পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ? যবদ্বীপের পথে (సిపి সন্মিলনীর তরফ থেকে তার বাসা-বাটতে (flatএ) কবিকে আর আমাদের ল্যঞ্চ বা পুরের খাওয়া খাওয়ায়। ল্যঞ্চে অল্প কতকগুলি নিমন্ত্রিত ব্যক্তি ছিলেন, তার মধ্যে সন্ত্রীক জারমান কনস্তল ছিলেন, ফরাসী কন্যল ছিলেন। জার ছু এক জন ইউরোপীয়,আর চীনা, আর মাদ্রাঙ্গী। জারমান কনস্যলেরই সঙ্গে কবির বেশী আলাপ হ’ল—জারমানীতে এর সঙ্গে কবির পূৰ্ব্বে পরিচয় হয়েছিল। রবার্টস্ কবির প্রশস্তি পাঠমূলক বক্তৃতা করলে, কবিও যথাযোগ্য উত্তর দিলেন। এদিকে ফুটে বেজে গেল, চারটেয় আমাদের ষ্টীমার ধরতে হবে। কবি গেলেন নামাজীদের শহরের বাড়ীতে, সেখানে বিশ্রাম ক'রে চা-টা খেয়ে তিনি জাহাজে যাবেন। আমরা শহরে চললুম, ছোটাে খাটাে ছ একটা কাজ সেরে নিয়ে, নামাজীদের বাড়ীতে কবির সঙ্গে মিলিত হ’রে জাহাজে যাবে ঠিক হ’ল। গ্রানভিল রবার্টস সকলকার একটা গ্রুপ ফোটাে তোলার ইচ্ছায় ছিল, কিন্তু কবি চলে যাওয়ায় আর তার ফোটোগ্রাফ-ওয়ালা দেরী করে ফেলায় তার সে ইচ্ছা পূর্ণ হ’ল না। ’ আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্বৰ্দ্ধনা সমিতিতে যোগ দিয়ে তার পাণ্ডাগিরি ক’রে এই ব্যক্তি আরিয়ামের সঙ্গে পরিচিভ হয়, তার পর কবির সঙ্গে দেখাও করে। এর আগে নাকি এ কবির বিরোধী ছিল। ভারতীয়দের কাছ থেকে উপকার পেয়েও ভারতবিদ্বেষী। গতবার ..যখন কবি মালয় দেশে আসেন, পিনাঙ-এ নামেন, তখন এই লোকটা মোড়লী করতে সিঙ্গাপুর থেকে পিনাঙ অবধি নাকি ছুটেছিল। এর সম্বন্ধে অনেক কথা পরে শোনবার অবকাশ হ’য়েছিল। এবার রবীন্দ্রনাথের কাছে এসে এ প্রস্তাৰ করে, সিঙ্গাপুরের কাছে জোহোরে ইংরেজ সরকার রণতরীর মাওয়ার বা নৌবাটের উপযুক্ত বন্দর আর ডক বানাচ্ছেন, চলুন আপনাকে দেখিয়ে জানি। এখন, এই যে forwton of first Naval Scheme sto, who फेरकॐ निtद्र चtनक अझनां कल्लनां क’णtझ् । फेटकथ আর ধাই থাকুক, ভারতরক্ষা তার একটা প্রধান উদেণ্ড লে বিষয়ে লৰেন্থ নেই ; আর ভবিষ্যৎ কোনও একট। चांख्धfiछिकं णक्लाहtब्रब्र जछ eयखछ षांकां७ ५कल्ले উদ্দেশ্য। যাই হোক, রবীন্দ্রনাথ প্রথমট বলেছিলেন; যে তিনি গেলেও যেতে পারেন ; পরে তিনি তার মঙ পরিবর্তনকরেন। পরবর্তী কতকগুলি ঘটনায় দেখা গেল, লোকটার সঙ্গে না গিয়ে কবি ভালোই ক’রেছিলেন । অন্তথা, হয় তো সে স্থ তিন ঘণ্টা কবিকে এক এক পেয়ে, তার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়ে, তার কাছে কোনও বিষয়ে কিছু শুনে, নিজেই তার উক্তিকে বাড়িয়ে কমিয়ে একটা ভীষণ কিছু খাড়া ক’রত। পরে এই লোকটাই নিজের কাগজে নানা নিরূজোশ মিথ্যা কথা আর অৰ্দ্ধসত্যকে অবলম্বন ক’রে কবির বিরুদ্ধে হঠাৎ একটা প্রচণ্ড আক্রমণ শুরু করে। তার জের ভারতবর্ষ পৰ্য্যন্তু এসে পৌছে, আর বাঙলা দেশে রবীন্দ্রনাথের প্রতি বিদ্বেষ পরায়ণ কতকগুলি ব্যক্তি এই গ্রানভিল রবার্টসের আক্রমণকে পরম সত্য ভেবে পরম উৎফুল্ল চিত্তে কবির সম্বন্ধে প্রচ্ছন্ন বা প্রকট ভাবে নানা নিন্দাবাদ ক’রে খবরের কাগজ বিশেষে যথারীতি নিজেদের শিক্ষা আর রুচির উপযুক্ত পরিচয় দেন। রবীন্দ্রনাথ যখন সিঙ্গাপুর ত্যাগ করে মালাক্কা দেখে কু স্বালা-লুপুরে গিয়ে পৌছান—৩রা ৪ঠা আগষ্টের দিকে—তখন গ্রানভিল রবার্টসের কাগজে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে, বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে লেখা শুরু হয়। এই আক্রমণে অন্ত কোনও কাগজ যোগ দেয় নি, আর অল্প কয় দিন বিষ উদগীরণ করে এই কাগজকে অপ্রস্তুত হয়ে তুর্কী-ভাব অবলম্বন করতে হয় —সে সব কথা যথাস্থানে বিবৃত করবো । botto. To wing Johnstone Piers, Sofo, হ'লুম, শ্ৰীযুক্ত বৃদ্ধ নামাজী আর তার আত্মীয়দের সঙ্গে । জাহাজ মাক-গাঙে ছিল, গভর্ণরের লঞ্চ, এল' কবিকে তুলে দিয়ে আসার জন্ত। অনেক লোকে কবির প্রত্যুদগমন করতে এসেছিলেন-ইউরোপীয়, চীন, ভারতীয়, জাপানী। চীনের কন্যল এসেছিলেন। বিদায় নিয়ে Larut ‘লারুৎ জাহাজে চড়িলুম। চীনা সেক্রেটারী হিসাবে ফ্যঙও সঙ্গে চ’ললেন। জাহাজে কতকগুলি ভারতী বন্ধুও উঠলেন—নামাজীর, শ্ৰীযুক্ত আলিখা মুরতী, ঐযুক্ত জুমাভাই। খানিক শিষ্টাচারের পরে জাহাজ ছাড়বার সময়ে এরা বিদায় নিলেন। জাহাজ ছেড়ে দিলে।