পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] এককালে এই শিশু আমাদের দেশের দরিদ্রতা দূর করিতে পরিবে। যিনি খদ্ধর ক্রয় করিবেন, তিনি ত কেবল গাত্রাবরণ বা বস্ত্রাভরণের জন্তই খদ্দর লইতেছেন না, পরস্তু দেশের ভয়ঙ্কর দুঃখ-দারিদ্র্য দূর করিবার চেষ্টা করিতেছেন। এবং কোটী কোটী নরনারীর লজ্জা নিবারণের উপায় করিতেছেন ,খন্ধর কেবল ক্রেতার লজ্জ নিবারণের বস্ত্র নহে, পরন্তু সমগ্র দেশের লজ্জা নিরাকরণের প্রতীক স্বরূপ । যদি একটি টাকার খদ্ধরও কেহ ক্রয় করেন তাহা হইলেও তিনি বুঝিবেন যে, তাহারই দেশের দরিদ্র এক অজানা অচেনা ভগিনীর জন্ত অস্ততঃ ৪৷৫ দিনের অল্প সংস্থান তিনি করিয়া দিলেন, এইজন্তই মহাত্মা গান্ধী বলিতেছেন যে, দেশবাসী মিলিয়া চরকা ধর,—স্বরাজস্বয় যজ্ঞ অনুষ্ঠান কর। প্রকৃত পক্ষে চরকা যজ্ঞই বটে। এই প্রবন্ধ লেখার পর ঐযুক্ত রাজেন্দ্রপ্রসাদ অখিলভারত চরকা সত্তেঘর বিহার প্রান্তীয় শাখার যে বার্ষিক বিবরণ পাঠাইয়াছেন, তাহা মহাত্মা গান্ধী ১৯২৭৷২০ শে জামুয়ারির ইয়ং ইণ্ডিয়া পত্রে প্রকাশ করিয়াছেন। গত ৩০শে সেপ্টেস্বর ১৯২৬ হইতে পিছনের দিকে ১২ মাসের বিবরণ উহাতে বিশেষ ভাবে রহিয়াছে । তাহার সারাংশ দেওয়া গেল । চরকা-সঙ্ঘের অধীনে থাদি বোর্ড এই প্রদেশ (বিহার') খন্দরের কাজ হাতে লইয়া অবধি যত টাকার খাদি উৎপন্ন ও বিক্রয় হইয়াছে তাহার ষাণ্ডাসিক হিসাব গুলি সংক্ষেপে এইরূপঃ– বাগ্মাসিক উৎপন্ন বিক্রয় ১৯২৪ এপ্রেল-সেপ্টেম্বর איי*,יי ۹ تا هواده ১৯২৪ অক্টোবর ১৯২৫ মার্চ ৩৫,২৭৩\ ২৭,৭৮৪N § *_ ewరిపి నిర్మిరిం4 ১৯২৫ এপ্রেল-সেপ্টেম্বর \ N. s*२० पञtछेiदङ्ग **२७ भां6 به ماه وده N ১৯২৬ মার্চ-সেপ্টেম্বর ৯৬,৭২৩\ N. কংগ্রেস অথবা খাদি বোর্ডের বাহিরে গান্ধী কুটির’ প্রভৃতি ব্যবসায়ীর উৎপন্ন বা বিক্রয়ের পরিমাণ উপরোক্ত হিসাবে দেওয়া হয় নাই। ১৯২৫ সাল পর্য্যন্ত এক গান্ধী ফুটরের ব্যবসাই বোর্ডের চেয়েও অধিক বিস্তৃত ছিল। ' বিহার প্রদেশে খাদি বোর্ডের অধীন আটটি বিশেষ কেহে খন্ধর উৎপাদন করিয়া ১১টি দোকান বা ডিপো - - 2) د-سسم۹ ع - &b,yఆt &},ఆకి* sss ब्रांथिब्रां दिक्लग्न कब्र इझेरलtझ् । कृहेछन श्रटैवडनिक কৰ্ম্মকর্তী সহ মোট ৩৫ জন কৰ্ম্মী সারা দিন পরিশ্রম করিয়া এই বৃহৎ ব্যাপার চালাইতেছেন। কমিঁদিগের মাসিক বৃত্তি গড়ে ২৫ টাকা । যে ১২ মাসের বিবরণ উল্লেখ করা গেল তাহাতে দেখা যায় ২৬৯৮ জন কাটুনী ( স্থত কাটুলী মেয়ে লোক ) ২৯, ৫১৯ টাকা উপার্জন করিয়াছে। ৪৮৯ জন জোলা তাতী মজুরী পাইয়াছে ৩৬, ৮৬২ ; ওজন দৰ্জী দুই মাসে উপার্জন করিয়াছে ২৩•N ; ৮ জন রঙ রাজ ৬ মাসে মায় রঙের খরচ, মজুরি পাইয়াছে ২,২৭৩\ ; ৪০ জন ধোপা ৬মাসে ১৯৫১ উপার্জন করিয়াছে। বলা বাহুল্য, কাটুলী ও জোল তাতী দিবসের সকল সময়ই ঐ কাজে লাগায় নাই। অনেকে ত অবসর মত এবং অনিয়মিত ভাবে কাজ করিয়াছে । কেবল যে, উৎপাদন ও বিক্রয় করিয়াছে, তা নয় ; পরন্তু জিনিষের উৎকর্ষ ও যথেষ্ট হইয়াছে । আবার খাদির দাম ও পুৰ্ব্বাপেক্ষ সস্ত হইয়াছে। ১৯২৩ সালে গজ প্রতি খাদির গড়পরতা দাম ছিল ১৫ পাহঁ ( অর্থাৎ প্রায় ১৬ আন ( ১৯২৬ সনে উহা M/ আনায় নামিয়াছে । [ সাধারণ ৩৬ ইঞ্চি বহরের থান ত এখন / আন yে আনি ] কাটনীর যখন নিকৃষ্ট বে-মজমুত স্বতা কাটিত, তখন বুনাই ( ৪৪ ইঞ্চি বহরের ) গঞ্জ প্রতি দিতে হইত J৩ ; কিন্তু এখন স্থতা ভাল হওয়ায় ৯/৩ (নয় পয়সা ) দাড়াইয়াছে। আবার আর একটি বড় কথা এই যে, এখন আর জোলা তাতীর হাতে কাটা স্বতায় কাপড় বুনিতে আপত্তি করিতেছে না। কারণ, মিলের মতন শক্ত স্থতাই তার এখন পাইতেছে, বিহারে জেলার কেহ কেহ ৭২ ইঞ্চি বহরের থানও বুলিতে পারিতেছে, নানা রকমের টুইল কোট বা কামিজের কাপড়ের হরেক রকমের পরিকল্পনা ফরমাস করিলেই বুনিয়া দেয়। বিহার - বিদ্যাপীঠের একটি স্নাতক (গ্রাজুয়েটু) রঙ রাজের কাজ ও ছাপার কাজ দক্ষতার সহিত পরিচালনা করিতেছেন। দুঃখের বিষয়, যত খাদি উৎপন্ন হইতেছে, বিহারে তত বিক্রয় হইতেছে না, কাজেই অনেক মাল জমির যাইতেছে। কিছু কিছু ভিন্ন প্রদেশে যায় বটে, ম্পি