পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । আপন-পর 设像歌 কেসিয়ার-বাৰু নোটের তাড়াগুলি গুণিতেছিলেন, সে-দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া প্রকাশ কিছুকাল নীরবে বসিয়া রছিল। অনর্থক এই লোকটির অন্তরে আঘাত দিবার দুই মতলব অকস্মাৎ তাহার মাথায় গিজ, গিজ, করিয়া উঠিল । সে কছিল,—বুঝি মশায়, সবাবুঝি। টাকা-কড়ি নিজে সরিয়ে চুরির দায় আর-একজনার উপর চাপাবার মতলব করেছেন। সেইজন্তই বুঝি নিজের হিসাব গরমিল করে’ আমায় ডেকে আনা হয়েছিল। আর সাহেব ডাকার অছিলায় সিন্দুক খোলা রেখে আমায় একলা ঘরে ফেলে’ সরে পড়লেন। পরীক্ষা-শেষে সিন্দুক বন্ধ করিয়া কেলিয়ার-বাবু চেয়ারে আসিয়া বসিলেন । তারপর প্রকাশের পানে একটি ভৎসন-পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া কছিলেন,—আমি বড় দুঃখিত হয়েছি, প্রকাশ। তুমি বে আমাকে এমনি জঘন্ত সন্দেহ করতে পার, তা জানতাম না। 概 প্রকাশের মুখ কঠিন হইয়া উঠিল। সে কহিল,— আমি কাউকে বিশ্বাস করি ভেবেছেন ? 号 কেসিয়ার-বাবু বিক্ষিত হইয় তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রছিলেন। কহিলেন,- কাউকে বিশ্বাস কর না ! সে কি ! —ছ। সত্যি কথা । আমি কাউকে বিশ্বাস করি | | —কেন কর না ? —আপনার কাছে আমি তায় কোন কৈফিয়ৎ দিতে 5हे ना । কেসিয়ার-বাৰু মুহূৰ্ত্তকাল নীরব রছিলেন। ভারপর কছিলেন,— আমি তোমায় বুঝতে পারছি না, প্রকাশ। এ কৈফিরতের কথা নয়। তোমার অল্প বয়স। এ বয়সে লোকের উপর এমন ধারা বিশ্বাস হারানো ভাল কথা त्रश्च । -शांकू मनांग्न । जांशि ७दिषtब्र कांङ्गग्न छै*८१* कांहे না, বলিয়া প্রকাশ বিস্বরাবিষ্টকেলিয়ার-বাবুর দিকে হিসাবের কাগজপত্র ছড়িয়া দিয়া বাহিরে চলিয়া গেল। ছুটির পর আপিসের এই ব্যাপারটি পর্যালোচনা করিতে করিতে প্রকাশ পথ চলিতে লাগিল। সে জাজ কেলিয়ারবাবুর সঙ্গে ইচ্ছা করিয়া ঝগড়া করিয়াছে। কেন ? অসাবধানতা বশতঃ তিনি সিন্মুকটি খুলিয়া রাখিয়া বাহিরে গিয়াছিলেন, তাহাতে কাহার কি ক্ষতি হইয়াছে ? তিনি যদি প্রকাশের হাতে চাবির গোছা সপিয়া দিয়া এই বলিয়া চলিয়া যাইতেন যে,--সব রহিল, তুমি দেখিও ত ভাই— তাহা হইলে সে কি তাহার সহিত ঝগড়া করিতে পারিত ? সে স্পষ্ট বুঝিতে পারিল,দোকানে মিষ্টার-ভরা কাচের বাক্সের চারিদিকে যেমন মৌমাছি ঘুরিয়া বেড়ায় তাহার মনও তেমনি ঐ সিন্দুকটির চতুষ্পাশে ঘুরিতেছিল, এবং যেপ্রবৃত্তি তাহার অস্তরে জাগিয়াছিল—সেই প্রবৃত্তি ও আসল . অপরাধের মধ্যে তাহার শিক্ষা ও সংস্কার অচিরাং একটি নীতির প্রাচীর গাধিয়া তুলিয়াছে। কিন্তু এ সব কথা ভাবিতে গিয়া বিষয়টির আর-একটা দিক্ মনে উঠিতে, নিজকে সে অপরাধী বলিয়া সাব্যস্ত করিতে কোন মতেই পারিল না। কিসের নীতি ? নীতির জন্য মানুষ, না माष्ट्रप्शन्न अछ नौउि ? cन दनेि भांष्ट्राषब्र uहें छौ५ সংস্কার ছাপাইয়া বাধাবন্ধহীন মুক্তির স্বরে আপন জীবন বীণা বঁাধিতে পারিত ! একপক্ষকাল কাটিয়া গেল। দিনগুলি একই রকম সহিষ্ণুতার বোঝা বহিয়া একে একে চলিয়া যাইতে লাগিল । সুরবাল শয্যায় তেমনি পড়িয়া—রোগের কিছু মাত্র উপশম হয় নাই। প্রতিদিন প্রকাশ মনে করিত, আজ সে মুরবালার অবস্থা পূৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল দেখিতেছে। কিন্তু দিবা অধিক দূর অগ্রসর হইবার পূর্কেই তাহার ভুল ভাঙিয়া যাইত। তথাপিও সে নিরাশ হইল না। আরোগ্য হইতে কিছু দিন সময় লাগিবে বৈ কি ! সেজন্য উদ্বিগ্ন হইলে চলিবে কেন ? একদিন সকালে যথাসময় প্রকাশ ঔষধ ঢালিতেছিল, —মুরবালা কহিল,-আমি আর ওষুধ খেতে পারি না। মৃঙ্গ তৎপনা করিয়া প্রকাশ কহিল,—ছি, এরকম ছেলে মানষি করতে আছে ? —খেয়ে কি হবে ? আমার ওতে কোনো ফল হচ্ছে नt ।