পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা] গীতার অক্ষর ও ব্রহ্ম (t) రి AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAeeAMAAASAAAA SAASAASAASAASAASAAAS এক পুরুষোত্তমের কল্পনা করা অনর্থক হইয়া পড়ে। গীতাতে কিন্তু পুরুষোত্তম’ নামক তৃতীয় পুরুষেয় কল্পনা করা হইয়াছে (১৫১৮) । প্রকৃত পক্ষে কুটস্থ অক্ষরই পুরুষোত্তম। গীতাতে যে অক্ষরকে হীন করিয়া নুতন পুরুষোত্তমবাদ বাখ্যাত হইয়াছে ইহার বিশেষ কারণ আছে । কূটন্থ শম্বের দ্বিতীয় অর্থ গ্রহণ করিলে সমগ্র অংশের একটা সঙ্গত অর্থ করা সম্ভষ। কুটস্থ যদি মায়া যুক্ত ঈশ্বর হন, তাহা হইলে পুরুষোত্তম হইবেন মায়ার অতীত তুরীয় ব্রহ্ম। কিন্তু এই প্রকার অর্থ অপ্রচলিত। (৩) অষ্টাদশ শ্লোকে কৃষ্ণ বলিয়াছেন যে, “আমি বেদে পুরুষোত্তম বলিয়া প্রথিত হই” । কথাটা ঠিক নহে। কোন বেদের কোন শাখাতেই কৃষ্ণকে বা কৃষ্ণরূপী ভগবানকে বা পরমাত্মাকে পুরুষোত্তম বলা হয় নাই। প্রধান এবং প্রাচীন উপনিষৎ বার থানা ; এই সমুদার উপনিষদের কোন স্থলেই বলা হয় নাই যে, পরমাত্মা বা আর কেহ পুরুষোত্তম। পুরুষোত্তম’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় নাই । _ ছানোগ্য উপনিষদের এক স্থলে ( ৮,১২৩ ) "উত্তমঃ পুরুষঃ” এই কথাটি ব্যবহৃত হুইয়াছে। কিন্তু এ উত্তম পুরুষ -পরমাত্মা নহেন। শরীরী আত্মা দেহ হইতে নিগ্রাস্ত হইয়া পরম জ্যোতিঃ সম্পন্ন হইলে তাহাকে উত্তম পুরুষ বলা হর-ইহাই ঐ স্থলে (৮৷১২৩ ) উক্ত হইয়াছে । প্রকৃত কথা এই—“পুরুষোত্তম শ্ৰীকৃষ্ণের একটি বিশেষ নাম। বৈষ্ণবসম্প্রদায়ে নামটি প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছে । পুরুষোত্তম বলিলেই ইহার বুঝেন শ্ৰীকৃষ্ণ বা গোবিদ বা বাসুদেব ইত্যাদি । বৈষ্ণব সাহিত্যে ইহার বহুল প্রয়োগ আছে। বৈষ্ণব পুরাণ এবং সাম্প্রদায়িক উপনিষদেও ইহার ব্যবহার দেখা যায়। গীতার পুরুষোত্তম’বাদ একটি বৈষ্ণব মত ; ইহা বৈদাস্তিক মত নহে। অস্ত্যত্র ‘ক্ষরাক্ষর' বাদ মহাভারতের কয়েকটি শ্লোকে ক্ষরাক্ষর তত্ত্ব বিবৃত : হুইয়াছে। শ্লোক কয়েকটি এই – • - وه )t-s अक्ब्रक क्रब्रटेकर बरोडाश्वांशभाजनः । ক্ষর: সৰ্ব্বেষু ভূতেষু দিবি • ২্যসূতমক্ষরম্ ॥ (২৩৮৩১, কলিকাতা সং ) অর্থাৎ আত্মার দুই ভাব-ক্ষর এবং অক্ষর। ভূতসমূহে ‘ক্ষর' এবং দিষ্যলোকে ‘অক্ষর । নবদ্বারং পুরং গত্বাহুংসোহি নিয়তো বশী !, ঈশ: সৰ্ব্বস্ত ভূতস্ত স্থাবরস্ত চরস্ত চ। 는er|3 ( যিনি ) স্থাবরজঙ্গমাত্মক সৰ্ব্বভূতের ঈশ্বর, অচঞ্চল ও বশী, (তিনি ) নবদ্বারযুক্ত পুরে (অর্থাৎ মানবদেহে ) প্রবেশ করিয়া হংস ( নামে খ্যাত হন )। পরের শ্লোক উদ্ধত হইল না ; আজ পরমেশ্বরকে কেন হংস বলা হয় তাহাই এই শ্লোকে বর্ণিত হইয়াছে। ইহার পরের শ্লোক এই – ইংসোত্তং চাক্ষরঞ্চৈব কূটম্বং মৃত্তাক্ষরমূ। তদ্বিদ্বানক্ষরং প্রাপ্য জহাতি প্রাণ জন্মণী ২৩৮॥৩৪ “যিনি হংস নামক অক্ষর, তিনিই কুটস্থ অক্ষর ; জ্ঞানযান এই অক্ষরকে লাভ করিয়া প্রাণ ও জন্মের অতীত হয় ।” এই স্থলে কুটস্থ, অক্ষর, এবং পরমাত্মা একই। ইহা উপনিষদেরই অদ্বৈতবাদ। এই মতই পূৰ্ব্বে প্রচলিত ছিল। গীতাতে প্রথম শ্লোকটি পরিবর্তিত আকারে গৃহীত হইয়াছে। আর ক্ষরাক্ষরবাদের যে পরিবর্তন করা হইয়াছে তাহা গুরুতর। শাস্তিপর্বের ক্ষরাক্ষরতত্ত্ব অদ্বৈতবাদ ; গীতাতে ইহার স্থলে প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছে ত্রিত্ববাদ । এই অংশের ক্ষর, অক্ষর এবং পুরুষোত্তম তিনটি পৃথক সত্তা । আমাদিগের মনে হয় মৌলিক গীতাতে এই অংশ ছিল না। প্রাচীনকালেই কোন বৈষ্ণব সম্পাদক ঐ গ্রন্থকে নিজ সম্প্রদায়ের অনুকুঙ্গভাবে সম্পাদন করিয়াছিলেন। এইজন্ত তাহাকে অনেক স্থলে নূতন নূতন শ্লোক গ্রথিত করিতে হইরাছিল। ‘ক্ষরাক্ষর সংক্রান্ত শ্লোক-সমূহও এই শ্রেণীর। প্রক্ষিপ্ত করিবার উদেখ– • কলিকাতা সংস্করণের পাঠ দিব্যম্’। আমরা কুম্বকোশষ্ট ংস্করণের পাঠ গ্রহণ করিলাম।