পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ماه به প্রবাসী, শ্রাবণ, ১৩৩৫ [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড حیات معتحمیسی سیستمعام ഹ গেলে, নৌকোর কাজও পূর্কের চেয়ে হলো অনেক বেশি ७ अtनक विकिंछ । अर्थीं९ भांष्ट्रप्शन्न ठन्नैौ cनोरक भांमव. প্রকৃতির জটিলতার পরিচয়ে কেবল এগিয়ে চ’ললো। আজ যদি বলি নৌকো ফেলে দিয়ে ভেলায় ফিরে গেলে, অনেক দায় বঁাচে, তবে তার উত্তরে ব’লতে হবে মনুষ্যত্বের দায় মাছুষকে বহন করাই চাই। মানুষের বহুধা শক্তি, সেই শক্তির যোগে নিহিতার্থকে কেবলি উদঘাটিত করতে হবে—মানুষ কোথাও থামৃতে পাবে না। মামুষের পক্ষে “নাল্পেমুখমস্তি।” অধিককে বাদ দিয়ে সহজ করা মানুষের নয়, সমস্তকে নিয়ে সামঞ্জস্য করাই তার। কলকারখানার যুগে ব্যবসা থেকে সৌন্দৰ্য্য-বোধকে বাদ দিয়ে জিনিষটাকে সেই পরিমাণে সহজ করেছে; তাতেই মুনফার বুভুক্ষl.কুত্রতায় দানবীয় হয়ে উঠলো । এদিকে মান্ধাতায় আমলের হাল লাঙল ঘানি টেকি থেকে বিজ্ঞানকে চেচে মুছে ফেলায় ওগুলো সহজ হ’য়েছে, সেই পরিমাণে এদের আশ্রিত জীবিকা অপটুতায় স্থাবর হয়ে রইলো, বাড়েও না এগিয়ে চলেও না, নড় বড়, করতে ক’রতে কোন মতে টিকে থাকে। তার পরে মার খেয়ে মরে শক্ত হাতের থেকে। প্রকৃতি পশুকেই সহজ ক’রেছে, তারই জন্ত স্বল্পতা ; মানুষকে ক’রেছে জটিল, তার জন্তে পূর্ণতা। সাতারকে সহজ করতে হয় বিচিত্র হাত-পা- নাড়ার সামঞ্জস্য ঘটিয়ে ; হাটুজলে কাদা আঁকড়ে অল্প পরিমাণে হাত-পা ছুড়ে নয়। ধনের আড়ম্বর থেকে গুরু আমাদের বঁাচান, দারিদ্র্যের সঙ্কীর্ণতার মধ্যে ঘের দিয়ে নয়, ঐশ্বৰ্য্যের অপ্ৰমত্ত পুর্ণতায় মাচুষের গৌরববোধকে জাগ্রত ক'রে । এই সমস্ত কথা ভাবছি এমন সময় আমাদের ফরাসী জাহাজ এলো পণ্ডিচেরী বন্দরে। ভাঙা শরীর নিয়ে যথেষ্ট কষ্ট করেই নামৃতে হ’লো-ত হোক, অরবিন ঘোষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। প্রথম দৃষ্টিতেই বুঝলুম,— ইনি আত্মাকেট সবচেয়ে সত্য করে চেয়েছেন, সত্য ক’রে পেয়েছেন। সেই তার দীর্ঘ তপস্যার চাওয়া ও পাওয়ার দ্বারা তার সত্তা ওতপ্রোত। আমার মন বললে, ইনি এর অন্তরের আলো দিয়েই বাহিরে আলো জালবেন। কথা বেশি বলবার সময় হাতে ছিল না। অতি অন্নক্ষণ ছিলুম। তারি মধ্যে মনে ক’লে, তার মধ্যে সহজ প্রেরণাশক্তি পুঞ্জিত। কোনো খর-দস্তুর মতের উপদেবতার নৈবেদ্যরূপে সত্যের উপলব্ধিকে তিনি ক্লিষ্ট ও খৰ্ব্ব করেন নি। তাই তার মুখশ্ৰীতে এমন সৌন্দৰ্য্যময় শাস্তির উজ্জল আভা। মধ্য যুগের খৃষ্টান সন্ন্যাসীর কাছে দীক্ষা নিয়ে তিনি জীবনকে রিক্ত শুদ্ধ করাকেই চরিতার্থতা বলেননি। আপনার মধ্যে ঋষি পিতামহের এই বাণী অনুভব করেছেন, যুক্তাত্মানঃ সৰ্ব্বমেবাবিশন্তি। পরিপূর্ণের যোগে সকলেরই মধ্যে প্রবেশাধিকার আত্মার শ্রেষ্ঠ অধিকার । আমি তাকে ব’লে এলুম,—আত্মার বাণী বহন করে আপনি আমাদের মধ্যে বেরিয়ে আসবেন এই অপেক্ষায় থাকৃবো। সেই বাণীতে ভারতের নিমন্ত্রণ বাজ বে, খৃস্তু বিশ্বে। প্রথম তপোবনে শকুন্তলার উদ্বোধন হ’য়েছিল যৌবনের অভিঘাতে প্রাণের চাঞ্চল্যে। দ্বিতীর তপোবনে র্তার বিকাশ হ’য়েছিল আত্মার শাস্তিতে। অরবিন্দকে তার যৌবনের মুখে ক্ষুব্ধ আন্দোলনের মধ্যে যে তপস্যার আসনে দেখেছিলুম সেখানে তাকে জানিয়েছি— অরবিন, রবীন্দ্রের লহ নমস্কার । আজ তাকে দেখলুম তার দ্বিতীর তপস্যার আসনে, অগ্ৰগলভ স্তব্ধতায়,—আজও তাকে মনে মনে ব’লে এলুম— - অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহ নমস্কার । श्रृंोडिजि छोइोछ ২৯ মে ১৯২৮