পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SAA AA ASASASAeAMMA AMAAAASASASS তখন আর কেউ ঘরের ভিতর ছিল না । মিনিট দশ পরে হঠাৎ তার চীৎকার শুনে ঝিরা ছুটে এসে দেখল তিনি মেঝের উপর অজ্ঞান হ’য়ে পড়ে আছেন। আমি এসে ভবানী-দিদিরও অার জ্ঞান দেখিনি। আপনার মাকে তাড়াতাড়ি ও ঘর থেকে সরিয়ে আনা হ’ল । জ্ঞান হ’তে খুব বেশী দেরি হয়নি। তবে হার্ট বড় দুৰ্ব্বল ব’লে ওঁকে আমি কিছু জানাইনি, কারে সঙ্গে কথাবার্তাও বলতে দিইনি। আপনাকে ক্রমাগত খুজছেন। খুব বড় একটা shock পেয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। আপনি জানতেই পারবেন, কিন্তু নিজে থেকে যদি না বলেন, এখন কোনো কথা জিগগেষ করবেন না। কোনো রকম Excitement যেন একেবারে না হয় ।” মুবার বলিল, “কিন্তু কি এমন ঘটুতে পারে আমি ত আকাশ পাতাল খুজে কিছু পাচ্ছি না। ভবানী-দিদি কিছু আজকের মানুষ নয়, চিরকালই এ্যাড়ীতে ছিল। তার এমন কি লুকানো কথা থাকৃতে পারে ? আমার মনে হচ্ছে সে-সব কিছু নয়, ভবানী-দিদি চোখের সামনে চলে যাচ্ছে দেখেই হয়ত অজ্ঞান হ’য়ে পড়েছিলেন ।” ডাক্তার বলিলেন, “তা হ’তেও পারে, কিন্তু আমার ঠিক তা মনে হচ্ছে না। Sudden shockএর ফলেই এরকম হয়েছে বলে মনে হয়। যাই হোক ছচার ঘণ্টার মধ্যে জানাই যাবে। আপনি স্নান-টান করুন গিয়ে । খুব বেশী ব্যস্ত হ’বার কারণ নেই। অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছিল বটে ; কিন্তু এখন ভালর দিকেই যাচ্ছে। কাল না হয় আর কাউকে ডাক যাবে আপনি যদি বলেন ’ সুবীর বলিল, “আপনি যদি দরকার মনে না করেন তা হ’লে আমি কাউকে ডাকৃতে চাই না। মা এত অল্পে ভয় পান যে, নতুন ডাক্তার দেখলেই তার মনে হবে যে, ভয়ানক একটা কিছু হয়েছে। আচ্ছ, আপনি বসুন, আমি স্নানটা সেরে আসছি।” ডাক্তার একটু হাসিয়া বলিলেন, “যদি কিছু মনে না করেন তা হলে বাড়ীর থেকে একটু হয়ে আসি। তিন চারদিন আর ওমুখে হইনি। আজ আপনি এসেছেন এখন নিশ্চিন্ত মনে যেতে পারব। এ ক'দিন একেবারে কেউ পরভৃতিকা AMAMMMM MMMMMMMA SAMMeAAMA SAMMAMMAAA AAAA S రిగిat - **--l-്.--l.സ.--പ്.--ഹാക്ഷ് ছিল না। ভুবনবাবু রোজ এসে খবর নিয়েছেন, কিন্তু খ্ৰীকৃতে পারেননি।” সুবীর বলিল, “আচ্ছা যান, বেশী দরকার হ'লে গাড়ী পাঠিয়ে দেব ।” ডাক্তারবাবু সিড়ি নামিতে নামিতে বলিলেন, “হঠাৎ কোনো change এখন হবে না, আপনি নিশ্চিস্ত থাকুন। তা হ'লে কি আর আমি যাবার নাম করি ?” ডাক্তার চলিয়া যাইতেই সুবীর নিজের ঘরে গিয়া চুকিল । মায়ের হঠাৎ এমন অমুখে তাহার মনটা বড় মুন্নড়াইয়া গিয়াছিল। দুঃখের সঙ্গে বিস্ময়ও বেশ খানিকট মিশ্রিত ছিল। কেন এমন হইল ? ভবানী-দিদি নিজে ত গেলই, সেই যথেষ্ট দুঃখের বিষয়, সঙ্গে সঙ্গে ভানুমতীকে ও এমন সঙ্গে লইয়া যাইবার ব্যবস্থা করিল কেন ? জামা জুতা ছাড়িয়া, প্রথমেই কাপড়ের আলমারী খুলিয়া সে কৃষ্ণার ছবিখানির দিকে কিছুক্ষণ তাকাইয়া রহিল। ইহার মুখের হাসি তাহার বিবপ্ন মনে যেন একটা সাস্তুনার প্রলেপ দিয়া গেল। সুবীর ভাবিল ছবি না হইয়া মানুবটিই যদি এত কাছে থাকিত ? তাহা হইলে জগতে কোনো কিছুই কি তাহাকে দুঃখ দিতে পারিত ? কোনো দুঃখের ভয়ই কি তাহাকে পরাজিত করিতে পারিত ? স্নান করিয়া, খাওয়া দাওরা সারিয়া সে আবার মায়ের ঘরের দিকে চলিল। নূতন নসটি দরজার কাছে দাড়াইয় ছিল, তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “মা কি উঠেছেন ?” নস বলিল, “হ্যা, এই এখুনি উঠলেন।” মুবীর ঘরে চুকিয়া মায়ের পাশে গিয়া বসিল। ভানুমতী চাহিয়া দেখিলেন, তাহার দুই চোখ দিয়া জল গড়াইয়া পড়িতে লাগিল। সুবীর তাড়াতাড়ি তাহার চোখ মুছাইয়া দিয়া বলিল, “কেন মা অত অস্থির হচ্ছ ? আমি ত এসেই পড়েছি।” - মুবীরের কথায় ভানুমতীর কারা না থামিয়া বরং আরো বাড়িয়াই চলিল। মুবীর বলিল, “ম, তুমি যদি আমাকে দেখে অমন কর, তাহ’লে আমি আর তোমার ঘরে আসবই না। দুঃখ করবার কিছু যদি কারণ ঘটেও থাকে, তাহলেও অমুখের মধ্যে চুপ করে থাকা উচিত। অমুখ বাড়িয়ে ত লাভ নেই কিছু ?”