পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ? শেষের কবিতা : ఆtS লোকালয়ে অপরিচিতের জয়, অপরিচিতের পরিচয়,— s যে অপরিচিত বৈশাখের রুদ্র ঝড়ে বসুন্ধর করে আন্দোলিত, হানি’ বজ্র-মুঠি মেঘের কার্পণ্য টুটি সঙ্গোপন বর্ষণ-সঞ্চয় ছিন্ন করে মুক্ত করে সর্বজগন্ময় ॥ রবি ঠাকুরের দল সেদিন চুপ ক’রে গেল। শাসিয়ে গেল, লিখে জবাব দেবে। সভাটাকে হতবুদ্ধি করে দিয়ে মোটরে করে জমিত যখন বাড়ী আসছিল, সিসি তাকে বললে, “একখানা আস্ত নিবারণ চক্রবর্তীর্ণ তুমি নিশ্চয় আগে থাকৃতে গড়ে তুলে পকেটে ক’রে নিয়ে এসেচ, কেবলমাত্র ভালোমানুষদের বোকা বানাবার জন্তে ।” অমিত বললে, “অনাগতকে যে মানুষ এগিয়ে নিয়ে আসে তাকেই বলে অনাগড়-বিধাতা । আমি তাই। নিবারণ চক্রবর্তী আজ মর্ত্যে এসে পড়ল, কেউ তাকে আর ঠেকাতে পারবে না।” সিসি অমিতকে নিয়ে মনে মনে খুব একটা গৰ্ব্ব বোধ করে। সে বললে, “আচ্ছা জমিত, তুমি কি সকাল-বেলা উঠেই সেদিনকার মতো তোমার যত শানিয়ে বলা কথা বানিয়ে রেখে দাও ?” o অমিত বললে, “সম্ভবপরের জন্তে সব সময়েই প্রস্তুত থাকাই সভ্যতা ; বৰ্ব্বরতা পৃথিবীতে সকল বিষয়েই অপ্রস্তুত । এ কথাটাও আমার নোট বইয়ে লেখা আছে।"

  • কিন্তু তোমার নিজের মত, ব’লে কোনো পদার্থই নেই ; যখন যেটা বেশ ভালো শোনায় সেইটেই তুমি বলে বসে।” s
  • আমার মনটা আয়ন, নিজের বাধা মতগুলো দিয়েই চিরদিনের মতো যদি তাকে আগাগোড়া লেপে রেখে দিতুম তা’হ’লে তার উপরে প্রত্যেক চলতি মুহুর্তের প্রতিবিম্ব পড়ত না।”

সিসি বললে, “জমি, প্রতিবিম্ব নিয়েই তোমার জীবন কাট বে।” সংঘাত অমিত বেছে বেছে শিলঙ পাহাড়ে গেল। তার কারণ, সেখানে ওর দলের লোক কেউ যায় না। আরো একটা কারণ, ওখানে কস্তাদায়ের বস্তা তেমন প্রবল নয়। অমিভর হৃদয়টার পরে যে দেবতা সৰ্ব্বদ শরসন্ধান ক’রে ফেরেন, তার আনাগোনা ফ্যাশনেবল পাড়ায়। দেশের পাহাড়-পৰ্ব্বতে যত বিলাসী বসতি আছে তার মধ্যে শিলঙে এদের মহলে তার টার্গেট গ্র্যান্থটিসের জায়গা সবচেয়ে সঙ্কীর্ণ। ৰোনের মাথ ৰাকানি দিয়ে বললে, “যেতে হয় একলা যাও, আমরা যাচ্ছিনে।" বঁ হাতে হাল কায়দার বেঁটে ছাতা, ডান হান্ডে টেনিস ব্যাট, গায়ে নকল পারসিক শালের BBB BB BBB BB BBB BBBB BB BBBBBBB BBB BBBS DDD DBBB