পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ সংখ্যা । খেয়েই কত লোক জারাম হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ স্থলে রোগী আপনা থেকে ভাল হ’য়ে ওঠে। ওষুদপত্র উপরন্থ। বড়ে কাক ময়ে, ফকিরের কেরামত বাড়ে, এ হচ্ছে তাই। : একজন ডাক্তারের মুখে ভেষজ সম্বন্ধে এমন তাচ্ছিল্যের কথা শুনিয়া প্রকাশ জাশ্চর্য্য হইয়া গেল। সে কছিল,— কি বলেন ডাক্তারবাবু, ওষুধের কোন ফল নেই ? বিষ । খেলে মাছুষ যখন মন্থতে পারে তখন ওষুধ খেলে সে ভাল হ’বে না কেন ? একটু চিন্তা করিয়া ডাক্তারবাবু বলিলেন,—লে কথা ळेिरु । खैषtशव्र डेनकांब्रिड नषटक कथा इराह न । क्रूि কি জানেন প্রকাশ-বাৰু, আমাদের চিকিৎসাশাস্ত্র এখনো এতদূর অসম্পূর্ণ যে, ওষুধ দিয়ে উপকার করার চেয়ে অনেক সময় অপকারটাই আমরা বেশী করে থাকি। আমাদের চিকিৎসাবিদ্যা এখনো experiment মাত্র। তবে দুঃখের বিষয় এই যে, experimentগুলি তাদের শরীরের উপর দিয়ে চলেছে, যারা মুঠো অল্পের জোগাড় করে আমাদের পরিবার প্রতিপালন করছে। প্রকাশ নীরব হইয়া রহিল। ডাক্তারবাবু বলিতে লাগিলেন,—আমরা হাতুড়েদের ঘৃণা করি, কিন্তু সেই হাতুড়েদের সঙ্গে আমাদের তফাৎ কোনখানে জিজ্ঞাসা করলে অনেক বড় ডাক্তারও বোধ করি তেমন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারবেন না। প্রক্রিয়া দুজনেরই সমান-লাগে কুক্‌ না লাগে তাকৃ! , প্রকাশের মনে সুরবালার অবস্থার কথা জাগিয়া উঠিতেছিল। এতকাল সে কি তবে একটি ভ্রাস্তির ডোরে ৰুক বাধিয়া বসিয়া আছে ? অকস্মাৎ সে অনুভব করিল, কে যেন তাহার অন্তরের আশার দীপটি নিভাইয়া দিয়া चककांब्र कब्रिब्रां निग । cण थांब्र शांकिएउ बा श्रांब्रिब्र জিজ্ঞাসা করিয়া বসিল-ডাক্তার-বাৰু আমায় বলুন, মুরবালার অমুখ কি সাংঘাতিক ? আপনাদের চিকিৎসাশাস্ত্রে এর কি কোন ওষুধ নেই ? छांख्गंब्रबांबूझ मू४ श्रृंखैौब्र इद्देब्रा ६फेर्टिन । डिनि कश्-ि . লন-ঐ নিন। আপনি এখন ব্যবসার কথা পাড়লেন। আমরা এতক্ষণ চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে সাধারণভাৰে আলো আপন-পর ¢¢ፃ চনা করছিলাম ৰৈ ত নয়। ব্যবসায়ী ছিলাৰে একটি কথাও আমি বলিনি, প্রকাশ-বাৰু। প্রকাশ কছিল,--না, না, ডাক্তার-বাবু, মিথ্যা জামি চাই না-ৰ সত্য তাই বলুন। অপ্রিয় হয় হোক, তৰু আমি সত্য শুনতে চাই। - ডাক্তার-বাৰু কাচের কাগজ-চাপাটি ভুলিয়া লইয়া কেৰলি যুৱাইতেছিলেন। ফাঁসীর আসামী যেমন অদৃষ্ট ভাগ্যের প্রতীক্ষায় বিচারকের পানে চাহিয়া থাকে, সেইমত পলকহীননেত্রে প্রকাশ তাহার মুখের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া রহিল। তাহার মুখমণ্ডল বিবর্ণ হইয় উঠিয়াছিল। মুখ না তুলিয়া ডাক্তার-বাৰু ধীরে ধীরে বলিতে লাগিলেন,—সত্য বলতে গেলে আপনার এই আশঙ্কা নিতান্ত অমূলক নয়, প্রকাশ-বাৰু। আমার অভিজ্ঞতায় এরকম রোগী কখনো আরাম হ’তে দেখিনি। কিন্তু সৰ চেয়ে খারাপ হচ্ছে এই—এ রোগে কাহারো চট্‌ ক’রে মৃত্যু ঘটে না। মৃত্যু যে সব সময় শক্ৰ হ’য়ে এসে দেখা দেয়, তা নয় । অনেক সময় বন্ধুর কাজও করে। এ এক জীবনব্যাপী দীর্ঘ যন্ত্রণ ! প্রকাশ বাহির হইয়া আসিল। রাস্তায় তখন গ্যাসের আলো একে একে জলিয়া উঠিতেছিল। জীবনব্যাপী দীর্ঘ বস্ত্রণা! তাহার মস্তিষ্ক জুড়ির ডাক্তার-বাবুর কথাকটি ধিকি ধিকি জলিতেছিল। এমন বাচায় লাভ কি ? জীবনের সার্থকতাই যখন রহিল না তখন বাচিয়া থাকা বিড়ম্বনা মাত্র। বার বার তাহার মনে হইতেছিল, জীবনের সকল মুখশাস্তি জলাঞ্জলি দিয়া শুদ্ধমাত্র কৰ্ত্তব্যের নাগপাশে আপনাকে এমন অষ্ট্রে-পৃষ্ঠে বাধিয়া রাখিবে সে কেমন করিয়া ? এই নিজৰ অবিচ্ছিন্ন সতীদেহ কতকাল সে বহিয়া লইয়া বেড়াইবে ? দেনা-পাওনা লইয়া সংসার—এখানে দেনা-পাওনা ভিন্ন অন্ত নীতি কোথায় ? আপন স্তায্য গও আদায় না করিয়া শুধু কেবল পরের দাবী পরেকেই দিতে হইবে ? দেওয়াটাকে অত বড় করিয়া দেখিলে চলিবে কেন ? পাওলায় প্রয়োজন যে দেওয়ার চেয়েও বেশী। - বড় রাস্তার ধারে একটা ফঁাকা জায়গায় লোক ৰমিয়া