পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] (3) ১৭,১৮ ও ১৯ সংখ্যক শ্লোকে ব্ৰহ্মার দিন রাত্রি এবং স্বষ্টি ও প্রলয়ের কথা বলা হইয়াছে। প্রলয়-কালে সমুদায়ই অব্যক্তে লীন হয়। এই অধ্যক্ত ‘প্রকৃতি’ই একটি নাম। ইহার পরের শ্লোক এই – “সেই অব্যক্ত হইতে শ্রেষ্ঠ যে অন্ত একটি অব্যক্ত সনাতন ভাব ( আছে ) তাহ সমুদ্রায় ভূত বিনষ্ট হইলেও विनष्ठे झग्न ना” ।। ४:२० ইহার পরের শ্লোকে বলা হইয়াছে – “(এই ) অব্যক্তই অক্ষর" এইরূপ উক্ত হয়। তাহাকে পরম গতি বলা হয়। যাহাকে প্রাপ্ত হইলে আর পুনরাবর্তন করিতে হয় না, তাহাই আমার পরম ধাম । ৮২১ অক্ষর প্রাপ্তি হইলে আর পুনরাবর্তন করিতে হয় না। সুতরাং অক্ষরই পরমাত্মা । একাদশ শ্লোকে যে অক্ষরের কথা বলা হইয়াছে, এই শ্লোকে ও সেই অক্ষরের কথাই বলা হইল। এই অক্ষরই ‘পরমাগতি । সুতরাং অক্ষর অপেক্ষ শ্রেষ্ঠতর কিছুই নাই । এই প্রসঙ্গেই পরের শ্লোকে পরম পুরুষের কথা বলা হইয়াছে। শ্লোকটি এই – “হে পার্থ। ভূত-সমুহ যাঙ্গর অভ্যস্তরে অবস্থিত, এবং যাহার দ্বারা এই সমুদায় ব্যাপ্ত, সেই পরম পুরুষ ( পুরুষঃ পরঃ ) অনন্ত ভক্তি দ্বারাই লভ্য” । ৮২২ এ স্থলেও অক্ষর' কে লক্ষ্য করিয়াই “পরম পুরুষ” ব্যবহৃত হইয়াছে। এই অধ্যায়ে এই স্থলেই অক্ষর তত্ব শেষ হইয়াছে। আলোচনা করিয়া আমরা এই সিদ্ধাস্তে উপনীত হইলাম । ১। অক্ষরকে লাভ করিলে আর পুনর্জন্ম হয় না। ২ । অক্ষরই পরমাগতি । ৩। অক্ষরই পরব্রহ্ম এবং পরম পুরুষ । (R) একাদশ অধ্যায়ে ‘অক্ষর বিষয়ে দুইটি শ্লোক আছে। প্রথম শ্লোকটিতে অর্জুন কৃষ্ণরূপী ভগবানকে সম্বোধন করিয়া এইরূপ বলিয়াছেন – গীতার অক্ষর ও ব্রহ্ম SMMAMMA AMMeeAMeAeAMMAMeeeAeAMMAMAMMAMMMMAAeeASAMA AMeA AeeMMMAMMAeeeeA AMAeeMAMAMAMAMAMAMAMMAAAA Q>> " “তুমিই বেদিতব্য পরম অক্ষর (স্বম্ অক্ষর পরমম্ বেদিতব্যম্) ; তুমি অব্যয় ও শাশ্বত ; এবং ধৰ্ম্মের রক্ষাকৰ্ত্ত ; তুমি সনাতন পুরুষ - ইহাই আমার মত। ১১১৮ এস্থলে বলা হইল যিনি পরমাত্মা, তিনিই অক্ষর । এই অধ্যায়েরই অপর এক স্থলে এইরূপ আছে :– “হে অনন্ত ! হে দেবেশ! হে জগন্নিবাস! তুমি সৎ ( = ব্যক্ত ) এবং অসৎ ( = অব্যক্ত ) এবং এ সমুদায় হইতে শ্ৰেষ্ঠ যে ‘অক্ষর’ তাহাও তুমি”। ১১৩৭ অক্ষর “সং অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ, অসৎ' অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ । সুতরাং এই অক্ষরই পরমাত্মা । ( ৩ } দ্বাদশ অধ্যায়ে অক্ষরের উপাসনা বিষয়ে আলোচনা করা হইয়াছে । অৰ্জুন কৃষ্ণকে এইরূপ প্রশ্ন করিয়াছিলেন— সততযুক্ত ভক্তগণ তোমার উপাসনা করে, আর এক শ্রেণীর সাধক অধ্যক্ত ব্রহ্মের উপাসনা করে—এই দুই শ্রেণীর উপাসকদিগের মধ্যে কোন শ্রেণীর উপাসক শ্রেষ্ঠ যোণী ? ইহার উত্তরে ক্লঞ্চ বলিয়াছিলেন – • আমাতে মন আবিষ্ট করিয়া, নিত্যযুক্ত হইয়। পরম শ্রদ্ধার সঞ্চিত যাহারা আমাকে উপাসনা করে, তাহার যুক্ততম—আমি ইহাই মনে করি। ১২২ কিন্তু বাহারা সৰ্ব্বত্র সমবুদ্ধি হইয়া ইন্দ্রিয়গণকে সংষত করিয়া এবং সৰ্ব্বভূতে রত থাকিয়া অনিৰ্দ্দেশ্য, অব্যক্ত, সৰ্ব্বত্রগ, অচিস্ত্য, কুটস্থ অচল, ধ্রুব অক্ষরকে উপাসনা করে তাহার। আমাকেই প্রাপ্ত হয়। সেই অব্যক্তাসক্ত ব্যক্তিগণের অধিকতর ক্লেশ হয় ; কারণ দেহিগণ দুঃখেই অব্যক্তাগতি প্রাপ্ত হয় ১২৫ এস্থলে বলা হইয়াছে যে, অক্ষরই অনির্দেশু, অব্যক্ত, সৰ্ব্বত্রগ, অচিন্ত্য, কুটস্থ, অচল এবং ধ্রুব। এসমুদায় পরমাত্মা বা পরব্রহ্মেরই বিশেষণ। সুতরাং সিদ্ধান্ত এই যে, অক্ষরই ծՀյծ չՀIՎ,8 পরমাত্মা বা পরব্রহ্ম । উদ্ভূত কয়েকটি শ্লোকে জ্ঞানপথের সহিত ভক্তিপথের তুলনা করা হইয়াছে। জ্ঞানপথে ছঃখ অনেক, কিন্তু ভক্তি