পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

・ 。8* SAASAASAASAASAASAAASSS SAAAAAMMS MMMASASAS SSAS SSAS SSAS SSAS বন্ধ হইয়াই গিয়াছে। এপন গভর্ণমেণ্টের কাছে এই এক সমস্ত যে, বিদেশী মিলের সহিত প্রতিযোগি ৷ হইতে দেশীয়গুলিকে কি করিয়া বাচানো যায়। এইরূপ অবস্থায় মাদের সমস্ত মূলধন যোগাড় করিয়া তা দিয়া এতগুলি মিল বসাইবার আশা বৃথা। সকল বিয় ও আপত্তি কাটিয়া গিয়া যদিই অতগুলি মিলস্থাপন সম্ভবপর হয়, তবে, আরো একটি প্রশ্ন আছে। এক নয়, দুই নয়—দেশের পঞ্চাশ কোট টাকা একই সময়ে বিদেশে পাঠাইয়া দিতে হইবে। পরে প্রতি বছর আবার কোটি কোটি টাকা পাঠাইতে হইবে সেই কল চালাইবার জন্ত। আর সঙ্গে সঙ্গে দেশের যে কোটি কোটি স্ত্রী-পুরুষ একপ্রকার বেকার বসিয়া আছে তারা বেকারই রহিয়া গেল— তাদের ভিতরকার ক’-জন গিয়া ঐ সকল নূতন মিলে মজুরী পাইবে ? অপর দিকে, চরকা চালাইতে গিয়া আমাদিগকে একটি পয়সাও বিদেশে পাঠাইতে হয় ন, মূলধনের যোগাড় করিতে হয় না, দেশ ইচ্ছা করে ত এক মাসের ভিতর সমস্ত ভারতবর্ষে পৰ্য্যাপ্তসংখ্যক চরক প্রতিষ্ঠিত করিয়া কোটি কোটি বেকার লোকের অল্পসংস্থান করিতে পারে। আজ পর্য্যন্ত কেহ ত অন্ত এমন কোনো উপায় বলিয় দিতে পারেন নাই, যা দিয়া এই ভীষণ বেকার সমস্তার মীমাংস৷ হইতে পারে? যদিই-বা উপরোক্ত হিসাব অনুসারে পাঁচশত নুতন কাপড়ের কল স্থাপিত হইয়া যায়, তাহা হইতে ত মাত্র ৭ লক্ষ মজুর ঐ সব মিলে কাজ লাইতে পারিবে, কিন্তু এখানে যে কোটি কোটি লোকের জন্ত ব্যবস্থা চাই। কেবলমাত্র চরকাই এই কোটি কোটি নরনারীর মুখে অল্প দিতে পারে বলিয়াই চরকার প্রতি জোৰু দেওয়া হইতেছে। এ হেন চরকার উপযোগিতা সম্বন্ধে যদি কাহারে কিছু সন্দেহ থাকে মনে করেন [ অর্থাৎ রোজ ৫৬ ঘণ্ট খার্টিয়৷ মাসে ৪ টাকায় ] এত কম মজুীতে কেহ স্থত কাটিবে কি না, তবে তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়া দেখুন যে, ঐ সামান্ত আয়ের জন্ত হাজার হাজার স্ত্রীলোক প্রস্তুত আছে কি না । আমার মনে হয়, যেখানে দারিদ্র্য অধিক সেখানে চরকার চলল হইলেই গরীবের অল্পবন্ত্রের সোজাপথ খুলিয়া যায়। আজ কেবলমাত্র বিহার চরকাসভব হইতেই ৬• • • হাজার প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৫ AAAAAA AAAA SAAAAAS LAAAASJAAAMAAA AAAA AAAAMMMeeAAMMA AMAMAAMMMM MeMMMeMMMMMMABMMMMAMMABAMMAMAMMMAeeAM AMM AeeeeeAMMMMeMMAAAA [ २४* छांश, :श्र धंस স্ত্রীলোক চরকা কাটিয়া ১-২ টাকা অবধি উপার্জন করি তেছে, (সঙ্ঘের বাহিরে খাদি মহাজনদিগের নিকট হইতেও এই প্রদেশেই কৰ্ম্মীর আরো কত পাইতেছে ) যে দেশের লোকের আয় মাথাপিছু মাসিক দুই টাকা আড়াই টাকা মাত্র সেখানে উহার উপরে আর একটি টাকাও যদি বাড়াইয়া দিতে পারা যায়, তবে মন্দ কি ? চরকা দ্বীয়া কেহ কেহ ত ৫ টাকা অবধি উপার্জন করিতেছে। বেকারের চেয়ে ঐ জায় কি সামান্ত হইল ? সকল দেশেই মানুষে আপন আপন শিশুশিল্প রক্ষা করার জন্ত অনেক চেষ্টা ও ত্যাগস্বীকার করিয়া থাকে। ইংলণ্ডে পৰ্য্যস্ত কাপড়ের মিল চালাইবার জন্ত ভারতীয় কাপড়ের উপর শতকরা ৭•৮০ অবধি কর বসাইয়াছিল। অর্থাৎ ভারতীয় শিল্পীকে দাবাইয়া রাখিয়া, নিজেদের বস্ত্রশিল্প বজার রাখিয়াছিল। আজ আমরা পরাধীন বলিয়া বিদেশী কাপড়ের আমদানী বন্ধ করতে অথবা তাহার উপর যথেষ্ট শুল্ক বসাইতে পারিতেছি না, কিন্তু যদি এই মৃতকল্প বস্ত্রশিল্পের পুনরুদ্ধার করিয়া দরিদ্র দেশবাসীর সেবায় লাগাইতে হয় তবে প্রথম প্রথম আমাদিগকে কিছু অধিক দাম দিতে স্বীকার করা কর্তব্য । আজ যদি ভারত স্বাধীন থাকিত, তাহা হইলে ত বিদেশী বন্ধের উপর যথাযোগ্য গুপ্ত বসিত এবং বিদেশী কাপড় কিনিতে গেলেই ঐ শুদ্ধ দেশস্থ খরিদারগণকে দিতে হইত-যেমন বিদেশের আমদানী লোহার উপর আমাদিগকে কর দিতে হইতেছে। কিন্তু সে অধিকার বতক্ষণ না আমাদের হস্তগত হয় ততক্ষণ ত আমাদের নিজেদের দৃঢ়তা ও শ্রদ্ধার বলে এই কাজ উদ্ধার করিতে হইবে। ইহার জন্ত যিনি গজ প্রতি দুই চার পয়সা বেশী খরচ করিতে নারাজ হইতেছেন, এক্ষণে র্তাহাকে দূরদর্শী হইয়া এই শিপ্তরূপী চরকার প্রাণ রক্ষণ করা কর্তব্য। একটি শিশুকে লালন পালন করিতে হইলে বহু পরিশ্রম কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করিতে হয়। শিশুর জন্ত লোকে এতখানি করে কেবল এই আশা করিয়া নয় কি, যে, ওই শিশুই বড় হইয়া আবার কত উপকারে আসিবে। ঠিক এইরূপ বস্তুতন্ত্রতার দিক দিয়া দেখিলেও এই পুনর্জন্ম প্রাপ্ত শিশু "চরকাটি প্রতিপাল্য। ইহার প্রতিষ্ঠার জন্ত আমাদিগকে