পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা] যবদ্বীপের পথে 8b" इदि। ७३षांन निरबहे. भनिन्द्रब्र उिठब्र छूकण्ठ इछ । বারা দিয়ে ঢুকেই একটা বড়ে ঘর, তাতে মাঝখানে খুব উচু বেদীর উপরে বিরাট এক Pu-tai পুতাইবামৈত্রের বুদ্ধের মূৰ্ত্তি—বিপুল ভুড়িওয়ালা, খালী গী, হাতে জপের মাল,এক গাল হাসি একজন ভিক্ষু বসে আছেন। ডান ধারে বা ধীরে, দেওয়ালের দিকে পিছন ক'রে চার জন ( দুজন ডাইনে দুজন বায়ে ) রাক্ষলাকার অন্ত্রশস্ত্রধারী পুরুষের মূৰ্ত্তি ; এরা চার জন দিকৃপাল, মন্দিরের দ্বারপাল হিসাবে এদের অবস্থান। মূৰ্ত্তি গুলি মাটির, তার উপর রঙ-চঙ করা । এই দেউড়ি ঘর পেরিয়েই একটা উঠান। পাথরে বাপানো মস্ত উঠান, উঠানে পড়েই সাম্নে আসল মন্দির লক্ষ্য হয় ; আর বঁ। ধারে লম্বা ঘর একখানা, আর ডান ধারে কোণে প্যাগোডার আকারেতেতাল ছোটো একটা ইমারত— এটা হ’চ্ছে ঘণ্টাঘর ; ঘণ্টাঘরের লাগোয়া ডান দিকে আর একটি লম্বা ঘর । পাথরে বাধানে উঠোনটীর মধ্যে বড়ে বড়ে চীনা মাটির টবে বিস্তর পাত-বাহারের গাছ । আছে। উঠান পেরিয়ে ও ধারে বিহারের ঠাকুর ঘর। দরজার দুধারে পাথরের সিংহমূৰ্ত্তি, আর দুটাে পাথরের ছাত ওয়াল ঢাক খুপরী বা গুমটী ঘরের মতন আছে-জাপানী মুন্দিরের পাথরের দীপাধারগুলি কতকটা এই ধরণের হয়ে থাকে। ঠাকুর ঘরের দুই পাশ দিয়ে পিছনে আর একটা আঙিনায় যাবার পথ। ঠাকুর ঘরে ঢোকা গেল। চোখ ব’ললে দেয় এই রকম তার ভিতরের সাজ । বড়ে বড়ো অতিকায় বুদ্ধমূৰ্ত্তি, কতকগুলি শুামদেশথেকে আনা হয়েছে, শ্বেতপাথরের মূৰ্ত্তি, সোনায় হলকরা ধাতুমূৰ্ত্তি ; চীনা ধরণের উপবিষ্ট বুদ্ধমূৰ্ত্তি ; একটা চমৎকার Kuan-yin ফুআন-য়িন দেবীর মূৰ্ত্তি । লাল, হলদে, আর অন্ত রঙের সাটিনে, সোনার কাজে, ছাত থেকে ঝোলানো চীনা হয়ফ লেখা রঙীন সাটিনের লম্বা লম্বা ফালিতে, ত্ৰঞ্জের আর চীনা মাটির বড়ো বড়ো কলসে, সমস্তটায় একটা ঐশ্বৰ্য্যের আর জাকজমকের ছবি স্বষ্টি করেছে। আমাদের বুক সমান উচু বেদির উপরে এই সব ছোটাে বড়ো মূৰ্ত্তি। চীনাদের কারুকার্য্যময় হাতের নানা ছোটে-খাটো জিনিস । বেদির সাম্নে ধূপ জলছে,-দুপুরের আলো তো বাইরে থেকে এসে ঘরটাকে ভরিয়ে দিয়েছে, উজ্জ্বল জিনিসে প্রতি ফলিত হ’য়ে সে আলো আরও বেশী তেজোময় বলে মনে হচ্ছিল ; ধূপের ধোয়ার একটা ঘোর এনে জায়গায় জারগায় সেই চকুপীড়াদায়ক আলোকে যেন একটা ধূম্রবর্ণের কাপড়ে ঢেকে কোমল ক’রে দিয়েছে। একটি চীন পুরুষ বেদীর সামনে, নতজান্থ হয়ে বসে ঘাড় হেঁট ক’রে চোখ বুজে বিড়-বড় ক’রে প্রার্থনা করছে, কি মন্ত্র-টক্স পড়ছে। ঠাকুর ঘরের কোণে ছোটাে একটী পূজার উপকরণের দোকান ; সেখানে একজন বৃদ্ধ চীনা ভিক্ষু তার সাজিয়ে রাখা পটক, মন্ত্ৰলেখা কাগজ, ধৰ্ম্মপুস্তক, ধুপ ধুন প্রভৃতির মাৰে একটী চেয়ারে বলে বা হাতে পাথার বাতাস খাচ্ছে, আর টেবিলের উপর খাতা রেখে ডান হাতে তুলি দিয়ে তাতে কি লিখছে। বেশ একটা নিস্তন্ধ শান্তি ভাব, যেন কোনও মহারাজার সজ্জিত সভায় সকলে রাজার প্রতীক্ষায় রয়েছে। বাজে লোকের যাওয়া-আসা হুটোপটি এখানে নেই। আর সমস্ত ঘরটাকে যেন উদ্ভাসিত ক’রে রেখেছে ভগবান বুদ্ধের করুণাপুর্ণ স্মিত দৃষ্টি, অতগুলি বড়ো বড়ো বুদ্ধ মূর্তির চোখ থেকে যেন করুণা ঝরে পড়ছে। ফঙ, বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের বিশেষ খোজ খবর রাখেন না, আমাদের সব ভালো ক'রে দেখাবার জন্ত বিহারের একজন চাকরকে ডাকূলেন। বুড়ে ভিক্ষু যেটি ঠাকুর ঘরে ব’সেছিলেন র্তার সঙ্গে আমাদের পরিচয়” ক'রে দিলেন -আমরা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেকার লোক এই শুনেই ভিক্ষুটা খুব বিনয়ের সঙ্গে আমাদের অভিবাদন করলেন, ব’সতে ব’ললেন। বিহারের প্রধান যিনি, তিনি তখন উপস্থিত ছিলেন না । বিহারের সংক্রান্ত আরও জন কতক ব্যক্তি এসে পড়ল। স্বরেনবাবুর কাথে ক্যামেরাকুলছে, মাঝে মাঝে তিনি ছবি নিচ্ছেন, আর পকেট থেকে আঁকবার খাতা বার ক’রে সুরেন বাবু ধীরেন বাবু ছ জনের পেন্সিল দিয়ে স্কেচ করাও চলছে। বিহারের একজন চাকর এল, আমাদের সমস্ত ঘুরিয়ে নিয়ে দেখাবার জন্য। অনেক খানি জায়গা জুড়ে বিহার আর মন্দির। প্রথম আঙিনা, তারপর বড়ো ঠাকুর ঘর বা মন্দির, মন্দিরের পিছনে আর এক সান বাধানে ধারে ধারে নীচু রোরাক ওয়াল আর একটী আঙিনা এই আঙিনাতে পা দিয়েই বঁ। দিকে কতকগুলি দোতালা ঘর, সামনে একটা মস্ত দোতালা ঘর, আর ডান দিকে আরও কতকগুলো ঘর । বা দিকের দু একটি ঘরে দেবতাদের মূৰ্ত্তি আছে সেগুলি ছোটো ছোটো ঠাকুর ঘর। আর আছে একটী মস্ত হল-ঘর। সেটি হচ্ছে তিক্ষুদের ধ্যান আর জপের ঘর। এই ঘরটিতে দেয়ালের ধীরে ধীরে পাশাপাশি কতকগুলি সুন্দর কাজ করা কালো আবলুস কাঠের বড়ো বড়ো জল-চৌকীর মতন আসন আছে, প্রত্যেকটিতে এক জন ক’রে লোক বেশ আরামে খাটনমালা হয়ে ব’স্তে পারে। প্রত্যেক চৌকীর পাশে একটি ধ’রে ছোটাে টেবিল। এই ঘরে ভিক্ষুরা যে যার নির্দিষ্ট চৌকীতে পদ্মাসনে বসে প্রত্যেক দিন যত ঘণ্ট পারেন তত ঘণ্ট। ধ’রে ধ্যান করেন, আর ‘নান্‌-মে-ও-মি তো-ফো’ ‘নমো অমিতাভবুদ্ধায়া--এই মন্ত্র জপ করেন। এই ধান-চৰ্য্যা চীনের বৌদ্ধ বিহারের-- বিশেষতঃ chan ‘ছান’ অর্থাৎ ধ্যান মাগী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ বিহারের একটি প্রধান চৰ্য্যা। এই ধ্যান মাৰ্গ, খ্ৰীষ্টীয় ষষ্ঠ শতকের গোড়ায়