পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] TarunnoBot (আলাপ) ০৮:০৯, ১৩ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്~~്~~ു..... .*אי4רא-אי দে\ নজীর বাড়ী যাইবার জন্য উঠায় তিনিও তাহার সঙ্গেই চলিলেন। ইন্দ্র বলিল, “মুবীরবাবু, আসবার পথে চমৎকার একটা দীঘি দেখলাম। আপনি যতক্ষণ দেখা সাক্ষাৎ করবেন, আমি ততক্ষণে স্নানটা সেরে রাখি। কলকাতায় থেকে থেকে মনের সুখে সাতার দেওয়ার কি যে আনন্দ তা একরকম ভুলেই গিয়েছি।” সুবীরের কোনও আপত্তি ছিল না। ইন্দ্র কাপড় তোয়ালে প্রভৃতি বাহির করিবামাত্র, সেগুলি বহন করিয়া লইয়া যাইবার জন্ত একজন চাকর আসিরা জুটিল। দেওয়ানজী একটু দূরে দঁাড়াইয়া আছেন দেখিয়া ইন্দ্র নীচু গলায় বলিল, “মৃবীরবাবু, আমার প্রার্থনাটা পূর্ণ হতে চলল দেখছি। কাপড় বইবার জন্তে চাকর ত স্বপ্নের অতীত ব্যাপার আমার ।” ইন্দ্রকে রওনা করিয়া দিয়া, সুবীর দেওয়ানজীর সঙ্গে তাহার বাড়ীর দিকে যাত্রা করিল। র্তাহার বাড়ী অতি নিকটেই, কাজেই সুবীর গাড়ী চড়িতে কিছুতেই রাজী হইল না । দেওয়ানজীর বাড়ীতে দেখা করিবার লোক খুব যে বেশী ছিল, তাহ নয়। র্তাহার বড় ছেলে থাকিত কলিকাতায়, বড় মেয়ে থাকিত শ্বশুরবাড়ী । বিধবা একটি কন্যা, একটি শিশু পুত্র লইয়া বাপের কাছে থাকিত। আর ছোট ছেলেও এখানে থাকিয়া বাপকে সাহায্য করিত। জ্যাঠাই মাকে প্রণাম করা এবং বাড়ীর সব লোকের খবর দেওয়া শীঘ্রই চুকিয়া গেল। বিধবা হইবার পর প্রমীলা বড় একটা কাহারও সাম্নে বাহির হইত না। তবু সুবীরকে তাহারা জন্মাবধি দেখিতেছে, নিজের ভাইয়ের মতই সে সৰ্ব্বদা তাহাদের সঙ্গে মিশিয়াছে, কাজেই সে বাড়ী আসায় দেখা না করিয়া পারিল না। তাহার নিরাভরণ থানপর চেহারা দেখিয়া সুবীর কি যে বলিবে কিছু ভাবিয়া পাইল না। কোনোরকমে কুশলপ্রশ্নটা মুখ দিয়া তাহার বাহির হইল বটে, সেটাও কেমন যেন ঠাট্টার মত শুনাইল। প্রমীলার ছেলেকে আগে সে দেখে নাই, তাহার হাতে দশ টাকার একটা নোট গুজিয়া দিয়া সে বাহির হইয়া পড়িল পরভূতিক JAeeSeeeMAMAMAAAS כףס

      • സാ

বাড়ী ফিরিয়া দেখিল ইন্দ্র তখনও আসে নাই। তাহার ক্ষণিক অনুপস্থিতির অবসরে চাকররা ঘর-দোর ঝাড়-পোছ করিয়া অনেকটাই ঝকঝকে করিয়া তুলিয়াছিল। শুইবার ঘরে গিয়া পালঙ্কের বিছানার উপর লম্বী হইয়া পড়িয়া, সুবীর ইংরাজী মাসিক পত্র পড়ায় মন लेिण । । হঠাৎ বাহিরে কিসের একটু শব্দ শোনা গেল। সুবীর চাহিরা দেখিল, একজন চাকর দাড়াইয়া। মুবীর তাহার দিকে তাকাইতেই সে নমস্কার করিয়া জানাইল, “ছোট বাবু এসেছেন। বৈঠক থানায় বসে আছেন।” ছোট বাবু অর্থাৎ উদয়। মুবীর আদিবামাত্রই র্তাহার স্নেহের নদীতে এমন জোয়ার উপস্থিত হইতে দেখিয়া, না হাসিয়া পারিল না। বিকালে পাঁচ মিনিটের জন্তে সে তাহাদের বাড়ী যাইবে ঠিক করিয়া রাখিয়াছিল, কিন্তু ভাইপোর প্রতি টানে কাক তাহার পূৰ্ব্বেই আসিয়া হাজির হইলেন। যাহা হোক, আসিয়াছেন যখন তখন দেখা করিতেই হইবে। ইংরাজী মাসিক রাথিয়া চটি পায়ে দিয়া, সুবীর বৈঠকখানার দিকে চলিল । উদয় বড় একটা কোঁচে হেলান দিয়া বসিয়া ছিল। তাহার মাথার চুল এখন অদ্ধেক পাকা, টাকও একটা মাঝারী গোছের দেখা দিয়াছে। চোখে মুখে বিলাসী, উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের দাগ মুস্পষ্ট। রোগে ভুগিয়া ভূগিয়া চেহারা এখন অনেকটাই রোগ হইয়া গিয়াছে। মুবীর উদয়কে প্রণাম করিতে সৰ্ব্বদাই মনে মনে আপত্তি অনুভব করিত। কিন্তু নিতান্ত কাক, না করিয়াও উপায় নাই। যাহা হউক, প্রণামটা অদ্ধেক হইতেনা-হইতেই, উদয় তাহার হাত ধরিয়া উঠাইয়া ফেলিল। যেন মহা বাস্ত হইয়াই জিজ্ঞাসা করিল, “কি হে বাবাজী, কোনো খোজ না দিয়েই এসে পড়লে যে ? সব খবর ভাল ত? তোমার মা ঠাকুরুণ ভাল আছেন ত ?” স্নবীর, বলিল, “এলাম এমনি একটু বেড়াতে। কাজ বিশেষ কিছু নেই। হ্যা, মা ভালই আছেন। তবে ভবানী দিদিকে নিয়ে বড় ব্যস্ত।* উদয় অত্যন্ত নিরাহ ভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “ও তাই