পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশে বিমানের শব্দ শুনিয়া রুদেলা স্থির করিলেন ब्रांछांद्र श्रृं८कब्र दिशांम पञांनिकडएझ । ठिनि झूहेंबन दियांनচালককে ডাকিয়া আদেশ করিলেন, এইসকল বিমান কোথায় যাইতেছে দেখ, কিন্তু কোন মতে যুদ্ধ করিবে না। তোমাদিগকে তাড়না করিলে তোমরা পলায়ন করিবে । চিল যেমন অলক্ষ্যভাবে পক্ষ সঞ্চালন করিয়া মাঝে মাঝে আকাশে ভাসিয়া বেড়ায় সেই-রকম বিমানের দল উড়িয়া গেল। তথনি রুদেলার দুইটি বিমান আকাশে উঠিয়া দূর হইতে তাহাদের অনুবর্তী হইল । অল্পক্ষণ পরেই ফিরিয়া আসিয়া জানাইল রাজা শিশেরীর বিমানের দল অবরুদ্ধ দুর্গে প্রবেশ করিয়াছে। এ পর্য্যন্ত রুদেলা আকাশ-পথ হইতে দুর্গ আক্রমণ করেন নাই । বিমানে অগ্নি জালা ব্যতীত আর কোনরূপ আক্রমণের অন্ত্র ছিল না, কিন্তু দুর্গে কেবল পাষাণ, কোথায় আগুন লাগিবে ? সেইদিন হইতে আরাতামা প্রত্যহ বিমানে আরোহণ করিয়া আকাশ হইতে শক্রসেনা লক্ষ্য করিতেন। যেমন অপর বিমানে শব্দ হয় তলিতায়ও সেইরূপ শব্দ হইত, সুতরাং শত্রুসৈন্তের কোনরূপ প্রভেদ বুঝিতে পারিত না। দুই একবার শত্রুপক্ষের কয়েকটা বিমান তলিতাকে আক্রমণ করিবার চেষ্টা করিয়াছিল । একবার আরাতাম একটা বিমান জালাইয়া দিলেন । আবার তলিতার বেগ এত অধিক যে, কোন বিমান তাহার নিকটে আসিতে পারিত না । শত্রুরা তলিতাকে আক্রমণ করিবার চেষ্টা পরিত্যাগ করিল। কখন কখন আরাতামা এত নীচে নামিয়া আসিতেন যে, শক্রপক্ষের লোকের মুখ দেখা যাইত, অথচ নীচে হইতে র্তাহাকে কেহ দেখিতে পাইত না । একদিন আরাতাম সেই রত্নবণিককে দেখিতে পাইলেন। সেই ব্যক্তি, সেই অশ্ব । সৈন্তের অগ্ৰে নেতার স্তায় ইতস্ততঃ অশ্ব চালনা করিতেছে। বিমানে দুর্গের একজন লোক ছিল, আরাতাম তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, এ ব্যক্তি কে ? সে কহিল, আমি ঠিক বলিতে পারি না, শত্ৰু-সৈন্তের cकॉन नांग्नक झट्रेप्य । 曼 --তাহা ত দেখিতে পাইতেছি, কিন্তু ইহাকে কি কেহ চেনে না ? আরাতাম 8eరి —অধ্যক্ষ মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করিবেন। অধ্যক্ষও ঠিক বলিতে পারিলেন না। জারাতাম তাবিলেন যে-ব্যক্তি রত্নবণিকের বেশে বিশলাম নগরে গিয়াছিল সে যেই হউক অত্যন্ত চতুর ও সাহসী । নগরের সন্ধান লইতে গিয়াছিল তাঁহাতে কোন সন্দেহ নাই। আর কাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিল । নগরে কি কোনরূপ গুপ্ত ষড়যন্ত্র করিয়াছে ? তাহার কথা আরাতাম ইহার পূৰ্ব্বেও মাঝে মাঝে ভাবিতেন, কিন্তু শত্ৰু-সেনার মধ্যে তাহাকে দেখিয়া পৰ্য্যন্ত সদাসৰ্ব্বদা তাহার বিষয় চিন্তা করিতেন। তাহার মূৰ্ত্তি, তাহার কথা কহিবার ভঙ্গী মনে পড়িত। তাহার বয়স অল্প, নবীন যুব পুরুষ, কিন্তু সে যে অসাধারণ ক্ষমতাবান এই ধারণ আরাতামার মনে দৃঢ় হইল। সেই সঙ্গে এক-প্রকায় অনমুভূতপূৰ্ব্ব চঞ্চলত, হৃদয়ের অজানিত শিথিলত তাহার চিত্ত অধিকার করিল। স্পষ্ট কিছু বুঝিতে পারিতেন না, তাহার মনের যে কোনরূপ বিকার হইয়াছে তাহাও অনুভব করিতেন না। র্তাহার মনে পড়িল, ছদ্মবেশী রত্নবণিক তাহাকে বলিয়াছিল আবার দেখ হইবে। কোথায় কি অবস্থায় আবার সাক্ষাৎ হইতে আরাতাম তাহাই জল্পনা করিতেন। আবার কি রত্ন বণিকের বেশে না প্রকাগু শত্রুভাবে ? আরাতাম মনে মনে-জানিতেন তিনি অশ্বারোহী-শত্রু সৈন্ত-নায়ককে দেখিয়াছিলেন, কিন্তু সে তাহাকে দেখিতে পায় নাই। এ কথা সত্য, কিন্তু চক্ষে দেখিলেই সব ংে জানিতে পারা যায় এমন নয়। আর সকলের বুদ্ধি ছ অম্বুমান-শক্তিও সমান নয়। রুদেলা আরাতামাৰে দেখিতে পান নাই বটে, কিন্তু আরাতামার বিমান x দেখিয়াছিলেন এবং আরাতাম যে বিমানে আছেন :ে সিদ্ধান্তেও উপনীত হইয়াছিলেন। তাহার পর দিবস, আরাতাম তলিতায় আরোহণ পূর্বক আকাশে ভ্রমণ করিয়া কোথাও শত্রুর চিহ্ন দেখিsে পাইলেন না। কোথাও শিবির নাই, সৈন্ত নাই, অ’ নাই, আকাশযান নাই। আরাতাম বিমানে করি অনেক দূর ঘুরিয়া চারিদিক দেখিলেন। কিছু দূে পৰ্ব্বতের নীচে ও পৰ্ব্বতে আরোহণ করিতে নিবিড় বন