পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

טף9\

  • عیسیسی سیستمهای هخصی معطه

.സാ.. ***\r്~് ভানুমতী অনেক চেষ্টা করিয়া নিজেকে একটুখানি সাম্‌লাইয়া লইলেন। সুবীরের হাত ধরিয়া আস্তে আস্তে বলিলেন, “বাবা, আমার স্থঃখ যে কতবড়, সহের সীমার কতখানি উপরে, তা তুই কি জাবি। তবু তোর কথায় চুপ করছি। দেখ বলতে পারিস ভবানী এখনও আছে কি না ? ওদের জিগ গেষ করলে ওরা বলে, “আছে, তাল আছে।” কিন্তু ওদের মুখ দেখেই বুঝি যে, মিথ্যে কথা বলছে। সে নেই রে, না ? আমার মনই বলছে সে ८नई ” স্ববীর বলিল, “ম, তুমি ত ছেলেমানুষ নও, তোমাকে মিথ্যে কথা বলে ভুলিয়ে লাভ কি ? ভবানী দিদি নেই, পরশু রাত্রেই মারা গিয়েছে। তার মারা যাওয়ার জন্তে ত প্রস্তুতই ছিলে, এতে বেশী অস্থির হোয়ে না।” ভানুমতী বলিলেন, “যাবে তা ত জানতামই। তবে আর কাটা দিন যদি বিধাতা তাকে রাখতেন। এ ত নিজে গেল না, আমাকে শুদ্ধ নিয়ে গেল। হতভাগীর লোকলজ্জাই বড় হ'ল, দয়া মায়ার চেয়ে। যাক, ওপারে গিয়ে যেন শান্তি পায়, এখানে বড় জালা পেয়ে গিয়েছে। তার কাছে আমি যেতে পারলে, আমার হাড় কখানা জুড়োত ; কতকাল এই জাল বুকে নিয়ে বেঁচে থাকৃব, ভগবানই জানেন ।” স্থবীর অবাক হইয় তাহার মায়ের কথা শুনিতেছিল। এই তিন দিনের ভিতর কি এমন ঘটিয়া বসিল, যাঁহাতে তাহার মায়ের মুখে এমন কথা শোনা যায় ? ভবানীর মৃত্যুতে তাহার শোক পাইবার কথা বটে, কিন্তু সেও কি এতখানি হওয়া সঙ্গত ? সুবীরকে শুদ্ধ ছাড়িয়া মা ভবানীর কাছে চলিয়া যাইতে চান ? তা ছাড়া লোক-লজ্জা, দয়া, মায়া, এসবের কথা কোথা হইতে আসিল ? ভবানী দ্ব দিন পরে মরিলেই বা ভানুমতীর কি এমন উপকার হইত ? ভানুমতীকে যলিল, “ম একটু স্থির হও, ভবানী-দিদি তোমার খুব আপনার ছিল বটে, কিন্তু মা-বাপও মানুষের চলে যায়, জগতের নিয়মই এই। দুঃখ পেলেও, এ দুঃখ স’য়ে যেতেই হয়। কিন্তু তার জন্তে নিজের ছেলে শুদ্ধ তুমি ফেলে চলে যেতে চাও, এটা কি উচিত ?” কাদিয়া উঠিলেন, “ওরে সে যে তোকেও আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গেছে রে! আমার বুক একেবারে খালি ক’রে দিয়ে গেছে!” সুবীর বিস্ময়ে একেবারে স্তব্ধ হইয়া গেল। তাহার মায়ের কি মস্তিষ্ক-বিকৃতি ঘটিয়াছে ? তিনি বলিতেছেন কি ? কিন্তু এতক্ষণ ত মোটেই সেরূপ কিছু মনে হয় নাই ? ডাক্তারবাবু ত তাহাকে আগাগোড়া দেখিতেছেন, তিনিও এমন কিছু যে ঘটিয়াছে বা ঘটবার সম্ভাবনা আছে, তাহা সুধীরকে বলেন নাই। ভানুমতীর কপালে আস্তে আস্তে হাত বুলাইতে বুলাইতে মুবীর বলিল, “ম, কি পাগলের মত কথা বলছ? আমাকে কেউ কি তোমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে? এক ভগবান নিতে পারেন, কিন্তু তার সম্ভাবনা এখন কিছু দেখা বাচ্ছে না।” ভানুমতী খানিকক্ষণ একদৃষ্টে তাহার দিকে চাচিয় রছিলেন, তারপর বলিলেন, “না বাবা, পাগল আমি হইনি, পাগল হ’লে বেঁচে যেতাম। তোকে সব আমি বলছি, তার পর তুই-ই বল কি আমার করা উচিত। নিজের ভাবনা শুদ্ধ নিজে কখনও ভাবিনি, আজ এত বড় বোঝা আমার উপর সে দিয়ে গেল।” স্থবীর বলিল, “সেই ভাল মা, আমার উপরেই ভার দাও তুমি। যথাসাধ্য অন্তায় না হয়, তা আমি দেখব।” ভানুমতী বলিলেন, “জানি বাবা, তোকে tিয় অন্যায় কখনও হ’বে না। অন্ত ছেলেদের মতন হ’লে, তোকে বলতেই আমার সাহস হত না। এতবড় আঘাত তোকে দেবেন বলেই ভগবান গোড়ার থেকে তোকে সন্ন্যাসী ক’রেই গড়েছিলেন। কিন্তু মনে রাখিস বাবা, লোকে চোখে আমিও দোষী হ’ব, কিন্তু ভগবান জানেন আমার কোনও দোষ নেই। ধন-সম্পত্তির লেভি আমারও নী ছিল তা যলি না, কিন্তু যা পেয়েছি, তার দু-গুণ পেলে । এ কাজ আমি করতাম না।” স্থবীর নীরবে বসিয়া অপেক্ষা করিতে লাগিল সম্মুখেই যে একটা নিদারুণ রহস্তের যবনিক উঠিবাধ উপক্রম করিতেছে, তাহা সে বুঝিতেই পারিতেছিল ।