পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8રર AMMAMAMMMMMMSAMMAMMMAMAMMAMMAMMMAAAA প্রথম জাতিগঠনকারী (রামমোহন রায়)। তা ছাড়া,মৌখিক আর একটি বক্তৃতা করিয়াছিলাম ব্রাহ্মসমাজ ও জাতিগঠন বিষয়ে। রাজনৈতিক বক্তৃত। ভারতভৃত্য সমিতির লাহোর শাখার উদ্যোগে করিয়াছিলাম। শ্রোতৃবর্গের মধ্যে সভাপতি ও লাহোরের নেতৃস্থানীয় অন্ত কোন কোন ৷ পঞ্জাবী ভদ্রলোক উহা আমাকে পুস্তিকাকারে প্রকাশ করিতে অনুরোধ করেন। সময়ের অভাবে তাহা এখনও করিতে পারি নাই। এতদ্ভিন্ন ব্রহ্মমন্দিরে রবিবারে ভাই সীতারাম উপাসনা করিবার পর ੋਣ ধৰ্ম্মবিষয়ক একটি ব্যাখ্যান করিভে হইয়াছিল । আগন্তুক কেহ কোথাও গেলে, সকলের সহিত না হউক, অন্তত পূৰ্ব্বপরিচিত সকলের সহিত বাড়ী গিয়া দেখা করা তাহার কৰ্ত্তব্য । কিন্তু যে কাজে কোথাও যাওয়া হয়, তাহা করিয়া যথেষ্ট সময় না থাকিলে এবং পরিচিতের সংখ্যা অধিক হইলে আগন্তুকের পক্ষে সম্পূর্ণরূপে এই কর্তব্য পালন হইয় উঠে না। অপরিচিত সকলের সহিত সাক্ষাৎ করা সাধ্যাতীত। এইজন্ত সভা আহবান করিয়া আগস্তুকের প্রতি প্রীতি প্রদর্শনের রীতি আছে। আমার অন্ত বক্তৃতাগুলিতে লাহোরের সর্বসাধারণের সহিত সামান্ত পরিচয়ের মুযোগ ছিল। তদ্ভিন্ন সনাতন ধৰ্ম্ম কলেজ গৃহে বিশেষ করিয়া বাঙালী ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলাদের একটি সভা হয়। তাহাতে সঙ্গীত ও বক্তৃত হয়। লাহোরের শ্রেষ্ঠ দৈনিক পত্রিক টিবিউনের সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত কালীনাথ রায় মহাশয় সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। তিনি কিছু বলিবার পর আমি কিছু বলি। উভয়েই বাংলায়। আঠার বৎসর পূৰ্ব্বে আমি একবার লাহোর গিয়াছিলাম, একটি রাজদ্রোহের মোকদ্দমায় সাক্ষ্য দিতে । তখন লাহোরের দ্রষ্টব্য প্রধান প্রধান প্রাচীন ও আধুনিক উদ্যান, দুর্গ, মসজিদ, সমাধিমন্দির প্রভৃতি দেখিয়াছিলাম । এবার দর্শনের কাজটা প্রায় কিছুষ্ট হয় নাই। তথাপি কিছু দেখিয়াছিলাম। দয়ানন্দ এংলো-বেদিক কলেজের ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক পণ্ডিত দেওয়ান চাদ শৰ্ম্মার আহবানে তাহাদের কলেজ দেখিতে যাই। কলেজটি সুবৃহৎ ; আৰ্য সমাজের এক শাখার দ্বারা স্থাপিত ও পরিচালিত। তাহার প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য ও প্রাচীন [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড AMAMAMMAMMAMeeeAMMeeAeeAeAMee eMMMMMeAMMMMMMAMMA AMMAAAS ভারতীয় সভ্যতা বিষয়ে গবেষণার আয়োজন উৎকৃষ্ট । লাইব্রেরীতে বিস্তর প্রাচীন পুথি ও আধুনিক মুদ্রিত গ্রন্থ সংগৃহীত হইয়াছে, এবং অধ্যয়ন ও গবেষণার কাজ উৎসাহের সহিত চলিতেছে। এই কলেজের বৃহৎ স্কুলটিও দেখিলাম। কলেজের ছাত্র ও অধ্যাপকদের সমক্ষে বক্তৃতাও করিতে হইয়াছিল। একজন অধ্যাপক আমাকে পরিচিত করিয়া দিবার নিমিত্ত কিছু বলিয়াছিলেন। এই কলেজে তখন ছেলেদেয় পরীক্ষা চলিতেছিল। তাহ উপলক্ষ্য করিয়া পরীক্ষার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে বলি, যে, এখনও কখন কখন স্বপ্ন দেখি, বে, কাল পরীক্ষা হইবে অথচ গণিতের কিছুই শেখা হয় নাই ; ভয়ে ঘুম ভাঙিয়া যায়, হাফ ছাড়িয়া বাচি । কিছু দিন আগে পৰ্য্যন্ত স্বপ্নে আমার এই গণিতাতঙ্কের গল্প শুনিয়া শ্রোতার হাসিয়াছিলেন। অধ্যাপক শৰ্ম্মা একদিন অপরাহে তাহার বন্ধুদের সহিত সাক্ষাৎকারের নিমিত্ত জলযোগের নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন । কয়েক জন সাংবাদিক ও অধ্যাপকের সহিত তথায় পরিচয় হয়। লাহোরে সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকদের অল্পাধিক সজীব ভাব দেখিলাম। ভারতীয়দের মধ্যে আর্য সমাজের লোকদের আয়োজন ও উদ্যোগিতাই বেশী মনে হইল । কিন্তু মুসলমান, সনাতনধৰ্ম্মী, দেবসমাজী, ব্রাহ্ম—সকলেরই নিজের নিজের কলেজ ও ছাত্রাবাস আছে। তা ছাড়া ফৰ্ম্ম্যান ক্রিশচান কলেজ ও গবন্মেষ্ট কলেজ আছে। - ব্রাহ্ম সমাজের কলেজ সর্দার দয়াল সিংহের দানে স্থাপিত ও চালিত হয়। বেশ বড় কলেজ । উহার নিজের কলেজ-গৃহ ও স্কুল-গৃহ আছে। কলেজের কর্তৃপক্ষ উহা দেখিতে আহবান করায় দেখিতে গিয়াছিলাম । লাইব্রেরী ও বৈজ্ঞানিক ল্যাবরেটরীগুলি উৎকৃষ্ট। প্রিন্সিপ্যাল শ্ৰীযুত হেমরাজ সৌজন্তের সহিত আমাকে দর্শনীর সব-কিছু দেথাইলেন। তিনি অল্পভাষী মানুষ। পঞ্জাবী ও বাঙ্গালীদের মুখে শুনিলাম, লাহোরে তিনি সৰ্ব্বাপেক্ষ দক্ষ গণিতাধ্যাপক। কলেজের অন্যতম ট্রষ্টী শ্ৰীযুক্ত মুনীরদাস সূরী আমাকে ছাত্রাবাসগুলি দেখাইলেন। সেগুলি বৃহৎ ব্যাপার। প্রত্যেক ছাত্রের এক একটি আলাদা কামরা । তা ছাড়া থেলিবার খুব প্রশস্ত কয়েকটি জায়গা আছে। এই