পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ? চেয়ে কম দারিদ্র্যগ্রস্ত মনে হইল। চালচলন ও পরিচ্ছদে পঞ্জাবের পুরুষের বাঙালীর চেয়ে অনেক বেশী পাশ্চাত্যভাবাপন্ন হইয়াছে । বিস্তর অশিক্ষিত লোকে পর্য্যস্ত গলবুক-খোলা কোট পরে এবং অনেকে কলার-নেকৃটাই ব্যবহার করে ; ইংরেজী-জান লোকদের ত কথাই নাই। হাটও অনেকে পরে, তবে পাগড়ীর চলন এখনও বেশী আছে। পঞ্জাবী ফ্যাশনেবল মেয়েদের মধ্যে ববড়, হেয়ার অর্থাৎ ঘাড়ের কাছে ছাটা চুলের চলন যতটা হইয়াছে, ফ্যাশনেবল বাঙালী মেয়েদের মধ্যে ততটা হয় নাই—ততটা কেন, প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালী মেয়ের একজন ছাড়া আর কাহারও এরূপ চুল আমার চোখে পড়ে নাই। পঞ্জাবীরা বাঙালীর চেয়ে বেশী কেজো ও ক্ষম ভাবপ্রবণ, তাহা পঞ্জাবের সামান্ত অভিজ্ঞতা হইতেও বুঝা স্বায় । পঞ্জাবে কোন কোন শ্রেণীর লোকদের মধ্যে মেয়েদের যে পা-জামা পরার রীতি আছে, তাহা আমাদের, কদাকার মনে হয় । বাংল। অপেক্ষা পঞ্জাব অনেক পরে ইংরেজদের দখলে <আসে । সেইজন্য শাসনের কল চালাইবার নিমিত্ত প্রথম প্রথম বিস্তর বাঙালী পঞ্জাবে চাকরী পাইয়াছিল, ওকালতী প্রভৃতিও অনেকে করিত। এখন সংখ্যা খুব কমিয়া আসিয়াস্থে। আমি সকলকে চিনি না, কিন্তু রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত উচ্চপদস্থ বাঙালী বোধ হয় এখন সামান্তই আছে। অধ্যাপকের কাজে বাঙালীর সর্বত্র খ্যাতি আছে। লাহোরে এখন বাঙালী অধ্যাপকের সংখ্যাও কম। ফৰ্ম্ম্যান কলেজের অধ্যাপক সুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত মহাশয়ের নাম পূর্কেই করিয়াছি। দয়ালপিং কলেজে আমি দেখিয়াছিলাম, অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ বল, অধ্যাপক কিশোরীমোহন মৈত্র, অধ্যাপক শ্ৰীমান্‌ অমলকুমার সিদ্ধান্ত ও অধ্যাপক তাপসকুমার দত্তকে । অধ্যাপক মৈত্রের বিশেধত্ব এই, যে, তিনি ফারসী ও আরবীর অধ্যাপক। দয়ানন্দ কলেজে বোধ হয় কেবল একজন বাঙালী অধ্যাপক আছেন—নাম ক্ষেত্রমোহন (?) ঘোষ। লাহোরে গল্প শুনিয়াছিলাম, শিক্ষু বিভাগেয় একজন বাঙালী-বিদ্বেষী ইংরেজ ডিরেক্টর উক্ত কলেজ দেখিতে আসিরা ঘোষ মহাশয়কে জিজ্ঞাসা - d = " সম্পাদকের চিঠি AMAMMASAMA MAMAMAMMMAAMAMAeeAeAeSeAeMeMAMAeeASAeeAMeeAMAeAMAAASAASAASAASAASAA 886. AMA MMAMAMAMAMMAMAMAMMAMSAASAASAASAASAAAS করিয়াছিলেন, “আপনি এখানে কেন ?” তাহাতে তিনি উত্তর করেন, “আপনার আগমন ষে উদ্দেশ্বে”—অর্থাৎ টাকা রোজগারের জন্ত। তাহাতে ইংরেজ বাহাদুর আর মুখ খুলেন নাই। দয়ানন্দ কলেজের বর্তমান অনেক অধ্যাপক ঘোষ মহাশয়ের নিকট গণিত শিখিয়াছিলেন । , অধ্যাপক উপেক্সনাথ বলের বাড়ীতে একদিন জলযোগের নিমন্ত্রণ ছিল । সৌভাগ্যের বিষয়, অধ্যাপক শৰ্ম্মার বাড়ীতে এবং সেখানে বক্তৃত করিতে হয় নাই। মেয়োকুল অব আর্টুসে চিত্রশিল্পী শ্ৰীমান সমরেন্দ্রনাথ গুপ্ত অধ্যাপক আছেন। যোগ্যতা অনুসারে পদোন্নতি হইলে বলিতে হয়, ইহার এই শিল্পবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যালের পদ পাইবার যোগ্যতা আছে। শ্ৰীমান প্রফুল্লচন্দ্র চৌধুরী সরকারী রেলওয়ের ডেপুটি চীফ অডিটারের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত আছেন। টিবিউনের সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত কালীনাথ রায়ের নাম আগেই করিয়াছি । মন্দ্রিাজে সমগ্র ভারতের দেশী সম্প'দকদের যে কনফারেন্স হইবার কথা ছিল, কালীনাথ-বাৰু প্রথমে তাহার সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন। ইহা হইতেই তাহার যোগ্যতার পরিচয় পাওয়া যাইবে । সাক্ষাৎভাবে পঞ্জাবের এবং পরোক্ষতাবে ভারতবর্ষের অস্থাদ্য প্রদেশের জনমতগঠনে টিবিউনের প্রভাব অনুভূত হয়। লাহোরের হিন্দু হেরাল্ড নামক অন্ত একটি ইংরেজী দৈনিকের সম্পাদক বাঙাণী—ঐযুক্ত রমাপ্রসন্ন (?) চট্টোপাধ্যায়। র্তাহার সম্পাদকতায় এই কাগজের কাটতি বাড়িতেছে শুনিলাম । বাঙালীর যাহাতে লজ্জা ও অপমান বোধ হওয়া উচিত, এরূপ একটি দুঃসংবাদ অধ্যাপক সুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্তের নিকট শুনিলাম। লাহোরে ও পঞ্জাবের অন্তর বিধবা বিবাহের ওজুহাতে একদল দুষ্ট লোক বাঙালী স্ত্রীলোককে পণ্য দ্রব্যের মত কেনা বেচা করিতেছে। দাস গুপ্ত মহাশয়ের নিকট ইস্থায় প্রমাণ আছে । লাহোরে সর্বসাধারণের জন্ত যে গ্রন্থালয় নিৰ্ম্মিত হইতেছে তাহা অতি উৎকৃষ্ট। অট্টালিকাটির সংলগ্ন বাগান থাকিবে । পুরুষদের, মহিলাদের ও ছেলে-মেয়েদের আলাদা আলাদা বৃহৎ পড়িবার হল নিৰ্ম্মিত হইতেছে। কলিকাতায় এরূপ কিছুই নাই ।