পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] : যে জমীর যেরূপ সার দরকার সে-বিষয়ে কৃষকের যথেষ্ট জ্ঞান জন্মাইবার জন্ত তাহার কিরূপ শিক্ষা আবগুক, কৃষককে এবিষয়ে পরামর্শ নিবার জন্ত কৃষিবিভাগের বন্দোবস্ত কিরূপ হওয়া দরকার—এইসকল প্রশ্নের মুমীমাংসা গবষ্মেন্ট প্রজাতন্ত্র না হইলে আশা করা যায় না। অতএব, এই কারণেও স্বরাজ স্থাপন আবস্তক হইয়াছে। কিন্তু স্বরাজ স্থাপন চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান গবন্মেণ্টকেও তাহার কর্তব্য করিতে বাধ্য করিবার চেষ্টা করিতে হইবে। অনেক নদী ভরাট হইয়া যাওয়ায়, তাহাতে স্রোত না থাকায়, এবং অনেক স্থানে কচুরী পানার প্রাচুর্ভাবে জলপথে বাণিজ্যের এবং মানুষের যাতায়াতের পূৰ্ব্ব সুবিধা লুপ্ত হইতে বসিয়াছে। ইহার প্রতিকারের ব্যাপক চেষ্ট রাজশক্তির দ্বারাই হইতে পারে। যে-সব বড় নদীতে জলযান এখনও চলে, তাহাতে বিদেশী ষ্টীমার কোম্পানীর কার্য্যতঃ একচেটিয়া অধিকার জন্মিয়াছে। দেশী কোন কোম্পানী জাহাজ চালাইবার চেষ্টা করিলে বিদেশী জাহাজের মালিকের ভাড়া কমাইয়া দেশী কোম্পানীর চেষ্টা ব্যর্থ করিয়া দেয়। যদি শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগীর বিল আইনে পরিণত হয়, তাহা হইলে ইহার প্রতিকার হইবে । বলা বাহুল্য, স্বরাজ স্থাপিত হইলে বিদেশী বণিকদের এই অষ্টায় ব্যবহারের প্রতিকার অবিলম্বে চইয়া যাইত। বিলাতী লৌহইস্পাত ব্যবসায়ীদের স্বার্থসিদ্ধির জন্ত, সব রকম বিলাতী ব্যবসাদারদের পণ্যদ্রব্য দেশের সর্বত্র বিক্রীর সুবিধার জল্প, এবং সৰ্ব্বত্র শীঘ্র ও সহজে সৈন্ত *ोंठोहेग्न! cनलएक ठं७ ७ अथैौन ब्रांशिशांग्न छछ हेशrब्रछ গবষ্মেন্ট রেলওয়ে নিৰ্ম্মাণে খুব বেশী মন দিয়াছেন, দেশের জলপথগুলি রক্ষায় মন দেন নাই । স্বাভাবিক কারণ ব্যতীত, রেলওয়ের উপদ্রবেও জলপথের ক্ষতি হইয়াছে। দেশে স্বরাজ থাকিলেও রেলওয়ে হইত বটে, কিন্তু জলপথের অনিষ্ট হইতে দেওয়া হইত না । সভ্য ও স্বাধীন পাশ্চাত্য দেশসকলে রেলওয়ে নিৰ্ম্মিত হইতেছে, আগে হইতে বিদ্যমান জলপথগুলি রক্ষিত হইতেছে, मूलन छण*थं शनिष्ठ इहेरङtझ, ७द९ अधूना यांछ्ष्यब्र ७.' পণ্যদ্রব্যের চলাচলের জন্তু আকাশযানের ব্যবহারও বিবিধ প্রসঙ্গ—স্বরাজ ও বাংলাদেশে দুভিক্ষ 85)ని বাড়িতেছে। অামাদের দেশে রেলওয়েগুলিই সরকারের পোষ্যপুত্র ; জলপথ যাহা আছে, তাহাও বিদেশী ষ্টীমার কোম্পানীর হস্তগত ; আকাশযান যদি পরে চলে, তাহাও এরূপ আইন অম্বুসারে চলিবে যাহাতে ইংরেজদেরই বেশী সুবিধা হয়। দেশে স্বরাজ স্থাপিত হইলে এরূপ হইত না। কিন্তু বর্তমান অবস্থাতেও যতটা অনিষ্ট নিবারিত ও ইষ্ট সাধিত হইতে পারে, তাহার চেষ্টা করিতে হইবে ; স্বরাজের অপেক্ষায় বসিয়া থাকিলে চলিবে না । এশিয়াটিক র্যাকুয়্যাল রেজিষ্টারে উল্লিখিত বঙ্গের তৎকালীন ধনশালিতার শেষ কারণ বাঙালীদের সমধিক শ্রমশীলতা । ইহা পড়িয়া এখন হয় ত অনেকে বিশ্মিত • হইবেন, এবং কথাটির সত্যতায় সন্দিহান হইবেন । কিন্তু সন্দেহ করিবার যথেষ্ট কোন কারণ নাই। বর্তমান সময়ে অবগু দেখা যাইতেছে, যে, রেলওয়ে ষ্টেশনে ও জাহাজের ঘাটে, কলিকাতা প্রভৃতি প্রধান প্রধান বাণিজ্য-কেন্ত্রে এবং সমুদয় পাটের কল ও অন্তান্ত কলকারখানার সমুদায় বা অধিকাংশ কুলি মজুর কারিগর অ-যাঙালী । সমুদয় বড় সহরে পাচকাদি গৃহভূত্য প্রায় সব অ-বাঙালী হইতে বসিয়াছে। চাষের কাজের জন্ত পৰ্যন্ত বিস্তর জায়গায় চাবীরা অ-বাঙালী মজুর লাগাইয় কাজ করিতেছে। ছুডারের কাজ অনেক জায়গায় চীনাদের হাতে যাইতেছে। রাজমিস্ত্রীর কাজ কলিকাতায় বহুপরিমাণে অ-বাঙালীর হাতে গিয়াছে। কলিকাতায় মোটরচালক ও মোটর মিস্ত্রীদের মধ্যে পঞ্জাবীদের সংখ্যা খুব বেশী । এই সব দেখিয়া বাঙালী যে কোনকালে শ্রমে পটু ও শ্রমে অভ্যন্ত ছিল, এমন-কি এবিষয়ে শ্রেষ্ঠ ছিল, তাহা বিশ্বাস করা কঠিন হইয় পড়ে। কিন্তু তাহা হইলেও বাঙালী শ্রমশীল ছিল, ইহা সত্য। তাছা যদি হয়, তবে অবনতির কারণ অনুসন্ধান করিতে হইবে । , একটি কারণ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই। বঙ্গের সকল জেলাতেই অনেক বৎসর হইতে খুব ম্যালেরিয়া হইতেছে। কয়েকটি জেলায় ত লোকে কয়েক পুরুষ ধরিয়া ঐ রোগে জর্জরিত হইয়াছে । ম্যালেরিয়া লোকদের শ্রমশক্তির ও আয়ুর হ্রাসের একটি কারণ। যাহারা পরিশ্রম করিতে