পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tహిe প্রবালী-শ্রাবণ, ১৩৩৫ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড “আমি আপনার হাতে নিজের জীবন সমর্পণ করছি।” বলিয়া মেল্ডার শ্রান্ত, অবসর সেনাপতি বলিয়া পড়িল । সে নিজের ভীষণ কাহিনী আগাগোড়া বলিয়া গেল। কাহিনী শেষ হইবার পর ঘরে একটা ভয়াবহ নীরবতা বিরাজ করিতে লাগিল। - খানিক পরে জেনারেল জি বলিলেন, “আমার মনে হয় তোমায় দোষ দেওয়ার চেয়ে, দয়া করাই উচিত। স্প্যানিয়ার্ডদের বিশ্বৰতিকতার জন্তে তুমি দায়ী নও। মার্শাল নে যদি আপত্তি না করেন, তাহলে আমি তোমায় মুক্ত করে দেব।” এই কথায় হতভাগ্য সেনাপতি বেশী কিছু সাম্বন পাইল না। সে বলিল, “সম্রাট যখন এ সংবাদ শুনবেন, তখন কি হবে ?” জেনারেল বলিলেন, “ও, তিনি অবশু তোমায় গুলি ক’রে মাৰ্বতেই বলবেন, কিন্তু তখন সে দেথা যাবে। এখন এ বিষয়ে আর বেশী কথায় কাজ নেই, এখন এমন একটা প্রতিশোধ নেবার প্রণালী ঠিক করতে হবে, যাতে এ দেশের লোকগুলোর মনে বেশ ভাল রকম ভয় হয়। এর যুদ্ধ করে ঠিক যেন অসভ্য বৰ্ব্বরের মত।” এক ঘণ্ট। পরেই বিশাল একদল পদাতিক সৈন্ত, অশ্বারোহী সৈন্ত এবং অনেকগুলি কামান মেনুষ্ঠার দিকে যাত্রা করিল। জেনারেল এবং ভিক্তর তাহীদের জাগে আগে চলিলেন। সৈন্তগুলি ক্রোধে উন্মত্তপ্রায় হইয়াছিল, কারণ তাহীদের সঙ্গীদের কি পরিণাম ঘটিয়াছে, তাহা উহাদের জানান হইয়াছিল। উহাদের ছাউনী হইতে মেল্ডা পৰ্য্যন্ত পথটা তাহারা আশ্চৰ্য্য রকম অল্প সময়ে পার হইয়া গেল। পথের মধ্যে অনেকগুলি গ্রামকে যুদ্ধার্থে সশস্ত্র দেখা গেল। গ্রামগুলি পরিবেষ্টন করিয়া, অধিবাসীদিগকে ফরাশী সৈন্তর হত্যা করিয়া ফেলিল । দেখা গেল যে, ইংরাজদের রণতরীগুলি তখনও সমুদ্রেই রহিয়াছে, কুলে আসে নাই। প্রথমে সকলে ইহার অর্থ কিছু বুঝিতে পারিল না, পরে জানা গেল যে, সেগুলি শুধু অস্ত্রশস্ত্রে বোঝাই। সৈন্ত লইয়া যে জাহাজগুলি আসিতেছে, এগুলি তাহাজের ছাড়াইয়া জাগেই আসিয়া পড়িয়াছে। স্বতঃাং মেল্ডার অধিবাসীরা প্রত্যাশিত সাহায্যের কিছুই পাইল না, এবং তাহার णफ़िबाब्र अछ eथखङ श्बाब्र गूहि क्ब्रांगैौ tगछब्र তাহাদের একেবারে চারিদিক হইতে ঘেরিয়া ফেলিল। ইহাতে ভীত হইয় তাহারা আত্মসমর্পণ করিতে স্বীকার করিল। ভিক্তরের অধীনস্থ ফরাশী সেনাদের যাহারা হত্য করিয়াছিল, তাহার নগরে অধিবাসীদের বাচাইবার জন্ত আত্মসমর্পণ করিল। জেনারেল জি’র কঠোরতা সৰ্ব্বজনবিদিত ; সকলেই ভয় করিতেছিল যে, তিনি হয়ত নগরে আগুন লাগাইয়া দিয়া, সমস্ত নগরবাসীকে হত্যা করিবারই আদেশ দিবেন। সৌভাগ্যক্রমে জেনারেল তাহা করিলেন না, তবে এই সর্বে তিনি মেন্‌ডাকে নিষ্কৃতি দিতে রাজী হইলেন যে, প্রাসাদের সব ক’জন অধিবাসী, মার্কুইস্ হইতে, দীনতম ভূত্য পৰ্য্যন্ত ফরাশীর নিকট ধরা দিবে। এই সৰ্বেই স্প্যানিয়ার্ডর রাজী হইল। জেনারেল তখন সৈন্যদলকে সহরে লুটপাট করিতে বা আগুন লাগাইতে নিষেধ করিয়া দিলেন। মেন্‌ডাবাসীদের উপর খুব বড় রকম একটা অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা হইল, এবং চব্বিশ ঘণ্টার ভিতর এই দণ্ড যাহাতে দেওয়া হয়, তাহার জন্ত নগরের সৰ্ব্বাপেক্ষা ধনী কয়জন অধিবাসীকে বন্দী করিয়া রাখা झझेण । সৈন্তদলের যাহাতে কোনো বিপদ না হয় এজন্ত জেনারেল সর্বপ্রকার সতর্কতা অবলম্বন করিলেন। নগর মুরক্ষিত করিবার ব্যবস্থাও করিলেন এবং সৈন্তদিগকে নগরবাসীদের গৃহে খাওয়ার ব্যবস্থা করিতে নিষেধ করিয়া দিলেন। তাহারা ছাউনী গাড়িয়া বসিলে পর তিনি দুর্গে গিয়া বিজয়ীর মত প্রবেশ করিলেন। মারকুইসের সমস্ত পরিবার-পরিজনকে হাত পা, মুখ বাধিয়া নৃত্যশালায় বন্দী করিয়া রাখা হইয়াছিল। বাহিরে কড়া পাহারা ছিল । ফরাশী কৰ্ম্মচারীরা একটা বারাগুীর মত স্থানে বসিয়া পরামর্শ করিতে লাগিলেন যে, কি উপায়ে ইংরেজদের কুলে অবতরণ নিবারণ করা যায়। মার্শাল নে’র নিকট একজন কৰ্ম্মচারীকে আদেশ গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হইল ; ভটভূমিতে সারি সারি কামান সাজাইরা রাখা