পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] সম্পাদকের চিঠি ৪২৩ ASAMJJJJAMMMeee AMAMAMMMMMMMM MMMMMMMAMMMMMMAMMMMMMAMMMAMMSMMSMMSMMAMAM MAMMAMMAJAAASAAAS কলেজে একটি নুতন জিনিষ দেখিলাম। একটি খোলা জায়গায় অভিনয় বা বক্তৃতার জন্ত একটি পাকা মঞ্চ আছে। তাহার সম্মুখে গ্যালারীর মত পাকা বাধান ক্রমোচ্চ বসিবার জায়গা। এখানে বক্তৃতাণি হইয়া থাকে । ছাদ নাই। রৌদ্রের সময় সামিয়ান টাঙান হয়, অন্ত সময় আকাশই চন্দ্ৰাতপ । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে এই কলেজে মিস্টার রিচার্ডস নামক একজন য়ুনিটেরিয়ান বা একেশ্বরবাদী বিদ্বান অধ্যাপক ছিলেন। এখন তিনি পরলোকে । তাহার স্ত্রী বিদুষী শ্ৰীমতী নোর রিচার্ড ভারতবর্ষকে মাতৃভূমিস্থানীয় করিয়া পঞ্জাবে বাস করেন। এই দম্পতি, বিশেষতঃ শ্ৰীমতী নোর, উৎকৃষ্ট নাটক অভিনয়কে ছাত্রদের শিক্ষা, আত্মবিকাশ ও আত্মপ্রকাশের অন্যতম উৎকৃষ্ট উপায় বলিয়া অভিনয়োৎসাহী ছিলেন। প্রধানতঃ র্তাহার উদ্যোগে পূৰ্ব্বোক্ত মুক্ত বাচনালয়টি নিৰ্ম্মিত হয়। এখানে দয়াল সিং কলেজের ছাত্রদিগকে সম্বোধন করিয়া আমাকে কিছু বলিতে হইয়াছিল। আর একবার এইখানে কয়েক মিনিটের জন্য আসিয়াছিলাম। উপলক্ষ্য-আধুনিক শিক্ষা-ব্যবস্থা ভাল কি মন্দ্র তদ্বিষয়ে ছাত্রদের মধ্যে বিতর্ক। সভাপতি ও বিচারক ছিলেন ভূতপূৰ্ব্ব কমিশনার রাজা নরিন্দ্রনাথ। বিরুদ্ধবাদী প্রথম ছাত্রটির বক্তৃতার পরই আমি সভাপতির অনুমতি লইয়া চলিয়া আসি । ছেলেটির উচ্চারণ ভাল নয় ; কিন্তু জনতা-উন্মাদক রকমের উচ্ছ্বাসপূর্ণ বাগ্মিতা কিছু আছে। দয়াল সিং কলেজের একেশ্বরবাদী ছাত্রদের ক্লাবেও আমাকে কিছু বলিতে , হুইয়াছিল। এই কলেজে আরও একটি বক্তৃতা করিয়া ছিলাম কি না মনে পড়িতেছে না । দয়াল সিং কলেজ দেখাইবার সময় একজন পঞ্জাবী ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘পঞ্জাবী ছাত্রেরা বাঙালী ছাত্রদের চেয়ে সুস্থ ও বলিষ্ঠ নহে কি ? এরূপ প্রশ্নের হঠাৎ, উত্তর দেওয়া কঠিন । “বোধ হয় তাহাই হইবে, কিন্তু “হইতে পারে", এইরূপ কিছু উত্তর দিয়া আমি বলিলাম, “বাঙালী ছেলেরাও ক্রমশঃ বলিষ্ঠ হইবার চেষ্টা করিতেছে।” বস্তুতঃ, পঞ্জাবী ছাত্রদিগের অধিকতর স্বস্থতা ও বলিষ্ঠতা অামার চোখে মুস্পষ্ট ঠ্যাকে নাই। যে-জাতির দুৰ্ব্বল বলিয়া অখ্যাতি আছে, সেই জাতীয় একজন আগন্তুককে এরূপ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা শিষ্টাচারসন্মত কি না, আমার সন্দেহ হইয়াছিল। পরে এই বিষয়ে কোন ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা হওয়ায় তিনি বলিলেন, *আপনি কেন বলিলেন না, আপনার মুস্থ ও বলিষ্ঠ হইলেও আমাদেরই মত পরাধীন ?” শীর্ণ একজন মানুষ যদি খোলা গায়ে কিম্বা একটা গেঞ্জি বা সরু পাঞ্জাবী পরিয়া থালি মাথায় থাকে, তাহাকে যতটা দুৰ্ব্বল মনে হইবে, সেই মানুষই যদি কামিজ কোট প্যান্টালুন পরে ও মাথায় পাগড়ী বাধে, তাহাকে ততটা দুৰ্ব্বল দেখায় না ; অন্যে তাহাকে অধিক সন্ত্রম করে । নিজেকে পরিচ্ছদপরিহিত অবস্থায় পাগড়ী মাথায় দেখিতে অভ্যস্ত হইলে নিজের দৈহিক বলের প্রতি অশ্রদ্ধাও কমিয়া আসিতে পারে। ইহা এক প্রকার পরোক্ষ অটোসাজেশ্চান, অর্থাৎ নিজেয় স্বাস্থ্য বলিষ্ঠতা ও সাহস সম্বন্ধে নিজের বিশ্বাস উৎপাদনের উপায়। বাঙালীদের এতটা অৰ্দ্ধনগ্নতা ভাল কি না, বিবেচ্য। হাজার হাজার পঞ্জাবী ছাত্র ও বাঙালী ছাত্রের স্বাস্থ্য ও বলের পরীক্ষা একই মান অনুসারে হইলে তবে একটা আপেক্ষিক বিচার হইতে পারে। কিন্তু এই আপেক্ষিক বিচারে পঞ্জাবী বা বাঙালী কাহারও জয়পরাজয়ে সন্তোষের কোন কারণ নাই। লাহোরের দয়াননা এংলো বেদিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বকৃশীরাম মহাশয় আমাকে স্বতঃপ্রবৃত্ত ইয়া বলেন, আজকালকার ছেলেরা স্বাস্থ্য ও বলে তাহাদের পুৰ্ব্বগদের চেয়ে নিকৃষ্ট । সমগ্র ভারতীয় জাতিব্যাপী এই দৈহিক অবনতির প্রতিকার হইলে তবে তাহা সন্তোষের বিষয় হয়। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, আঠার বৎসর পুৰ্ব্বে এক রাজদ্রোহের মোকদ্দমায় সাফাই সাক্ষী হইয়া লাহোর যাই। কোনও বিশিষ্ট পঞ্জাবী ভদ্রলোক, “আপনি আগে আর কখনও লাহোর আসিয়াছিলেন কি” জিজ্ঞাসা করায় ঐ কথা বলি, এবং বলি, বে, অভিযুক্ত লালা লালচাদ ফলক গরীব বলিয়া তাহার পক্ষে কোন উকীল মোক্তার ছিল না। তাহাতে তিনি বলেন, যে, এখনও রাজদ্রোহের মোকদ্দমায় অভিযুক্তেরা টাকা দিলেও পঞ্জাবে সহজে