পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা l পরভৃতিক VDVసి SAMAeMM MAMAMMMMMA AAMAMMJMAMAMAMAMMAMAMAMAMMAMAeMAAA AAAA AAAAAS SAAAAAA AAAAMMMAMMAMMMA AMMMMAMMMMAMMAeMMMeeAMMAMS সঙ্গে থাকিলে মনে মনে হাজার বিরক্ত হইলেও জমিদারগিরি না ফলাইয়া সুবীরের উপায় ছিল না। এবার কিন্তু সে যে-কোনো সাধারণ যাত্রীর মতই আসিয়া উপস্থিত হইল। ট্রেণ হইতে সে এবং ইন্দ্ৰ নামিয়া দেখিল সুবীরকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য কোন ব্যক্তিই উপস্থিত নাই। দুজনে হাফ ছাড়িয়া বাচিল । সুবীরের ভয় ছিল, পাছে মা তাহাকে না জানাইয়াই দেওয়ানজীকে কোনো খবর দিয়া থাকেন। কিন্তু প্ল্যাটফৰ্ম্মে নামিবামাত্র একটা সাড়া পড়িয়া গেল। ক্ষুদ্র ষ্টেশন, এখানের ষ্টেশন-মাষ্টার হইতে আরম্ভ করিয়া সামান্ত কুলিটি পর্য্যন্ত জমিদার-বাবুকে উত্তমরূপে চিনিত। হঠাৎ এ ভাবে তিনি উপস্থিত হওয়ায় সকলে বিস্ময়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হইয়া রহিল। গাড়ী নাই, ঘোড়া নাই, হাতী নাই, রাজাবাবু কি হাটিয়াই বাড়ী যাইতে চান না কি ? সুবীর সঙ্গে জিনিষপত্র বিশেষ কিছুই আনে নাই। তাহার নিজের একটা সুটকেস এবং ইন্দ্রের একটা ব্যাগ ভিন্ন আর কিছুই তাহাদের সঙ্গে ছিল না। এই দুইটা বহন করিয়া লইয়া যাইবার জন্ত একটা কুলি ডাকিবামাত্র সকলে যেন নিজেদের লুপ্ত বাকশক্তি ফিরিয়া পাইল । ষ্টেশন-মাষ্টার বাবু হুঁ-হঁ, করিয়া ছুটিয়া আসিয়া পড়িলেন। কুলিটাকে এক ধাক্কা দিয়া সরাইয়া বলিলেন, “দুর ব্যাট ভূত, এ মোট ঘাড়ে করবার যোগ্যতা তোর এ জন্মে হবে না।” সুবীরকে আভূমি প্রণত হইয়া নমস্কার করিয়া বলিলেন, “বাবু এই রোদে বাইরে দাড়িয়ে রইলেন কেন ? ঘরের ভিতর এসে বসুন। দেওয়ানজীর এত দেরী হচ্ছে যে ? একটা লোক পাঠিয়ে দেব তার কাছে ?” সুবীর বলিল, “তাকে খবর দেওয়া হয় নি। যাকৃ একটা লোকই পাঠিয়ে দিন । রোদটাও বেশ জোর হ’য়ে উঠেছে।” সুবীর এবং ইন্দ্র ষ্টেশনমাষ্টারের ঘরের ভিতর গিয়া বসিল । একটা কুলি তাহাদের আগমনবার্তা লইয়া জমিদার বাড়ীর দিকে উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া চলিল । ইন্দ্র বলিল, “এই দেখুন, আমি আগেই বলেছিলাম * f ‘Some have greatness thrust upon 包°-@ them'. আপনি যতই কেন না ফাকি দেবার চেষ্ট করুন, আপনার জমিদারা আপনাকে তাড়া ক’রেই বেড়াবে।” সুবীর বলিল, “যাক ক’দিনই বা থাকৃব ? একেবারে হাড় জালাতন হ’য়ে উঠবার সময়ই হবে না।” ইন্দ্র বলিল, “দেখুন বিধাতার কি অবিচার। আপনার সমস্ত প্রাণটা হাহাকার করছে পুইশাক চচ্চড়ি খেয়ে হাটুর উপর কাপড় পরে, রোদে পুড়ে, জলে ভিজে বেড়াতে, অথচ আপনিই কি না জন্মালেন মস্ত বড় এক জমিদার হয়ে। কুলীনকুলোদ্ভব কুলী না হ’লে, আপনার ছেড়া জুতো পৰ্য্যস্ত ছুতে পায় না। আর আমার দশাট দেখুন। আবু হাসানের মত এক রাত্রির জন্তে যদি আমাকে কেউ রাজা করে দেয়, তা হ’লে চুটিয়ে ফুর্তি উড়িয়ে নিই। গাড়ী, ঘোড়া, হাতী, আসাসোটা, বরকন্দাজ, রাজপ্রাসাদ, রাজনন্দিনী, কোনো কিছুতেই আমার অরুচি নেই। অথচ আমার অদৃষ্টে কলকাতার এ দোগলির বাড়ী, ছ্যাকৃড়া থার্ডক্লাশ গাড়ী, হাবী ঝি এবং কুচো চিংড়ী ছাড়া কিছুই জোটে না। এটা অষ্ঠার নয়? ভাগ্য অদল-বদল ক’রে নেওয়া যায় না ?” সুবীর বলিল, “একটি জিনিষ বাদ দিয়ে গেলে যে ? র্তাকে এক রাণীর রাজা হবার লোভেও ছাড়তে রাজী হবে কি না সন্দেহ ।” ইন্দ্রের তরুণী পত্নীটির সৌন্দর্য্যের খ্যাতি ছিল। সে একটু গৰ্ব্বিত হাসি হাসিয়া বলিল, “হ্যা, ঐখানে বিধাতা একটু ঠিকে ভুল ক’রে ফেলেছিলেন । ওকে আমাদের বাড়ীতে মোটেই মানায় না। হাবী ঝি আর গয়লানীর মধ্যে তাকে দেখায় যেন চেড়ীপরিবৃত সীতা ।” স্থবীর বলিল, “ভালই ত। ব্যাকগ্রাউণ্ডটা যত কালে হবে, তার গায়ে আলোও তত বেশী ফুটুবে ।” এমন সময় মস্ত-বড় এক ফিটন হাকাইয়া বৃদ্ধ দেওয়ানজী মহা ব্যস্তভাবে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সুবীর উঠিয় তাহাকে প্রণাম করিতে যাওয়ায় তাহার দুই হাত ধরিয়া ফেলিয়া যলিলেন, “একি কাও ! একটা খবর দিতে নেই ?” স্থবীর বলিল, “ভারি ত ব্যাপার, তার আর খবর