহানুভূতির পরও এক পা নড়িল না। বৃদ্ধাকে এক ঝাপটায় সরাইয়া দিয়া মায়ের আদেশ পালন করিতে ঠিক তেমনি ভাবেই দাড়াইয়া রহিল। ঠাকুরমা বিরক্ত হইয়া কহিলেন, “তোর কপালে আছে অশেষ লাঞ্ছনা। নইলে তোরই বা মা ম'রে যাবে কেন ? আর তুই—” শিবু কটমট করিয়া বুদ্ধার মুখের দিকে তাকাইল, সেই দিকে দৃষ্টি পড়িতেই তিনি রষ্ট হইয়া কছিলেন, “আচ্ছা বাছা, তুমি ওর কাছে ব'সেই কাটালাৰি খাও, আমি যদি কথাটি বলি ত আমার অতিবড় দিব্যি রইল, হ্যা।” ছেলেকে আঘাত করিয়া রাজলক্ষ্মী যেন পুড়িয়া যাইতেছিলেন। বৃদ্ধ চলিয়া যাইতেই তাছার মাথাটাকে বুকে টানিয়া ভগ্নকণ্ঠে কছিলেন, "বড ড লেগেছে না রে শিৰু! শিৰু তড়া করিয়া উঠিয়া কছিল, “ন—কিছু লাগেনি ত, যা।" রাজলক্ষ্মী তাহার মাথাটাকে বুকে চাপিয়া رسمی জা’ত-রক্ষা : లిఖి ফেলিলেন। পরে চোখ মুছিয়া কছিলেন, “মাচ্ছ, শিবু, তোর এই সৎমা যদি মরে যায়, তুই কি করিস্ ? খুব কাদিস বুঝি নারে ?” শিৰু কঁাদ কাদ হুইয়া কহিল, “অম্নি ভাবে যদি তুই বকৃবি আমি যেখানে ইচ্ছ চলে যাব, তখন দিনরাত্তির কেঁদেও কুল পাবিনে, সে-কথা যেন মনে থাকে।” মা একটুখানি হাসিয়া কহিলেন, “মুখে বললেই কি জার মরুতে পারা যায় রে, সে পুণ্য—” ছেলে মায়ের মুখে হাত চাপ দিয়া কহিল, “ফের ঐ কথা রাফুলী, বলিতে বলিতে তাহার দুই চক্ষুতে অশ্রু টল টল করিতে লাগিল। মা স্নিগ্ধ হাস্তে কহিলেন, “আচ্ছা, আচ্ছা আর কখনও বলব না, তোর এ মা তোকে রেখে কোথাও যেতে পারবে না ; বুলি, বাবা।” রাজলক্ষ্মী ছেলেকে দুই হাতে বুকে চাপিয়া ধরিলেন। শিবু মায়ের বুকে মুখ লুকাইয়া আস্তে আস্তে কহিল, “ওসব শুনলে আমার কত কষ্ট হয় জানিস্, তৰু তুই বলবি।” মা ছেলের মাথাটাকে তেমনি বুকে রাখিয়া উদাসভাবে চাহিয়া রহিলেন। এই স্নেহের স্পর্শে তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ যেন জুড়াইয়া দিতে লাগিল। মনে হইতে লাগিল, এই চরম মুখ, এর চেয়ে বড় কামনার বস্তু নারীর আর কিছুই নাই। শুধু এইটুকুর লোভে সে সমস্ত লাঞ্ছনা, গঞ্জন, হাসিমুখে সহ্য করিতে পারে। ছেলে মায়ের বুকের ভিতর মুখ লুকাইয়া কছিল, “মা ওদের কি হবে ?” ম। আশ্চর্ঘ্য হইয়া কছিলেন “কাদের কি হবে রে ?” শিৰু হাসিয়া বলিল, “তোর যদি কিছু মনে থাকে ? সত্যি মা ওরা যে তাহ’লে আজও না খেয়ে থাকৃবে।” রাজলক্ষ্মীর বুকের ভিতর যেন লোহার হাতুড়ির ঘা পড়িল। ছেলের প্রশ্নের কোন জবাবও দিলেন না। শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, "মাগো । আর যে পারিনে।” ছেলে বোধ করি মায়ের নিরুপায় অবস্থা কতকটা অনুমান করিয়া লইল, তাই ধীরে ধীরে নিজেকে মুক্ত করিয়া লইয়া কহিল, “যাব, মা দিয়ে আস্ব আমি ?” রাজলক্ষ্মী এ প্রশ্নেরও কোন:জবাব করিলেন না, বোধ করি কানেও গেল না । নিরুপায়ের মত স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয় যেন কত কি ভাবিয়া যাইতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে শিবু যে ভাড়ার ঘরে গিয়াছে, চাল ডাল বাহির করিয়াছে, তাহাও তাহার চোখে পড়ে নাই। শিবু যখন ফিরিয়া আসিয়া “মা” বলিয়া দাড়াইল তখনই তাহার চমক ভাঙ্গিল, আর সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টি পড়িল শিবুর কাপড়ে বাধা পুটলিটির উপর। চক্ষের পলকে তাহার দেহমন প্রবল বিতৃষ্ণায় ভরিয়া গেল। শাশুড়ির তীব্র শ্লেষ বিদ্রুপ এখনও তাহার কানে বাজিতেছিল, তাই মুহূর্ডে র্তাহার করুণ নারী-হৃদয় কঠিন পাথরে রূপান্তরিত হইয়াগেল । তিনি কঠিন কণ্ঠে কহিলেন “শিবে ছনে ওসব, একুনি দূর করে ফেলে দে বলছি। জামিস্ এসকলে আমাদের ।