পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গত বোধ হইতেছে। শত্রুর এরূপ কৌশলে লোকের ভয় হইতে পারে, কিন্তু আর কোন ফল হইবে না। যুদ্ধ ন হইলে কিছু মীমাংসা হইবে না, শত্রুসৈন্ত ও অধিক দিন প্রচ্ছন্ন থাকা অসম্ভব । পর দিবস রাজা শিশের স্বয়ং আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনিও পথে আসিতে এই সকল কথা শুনিয়াছিলেন। তিনি আসিয়াই সেনাপতিকে কহিলেন, শক্র আমাদের গ্রামসমুহ অধিকার করিতেছে আপনি যুদ্ধ না করিয়া নিশ্চেষ্ট রহিয়াছেন কেন ? সেনাপতি কছিলেন,—শত্ৰু কোন গ্রাম অধিকার করে লাই, কেবল শাসাইয়াছে। শত্রুসৈন্ত লুকাইয়া আছে, তাহাদের সংবাদ পাইলেই আমরা যুদ্ধে অগ্রসর হইব । —রাজ্যসীমায় অস্তপালের সংবাদ কি ? আরাতাম কহিলেন-আমি দেখিয়া আসিয়াছি তিনি দুৰ্গরক্ষা করিতেছেন। কাল তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিব । 曝 পর দিবস আরাতাম ও একজন সেনানায়ক তলিতায় আরোহণ করিয়া রাজ্যসীমান্তের দুর্গে উপনীত হইলেন । দুৰ্গরক্ষক অন্তপাল কহিলেন, দুর্গের সৰ্ব্বোচ্চ স্থানে সৰ্ব্বদ প্রহরী থাকে। মাঝে মাঝে শক্রর অল্পসংখ্যক অশ্বারোহী সৈন্ত দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু পদাতিক সৈন্ত কোথায় আছে তিনি জানেন না। এ পর্য্যন্ত দুর্গ আক্রমণের কোন উপক্রম হয় নাই। সেনানায়ক কহিলেন,—রাজা শিশের ও সেনাপতি জিজ্ঞাসা করিয়াছেন যদি শত্র সবলে এই দুর্গ আক্রমণ করে এবং আমাদের অপর সৈন্ত আসিতে বিলম্ব হয় তাহা হইলে কয় দিন আপনি দুর্গ রক্ষা করিতে পারেন ? —শত্ৰু ধে এ পর্য্যন্ত আমাদিগকে আক্রমণ করে নাই তাহাতেই অনুমান হইতেছে যে, এ দুর্গ অধিকার করিবার জন্ত তাঁহাদের বিশেষ ব্যগ্রতা নাই। বহুসংখ্যক সৈন্ত এই দুর্গের আক্রমণের জন্ত এখানে রাখিলে কি লাভ ? দুর্গ তেমন বড় নয়, আমাদের সংখ্যাও অল্প । এ দুর্গ অধিকার - কৱিলেও প্রকৃত জয়-পরাজয় কিছুই স্থির হইবে না, রাজ্যের জগন্ন অংশ বাহার এই ছৰ্গও কালে তাহার হইবে। বই 4-سمبيول AMASAMAAA AAAA AAAA AAAAMA AMMAeAMAMeeeMMMMAMMAeeAeeAMAeMMMMMAMeAMMAAAA ৫৩৭ নিৰ্ম্মিত হয়। যদি শক্র আমাদিগকে আক্রমণ করে তাহা । হইলে পনর দিন আমরা দুর্গ রক্ষা করিতে পারি। ওদিকে শত্রুপক্ষের সৈন্তগণ বিরক্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করিতে লাগিল। তাহারা বলিতে লাগিল,— আমরা যুদ্ধ করিতে আসিয়াছি না লুকাইয়া থাকিতে আসিয়াছি ? এরকম করিয়া আমাদিগকে আবদ্ধ করিয়া রাখিবায় কারণ কি ? যে-সকল অশ্বারোহী রূদেলার जप्त्र यांशेठ ठांशंब्रांe अeथनग्न इहेण । न श्रांप्इ णम्नहेि, না আছে লুটপাট, দিবারাত্রি অশ্বারোহণে গ্রামে গ্রামে ভ্রমণ করিয়া কি ফল ? অারদিও সেই পক্ষে যোগ দিলেন। রুদেলাকে কছিলেন,—তোমার কি উদ্বেগু আমি বুঝিতে পারিতেছি না। এমন করিয়া সৈন্ত লুকাইর রাখিয়াছ কেন ? যতই দিন যাইবে শিশেরার সৈন্ত প্রবল হইবে আর তাঁহাদের সংখ্যা বাড়িবে। এ পর্য্যস্ত একটা রীতিমত যুদ্ধ হয় নাই। সৈন্তের অসন্তুষ্ট হইয়া উঠতেছে । দুই চারিট গ্রামে গিয়া আস্ফালন করিলে কি হইবে ? রুদেল আরাদের মুখের দিকে স্থিরদৃষ্টিতে চাহিয়া জঙ্গ হাসিলেন। কহিলেন,—যুদ্ধ তোমার জন্ত, তুমি রাজ্যের প্রত্যাশা কর । সৈম্ভের ভারও তুমি গ্রহণ কর না কেন ? আরাদ অপ্রতিভ হইয়া কছিলেন,-আমি কোন অভিযোগ করিতেছি না। তুমি আমার পক্ষে না হইলে আমি কিছুই করিতে পারিতাম না । তুমি কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে এরূপ করিতেছ তাহাও বুঝিতে পারি, কিন্তু কিছু না জানিলে সৈন্ত অবাধ্য হইতে পারে, আমাদের মন চঞ্চল ह्युम्न । —তুমি ভাবিয়া দেখ ইতিমধ্যেই আমাদের কিছু লাভ হইয়াছে কি না। দূরে দূরে গ্রামে গ্রামে প্রজাদের আতঙ্ক হইয়াছে, আমরা যেখানে যাইব তাহারা তৎক্ষণাৎ আমাদের পক্ষে হইবে। রাজসেনাপতি সসৈন্তে কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া আছেন, কোথায় সৈন্ত লইয়া যাইবেন নির্ণয় করিতে পারিতেছে না। আমাদের পক্ষের লোক বিশলাম নগরে গোপনে আয়োজন করিতেছে, ইচ্ছা করিলেই নগর জামাদের হস্তগত হইবে। এইবার আমরা সসৈন্তে বাছি*