পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা] | মুক্তরাং এরূপ লোকের আবশ্বক র্যাহারা বিশ্ব ও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে সংকীর্ণমনা নহেন, এবং অন্তান্ত দেশের মত বঙ্গেরও হৃদয়মনের চরম উৎকর্ষের ভিতর দিয়া জগতের ও ভারতবর্ষের চরম উন্নতি কামনা করেন। আমরা বঙ্গের সব কাজ-অন্ততঃ মননচিস্তনসাপেক্ষ সব কাজ-তাহাদের দ্বারাই হইতে দেখিতে চাই যাহাঁদের ভাগ্য বঙ্গের ভাগ্যের সহিত জড়িত এবং র্যাহারা বাংলাদেশকে ভাষা সাহিত্য শিল্প কালচার—সব দিক দিয়া বুঝিতে ও ভালবাসিতে সচেষ্ট ও সমর্থ। aworses পণ্ডিত গোপবন্ধু দাস পণ্ডিত গোপবন্ধু দাসের অকাল মৃত্যুতে বিশেষ করির উড়িষ্যার ক্ষতি ত হইয়াছেই, সমগ্রভারতবর্ষেরও ক্ষতি হইয়াছে। উড়িষ্যা এখন কয়েকটি প্রদেশের মধ্যে বিভক্ত হইয়া থাকায় উৎকণীয়েরা তাহাঁদের সমবেত শক্তি ‘মাতৃভূমির উন্নতির জন্ত প্রয়োগ করিতে পারেন না। পণ্ডিত গোপবন্ধু ইহা অমুভব করিতেন। সুশিক্ষার দ্বারা উৎকলের সেবা করিবার জন্য তিনি ও র্তাহার সহকৰ্ম্মীরা প্রথমে চেষ্টা করেন। সেই জন্ত র্তাহারা সত্যবাদী বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ইহার অধ্যাপনাদি ঠাহীদের নিজের আদর্শ অনুসারে সম্পাদিত হইত। পণ্ডিত গোপবন্ধু উচ্চ শিক্ষা পাইয়াছিলেন এবং প্রভূত ধন উপার্জন করিবার মত ক্ষমতা তাহার ছিল ; কিন্তু তিনি ধন লাভে মন না দিয়া নানা উপায়ে জনসেবায় আত্মোৎসর্গ করিয়াছিলেন। তিনি দেশের সাধারণ দরিদ্র লোকদের মত জীবন যাপন করিতেন। মহাত্মা গান্ধী যখন অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ করেন, তখন পণ্ডিত গোপবন্ধু দাস তাহাতে যোগ দিয়াছিলেন। অন্ধের বন্ধু লালবিহারী শাহ, অন্ধের আমাদের দেশে সাধারণতঃ ভিক্ষা করিয়া জন্তের গলগ্রন্থ হইয় প্রাণধারণ করে। অথচ তাহার জ্ঞানলাভ করিতে পারে, এবং কোন কোন পণ্যশিল্প শিখিয়া অঞ্চ মাহুষদের মত স্বাবলম্বী হইতে পারে। বাংলা বিবিধপ্রসঙ্গ—মনস্বী শ্বামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায় SAAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA S AAAAS AAAAA AAAA AAAAA ૭૭૧ AASAASAASAASAA AAAS দেশে স্বৰ্গীয় লালবিহারী শাহ, প্রথমে ইহা উপলদ্ধি করিয়া কলিকাতা অন্ধ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। বহু বৎসর ইহা চালাইরা তিনি অন্ধদের ও সমাজের প্রভূত উপকার করিয়া গিয়াছেন। বিস্তর ছাত্র ইহাতে শিক্ষা পাইয়া উপার্জক হইয়াছে, এবং অন্ত অনেক মানুষের মত জ্ঞানলাভ कद्विग्नांtछ् । মনস্বী শু্যামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায় উত্তরপাড়া কলেজের ভূতপূৰ্ব্ব গ্রিন্সিপ্যাল মুশিক্ষক ও সুপণ্ডিত শুামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় নব্বই বৎসর বয়স অতিক্রম করিয়া দেহত্যাগ করিয়াছেন। মৃত্যুর তিন বৎসর আগে পর্য্যন্তও তিনি প্রবন্ধ রচনা করিয়া মাসিক পত্রে প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন। তাহার লিখিত শেষ প্রবন্ধ *Steps towards a World Federation” Sake সালে মডার্ন রিভিউ পত্রে প্রকাশিত হয়। তিনি যাহা কিছু লিখিতেন, তাহাতে পৃথিবীর সমসাময়িক ঘটনা সম্বন্ধে সম্যক্ জ্ঞান ও চিত্তাশীলতার পরিচয় পাওয়া বাইত। তিনি নিজের বক্তব্য বেশ বিশদভাবে লিখিতে পারিতেন। তাহার কৰ্ম্মজীবন শিক্ষাদান কার্য্যেই ব্যয়তীত হওয়ায় ঘটনাবহুল ছিল না। তথাপি তাহা শিক্ষাপ্রদ। তাহার সংক্ষিপ্ত স্বরচিত জীবনচরিত প্রবাসীতে প্রকাশিত হইয়া গিয়াছে। এইজন্তু এখানে তাহার জীবনের কোন কথার পুনরুল্লেখ নিম্প্রয়োজন । স্বাস্থ্য সম্বন্ধে তাহার দীর্ঘজীবন হইতে এই একটি উপদেশ পাওয়া যায়, যে, অল্প বয়সে স্বাস্থ্য ভাল না থাকিলেই যে মাস্থ্য সব স্থলে স্বল্পায়ু হয়, তাহা নহে। তিনি একবার আমাকে লিখিয়াছিলেন, যে, এক সময়ে ( তখন বোধ হয় তাহার বয়স ত্রিশ ) তাহার স্বাস্থ্য এত খারাপ হইয়াছিল, যে, চিকিৎসকেরা তাহাকে বলিয়াছিলেন, যে, খুব সাবধানে থাকিলে তিনি কয়েক বৎসর বচিতেও পারেন। তিনি সাবধানেই থাকিতেন। ফলে কয়েক বৎসরের পরিবর্তে তাহার পর ষাট বৎসর বাচিয়া, ছিলেন। শুধু জীবিত ছিলেন না, বরাবর জ্ঞানামুশীলনে