পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ૪૧, বিরূপা ? আমার বক্ষে কি আর সেইরূপ করিয়া বাপইয়া পড়িবে না ? আগামী কল্য অমাবস্তা ; আমি উষ্ঠানবাটিকার দক্ষিণপ্রান্তে উপস্থিত থাকিব। তোমার দর্শন চাইই চাই। না আসিলে মৃতদেহ দেখিবে।” লিপিখানি পাঠ করিয়া রাজসভার এক নৈয়ায়িক কৰ্ম্মচার বলিলেন, যে, উহা গুঢ়লেখ” বা সাঙ্কেতিক ভাবে লিখিত । উহার উদ্দেশু রাজপ্রাসাদের অভ্যস্তরবাসী কোনও এক সহযড়যন্ত্রকারীকে অমাবস্যা রাত্রিতে খড়মের অপর পাটটিও অপহরণ করিয়া লেখকের হস্তে তাহ অর্পণ করান। কারণ “প্রাণপ্রতিম৷” বলিতে খড়ম ব্যতীত আর কি বুঝাইতে পারে তৎপরে “তোমা ও দর্শনে প্রাণ ব্যাকুল” ইহার অর্থ এক পাটি খড়ম অপর পাটিকে না দেখিয়া অর্থাৎ নিকটে না পাওয়াতে ষড়যন্ত্রকারীগণ বিশেষ ধ্যাকুল হইয়া উঠিয়াছে। “আমার বক্ষে” ইত্যাদির তাৎপৰ্য্য এই ষে পূৰ্ব্বে ষে রূপ খড়মের পাটটিকে প্রাসাদের অলিন্স হইতে নিক্ষেপ করিয়া ষড়যন্ত্রকারীকে দেওয়া হইয়াছিল এই বারও সেই রূপ করিতে লইবে। ষড়যন্ত্রকারী অমাবস্যা নিশিতে উষ্ঠানের দক্ষিণ প্রান্তে উপস্থিত থাকিবে, তাহাকে অপর পাটি খড়ম না দিলে বাহিরের ষড়যন্ত্রকারীগণ প্রাসাদঅধিবাসী ষড়যন্ত্রকারীকে অবশু হত্যা করিবে । এই ব্যাখ্যার পরে যে বেচারা পাটিক-প্রণয়ীর প্রতি শূলে চড়িবার আদেশ হইল, তাহা কি বলিয়া দিতে হইবে ? এই রূপ বহুশত অভিযোগে অযোধ্যারাজ্যের সকল বিচারালয় পূর্ণ হইয়া উঠিল। কোথাও তিন চার জন যুবক গোপনে নৌক আরোহণে সরযুবক্ষে ষড়যন্ত্র করিতেছিল ; কোথাও কেহ শুধু একাকী গৃহের ছাদে বসিয়া কি যেন কি কুচিস্তা করিতেছিল ; এইরূপ অভিযোগের ফলে অযোধ্যার বহুশত যুবক অযথা কারারূদ্ধ হইল। অবশু সমগ্র রাষ্ট্রের উপকারের জন্য সামান্ত কয়েকজন লোক কষ্টভোগ করিলে ইহার মধ্যে অস্তায় কিছুই ছিল না। বিচারালয়ে বিচারালয়ে যখন বিচার চলিতে লাগিল, সেই সময় অযোধ্যার গৃহে গৃহে রাজকৰ্ম্মচারীগণ প্রবেশ করিয়া হৃত খড়ম পাটিটির জন্ত খানাতল্লাসি করিতে লাগিল । কেহ যে কিছু লুকাইয়া রাখিবে এমন উপায় রহিল না। লোকের সিন্দুক, তোরঙ্গ, পুটুলি, হাড়ি, লেপ, তোষক, এমন কি ঘরের মেঝে পর্য্যস্ত খুড়িয়া খানাতল্পাস হইতে লাগিল। কিন্তু পাওরা গেল কিছুই না। রাজ-প্রাসাদে নানা স্থলের খানাতল্লাস লন্ধ বহু ছোট বড় নূতন পুরাতন খড়ম জাসিয়া গাদাও হইতে লাগিল। কিন্তু রামচন্ত্রের সেই ঐশ্রখড়মের পাটিটি যেমন নিরুদেশ তেমনি নিরুদেশই কুহিয়া গেল । - প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৫ ാ [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড ( t ) রাজ প্রাসাদের এক বৃহৎ উঠানে সারি সারি গণৎকারগণ খড়ি পাতিয়া বসিয়া হারান খড়মের ঠিকান অন্বেষণে লাগিয়া গেল। কেহ বলিল যে, তাহা একদল দস্থ্যর আস্তানায় বিন্ধ্যাচলের এক গুহ মধ্যে রহিয়াছে। অপর কেহ বলিল, উহা লইর একজন ডাইনী রামচন্দ্রের প্রাণনাশের জন্ত তুকতাক করিতেছে। এক এক জন এক এক কথা বলে এবং সেই অনুসারে রাজ্য ওলট-পালট হয়। কখন বিন্ধ্যাচলের গুহায়-গুহায় রাজার সেনাগণ ঘুরিয়া মরে, কখন বা বৃদ্ধ স্ত্রীলোকদিগের গৃছে গিয়া শাস্ত্রীগণ অত্যাচার করে। কিন্তু কোনই ফল হয় না । ভুল পথে চালাইবার জন্ত এক জনের পর একজন গণৎকারকে উণ্টো গাধায় চড়াইয়া রাজ্যের বার করিয়া দেওয়া হয়। ভরত ষড়যন্ত্রের ভয়ে কাতর। রাত্রে তাহার নিদ্রা হয় না। অন্ধকারে তিনি ছুরিকা দেখেন, খাদ্যে বিষ দেখেন এবং সৰ্ব্বত্র গুপ্ত ঘাতকের ছায়া দেখিয়া চমকিয়া উঠেন। তাহার জন্য প্রাসাদের সর্বত্র সারা রাত্রি প্রদীপ জলে । ভোজনকালে বিড়ালশাবকগণ রাজ-ভোগের ভাগ পাইয়া পাইয়া স্কুল বৰ্ত্ত লাকার হইয় উঠে এবং রাজপ্রাসাদের প্রহরীর নিত্য সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। এমন সময় একদিন রাজার প্রধান পুরোহিত অতি প্রাতে নিদ্রা ভাঙ্গিয় যাওয়ায় সরযু নদীতে অবগাহন করিতে গেলেন। সরযু নদীর স্বানের ঘাটের উপর একটি বৃক্ষের ছায়ায় এক বৃদ্ধ বসিয়া বসিয়া পুষ্প, মাল্য, তৈল প্রভৃতি বিক্রয় করে এবং স্বানাস্তে ফোটা কাটিবার জন্ত স্নানাধীদিগকে চন্দন সরবরাহ করে । পুরোহিত মহাশয় অত্যন্ত্রকাল জলে অবস্থান করিয়া উঠিয়া আসিয়া শিখার জন্য একটি পুষ্প ও তিলকের জন্ত কিছু চন্দন আহরণার্থে বৃদ্ধার নিকট গিয়া দাড়াইলেন। সে তাহাকে সাপ্তাঙ্গে প্ৰণিপাত করিয়া একটি ফুল দিল ; কিন্তু চন্দন দিতে গিয়া দেখিল চন্ধনের পাত্র শুষ্ঠ। ইহা দেখিয়া সে ঠাকুরকে বলিল, “প্ৰভু, আপনি দয়া করিয়া অল্পক্ষণ অপেক্ষ করুন, আমি আপনার জন্ত চন্দন বঁাটিয়া দিতেছি।” রাজशूरब्रांश्ऊि नैiफ़ाहेग्न चांग्झ्न । इश ककन वैi८िङ जांब्रड করিল। হঠাৎ পুরোহিত ঠাকুর বিকটম্বরে, “অ্যা, কি সৰ্ব্বনাশ - বলিরা চীৎকার করিয়া তীব্ৰগতিতে বুদ্ধার সম্মুখ ত্যাগ করিয়া উদ্ধশ্বাসে পলায়ন করিলেন। চারিদিকে ভিড় জমিয়া গেল। বুদ্ধাও কিছু বুঝিতে না পারিয়া “হায় কি কইল” বলিয়া আৰ্ত্তনাদ করিতে লাগিল । পুরোহিত ঠাকুর কিন্তু অনতিবিলম্বে কয়েকজন প্রহরী লইয়া সেই স্থলে ফিরিয়া জাগিলেন এবং খুৰ জোর গলায় বলিলেন, “ঐ বুদ্ধাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ কর ; এবং উছার পুটুলি খুলিয়া কি জাছে দেখ।” - --