পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা] ক্ষেত্র উদীয়মান কবিকে প্রতিভা-বিকাশের মহা হযোগ দিয়াছিল। উাহার বাল্যকালে দক্ষিণাত্যের নিজাম সাহের ওস্তাদ দিল্লীবাসী মির্জা গান দাগের কবিত্ত্ব-শক্তিই সমসামরিক কৰিদের মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ আসন লাভ করিয়াছিল। দূর-দূরান্তের অপরিচিত কবিগণও পত্রসাহায্যে তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিতেন। আর, কবি দাগ সাহেবও উহাদের কবিতাগুলি শুদ্ধ করিয়া দিতেন। তরুণ কবি ইকবাল যখন সেই শ্রেষ্ঠ কবির শিষ্যত্ব গ্রহণেছু হইয়া একটি কবিতা পাঠাইলেন, তখন তিনি তাহ দেখিয়া বলিয়াছিলেন--“ইচা এমনই ওস্তাদ-শিল্পীর স্বনিপুণ তুলিতে আঁকা যে, ইহাতে পরিবর্তনের কিছুই নাই।” তিনি অত্যন্ত আনন্দের সহিত এই প্রতিভা-দীপ্ত কবিকে নিজ শ্রেষ্ঠতম শিষ্য-শ্রেণীভুক্ত করিয়া লইলেন। এই গুণগ্রাহী ওস্তাদ ও কৃতী শিষ্যের মধ্যে এমনই এক নিবিড় সোঁহার্দোর হষ্টি হইয়াছিল যে, তাহারই প্রবল আকর্ষণ কবি ইকবালকে সুদূর ইউরোপ পৰ্য্যন্ত লইয়া গিয়াছিল। ভারতীয় শিক্ষা সমাপ্ত করতঃ ইকবাল ইংলণ্ডে গমন করেন ; তথাকার কেম্বি জ বিশ্ব-বিদ্যালয়ের শেষ পরীক্ষায় কৃতিত্বের এক আন্নান স্মৃতি রাখিয়া তিনি জাৰ্ম্মানী গমন করিয়াছিলেন । ইউরোপে অবস্থানকালে, বহু পাশী গ্রন্থ অধ্যয়ন পূর্বক তাহদের ভবিরাশি ছানিয়া প্রতিভাদীপ্ত কবি “ফিলসঙ্কীর’ যে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রণয়ন করিয়াছিলেন তাহার ভাব-মাহাত্ম্য ও রচনা-নৈপুণ্যে বিমুগ্ধ হইয়া জার্মান বালী ইকবালকে গৌরবজনক ডাক্তার উপাধিড়ে বিভূষিত করেন। ইহার পর ইকবালের কাব্য-প্রতিভায় মুগ্ধ হইয়া ভারতগবর্ণমেন্ট র্তাহাকে সার’ উপাধিতে আপ্যায়িত করেন। ১৯০১ সনে সহাধ্যায়ীদের সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ উপেক্ষা করিতে অসমর্থ হইয়া, লাহোরের এক জন-সভায় ইকবাল সৰ্ব্বপ্রথম নিজ বিরচিত একটি ছোট কবিতা আবৃত্তি করিয়াছিলেন। ইহাই উহার প্রতিভা বিকাশের প্রথম স্বচন। ইক্বালের সবুজ প্রাণ নিংড়ানো এই ছোট কবিতাটিই সকলের চিত্ত-হরণ করিয়াছিল। তাহার পর কিছুদিন ধরিয়া ইক্বালু-প্রতিভা লাহোর কলেজের চতুসীমানায় আবদ্ধ ছিল ; কিন্তু যেইদিন ইকবাল অন্ত এক মহতী সভায় কুহে হিমালা (হিমালয় পৰ্ব্বত ) কবিতা আবৃত্তি করিলেন সেইদিন হইতেই উtহার যশঃপ্রতিভা লাহোর কলেজের সীমা-রেখা ডিঙ্গাইয়া বিশ্বময় ছড়াইয়া পড়িল। ১৯০১ সনের এপ্রিল মাসে, উর্দু, মাসিক পত্র ‘মথ জন প্রকাশিত হইলে, সৰ্ব্ব সাধারণের ও সম্পাদকের ঐকাস্তিক অনুরোধে ইক্বাল ইহাতে কবিতা লেখার ভার লইলেন। কবি ইকবাল এক সন্ধ্যায় জনৈক বন্ধুর বাড়ীতে নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন। তথায় তাহার লন্ধুগণ পারসী কবিতা আবৃত্তির নিমিত্ত উtহাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন । কিন্তু পারসী কবিতা লেখায় অনভ্যস্ত থাকা নিবন্ধন তিনি তাহীতে অনেকখানি অকৃতকার্ষ্য হইয়া বিশেষভাবে মর্শ্বপীড়া অনুভব করিতে লাগিলেন। অতঃপর বেদনভারাক্রান্ত হৃদয়ে কৰি নিজ গৃহে আসিয়া পারস্ত-কাব্য-সাধনায় বাকী রাত্রি কাটাইয়া দিলেন। এই এক রাত্রির সাধনায় ইকবাল পারস্ত কবিরূপেও বিশ্বময় খ্যাতি লাভ করিলেন। প্রসিদ্ধ “আসরারে খোদী' তাহারই অমৃতফল। পারসী ভাষায় এই পৰ্য্যন্ত উtহার তিনখানি কিতাৰ বাহির হইয়াছে। উtহার পারী কিতাব “পয়ামে মশ রেক ইউরোপের লব্ধপ্রতিষ্ঠ কবি গেটের ‘লীলামে মগরেবের উত্তরে লিখিত । ইহার ভাষা সরল ও হনয়। - * . .* কষ্টিপাথর-বাংলার কুটির-শিল্প 越e° প্রসিদ্ধ ব্যারিষ্টার আবদুল কাদের সাহেব, কবি ইকবালের স্ উর্দু কবিতারাজির সমষ্টি স্বরূপ বাজেদারা বা গীৰ্ব্ব-ধ্বনিনায় ৭ একখানি প্রকাও গ্রন্থ সঙ্কলিত করিয়াছেন। উtহার কাব্য-প্রতির ক্রম-বিকাশ হিসাবে, কিতাবখানিও তিন ভাগে বিভক্ত। কিতাবখti এই শ্রেণী-বিভাগের হিসাবে ইকবাল-প্রতিভার ও ক্রমবিকাশের ছ ইহাতে সুস্পষ্টরূপে পরিলক্ষিত হয়। উপহার গজল ও কবিতা উ সাহিত্য-ভাণ্ডারে শাশ্বত সম্পত্তি । ( জাগরণ, জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫ ) _ বাংলার কুটির-শিল্প বাংলার কুটিরশিল্প ও অস্তান্ত ছোট ছোট শিল্পানুষ্ঠান এখনও কিছু কিছু পরিমাণে টিকিয়া আছে ; ইহাদের উন্নতি সাধা ব্যবস্থা করিতে পারিলে ভবিষ্যতে প্রচুর স্বফলের সম্ভাবনা আছে। বাংলা দেশে শতকরা ৯৩৫ জন লোক কৃষিজীবী। ইহ সকলেই পল্লীগ্রামে বাস করে । প্রত্যেক বৎসরই কয়েক মাে জন্ত চাষের কাজ বন্ধ থাকে। সেই সময়টা আলস্তে না কাটাই তাহারা যদি কুটির-শিল্পের দিকে মন দেয় তবে তাহাদের অর্থ-সমস্ত কিছুটা সমাধান হয় । এইসমস্ত দুঃস্থ পরিবারের মেয়ের বর্তাি বসিয়া অনেক সময় আলস্তে কাটাইয়া দেয় । কুটির-শিল্পের প্রচয় থাকিলে এইসমস্ত মেয়ের গল্প করিয়া সময় ন কাটাইয়া সংসারে আয় কিয়ৎপরিমাণে বাড়াইতে পাবিত। পাশ্চাত্য জাতিদের ভিতর কলকারখানার প্রভূত উন্নতি হও সত্বেও কুটির-শিল্পের আদর সেখানে কমে নাই। ইংলণ্ডের ছে ছোট শিল্পানুষ্ঠানগুলিতে প্রায় ২৭৫• • • জন লোক কাজ ক.ে ফরাসীদেশে বড় কলকারখানা ও ছোট শিল্পানুষ্ঠানগুলি মজুৱে সংখ্যায় সমান। জার্মানীতে ১৪৩০ •••••• জন নিযুক্ত মজুঃে মধ্যে তাহাদের এক-তৃতীয়াংশের অধিক লোক ছোট শিল্পানুষ্ঠা গুলিতে কাজ কয়ে । ইটালি, স্বইজারল্যাও, বেলজিয়াম ও অষ্ট্ৰীয়া শিল্পব্যবসায়ের দিক দিয়া কুটির-শিল্প একটি বিশিষ্ট স্থান অধিক করিয়াছে। ভারতবর্ষে বিশেষ করিয়া বাংলাদেশে শিল্পব্যবসায়ে অবস্থা যৎপরোনাস্তি শোচনীয়, স্বতরাং যাহাতে প্রাচীন কুটিরটি পূর্ণ প্রবর্তিত হইতে পারে তাহার জন্ত বিশেষভাবে চেষ্ট হও উচিত । ১৯২৭ সনের সেন্সস্ রিপোর্ট হইতে বাংলার প্রধান প্রধ৷ কুটিরশিল্পগুলির বর্ণনা তুলিয়া দিতেছিঃ– थिझ নিযুক্ত ব্যক্তিদিগের সংখ ১। হাতে স্বত কাটা ও বয়ন ه, R هم ه,ه २ । श्रांशाईj लिन्न ৩,৪৩,৫২১ ৩ । কাষ্ঠ-শিল্প Bنه بود و ৪ । কুমোরের কাজ ఇ, తి,పి 8ఆ ৫ । পোষাকের কাজ ۹ ه هرات به وی * | ধাতু-শিল্প R, o به ه ه وه ৭ । চামড়ার কাজ 8هوه و • • ৮ । ঝিনুকের কাজ لا •, • • • এই সমস্ত কুটির-শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকদের, পরিশ্রম হ্রাসের নিমিং বাংলা গভর্ণমেণ্টের শিল্প-বিভাগ হইতে কয়েকটি কল তৈয়ারী করিয় cन७ब्रां श्ब्रांtझ । अरे कणसलि ६ठद्रौ रुeग्रांप्न कूब्रिचिtछद्र :ि