পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] · تمیستمعجعه রকম নিস্তব্ধ হইয়া রছিয়াছে। ছেলেদের ভিতর যাহার ছোট ছোট তাহারা ঘুমাইতেছে,—অপেক্ষাকৃত ধড় যাহার বিষঃ মুখে এখানে-ওখানে বসিয়া আছে। গাইটাকে কেহ খাইতে দেয় নাই ; সে সহিষ্ণু শাস্ত নয়নে ইহাদের দিকে চাহিয়া আছে। যজ্ঞেশ্বরের কম্ভার আদরের বিড়ালটা কেবল এঘর-ওঘর করিয়া বেড়াইতেছে। যজ্ঞেশ্বর এ’ সমস্ত বড় লক্ষ্য করিত না। কিন্তু আজ গৃহের এই লক্ষ্মীছাড়া ভাব যেন তাহাকে সজোরে এক ঘা চাবুক কম্বিয়া দিল । সে চারিদিকে চাহিয়া দেখিল বাড়ীটায় সমস্ত দিন বাট পড়ে নাই ; নিদ্রিত ছেলে-মেয়েদের কাছে গিয়া দেখিল, তাহীদের কপোলে অশ্র-চিহ্ন এখনও শুকায় ਕੇ। যজ্ঞেশ্বর তাহার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করিল, “ধনা, তোর মা কোথার রে?” ধনঞ্জর কহিল, “ঘরে ।”—বলিয়া আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিল। - যজ্ঞেশ্বর ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখিল, তাহার স্ত্রী মেঝের উপর উপুড় হইয়া গুইরা আছে। তাছার প্রবেশের শব্দ শুনিরাই সে উঠিয়া বসিল । আরক্ত চক্ষু দুইটি আঁচলে মুছিয়া তার কণ্ঠে মুগ্ধ স্বরে বলিল, “কোথায় গিয়াছিলে ? সমস্ত দিন স্নান নাই, থাওরা নাই।” যজ্ঞেশ্বর তাহাতে কর্ণপাত না করিয়া কহিল,-“এ কি ? ছেলেরা অসময়ে ঘুমাইতেছে—তুমি এখানে পড়িয়া कैॉक्tिडझ-कि हद्देब्रांtछ् ?" যজ্ঞেশ্বরের স্ত্রী কহিল,—“ও কিছুই নয়। তুমি স্বান করিয়া খাইয়া লইবে চল ।” যজ্ঞেশ্বর কহিল, “সমস্ত না শুনিলে আমি এক পাও নড়িব না।” যজ্ঞেশ্বরের কল্প ঘরে প্ররেশ করিয়াছিল। সে বলিল, *বিগু কাক মাকে বকেছে।” যজ্ঞেশ্বর স্ত্রীর দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“সত্যি ?” যজ্ঞেশ্বরের স্ত্রী গলাটা পরিষ্কার করির কছিল—“ই ।” যে প্রতিবেশী যজ্ঞেশ্বরকে এই জমিটুকু দিয়াছিলেন, डिनिं कtब्रक भांग इहेण भांद्र शिग्नांtछ्म । ॐांशंब्र नन्छख्ि দূর সম্পৰ্কীয় ভাগিনেয় বিশ্বেশ্বরে অৰ্শাইয়াছিল। সেব্যক্তি সম্পত্তি পাইয়াই যজ্ঞেশ্বরকে হয় তাহার জমি ছাড়িয়া ঐশ্বৰ্য্য-লাভ ఆసిఫి দিতে—নতুবা দাম দিয়া কিনিয়া লইতে বলিয়াছিল। এ সমস্তই যজ্ঞেশ্বর জানিত। কিন্তু ব্যাপারটা যে এত দূর গড়াইবে, তাহা সে ভাবে নাই। বাস্তবিক বিগুর ভীতিপ্রদর্শনগুলাকে সে ঠাট্ট বলিয়াই মনে করিয়াছিল। তা ছাড়া, উপায়ও তাহার ছিল না। যজ্ঞেরের স্ত্রী শুধু ‘ই’ বলিল। সে বলিল না, বিশু কিরূপ ক্রুর নিষ্ঠুরতার সহিত ব্যবহার করিয়াছে, তাহাকে অপমান করিয়াছে, তাহার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়াছে। সমস্তই সে নীরবে সহ করিয়াছে। যজ্ঞেশ্বরের কপালের শির ফুলির উঠিল । সে উদ্দীপ্ত স্বরে কহিল—“তারপর ?” 聯 বজ্ঞেশ্বরের স্ত্রী কহিল, “মা স্বর্গে যাওয়ার পর থেকে সংসারের অবস্থা আরও খারাপ হইয়াছে। আজ সমস্ত দিন ছেলেদের খাওয়াই হইত না। মাণিক ঠাকুর-পো’ এই মাত্র তাহাদের লইয়া গিয়া খাওয়াইয়া অনিয়াছেন। জানি না ভগবানের মনে আরও কি আছে।” সত্যই! দারিদ্র্যের যন্ত্রণ সহিতে না পারিয়া যজ্ঞেশ্বরের মাতা পৃথিবী ত্যাগ করিয়া গিয়াছেন। যজ্ঞেশ্বরের সেই কথা মনে পড়িল । কি কষ্ট্রেই মা মারা গিয়াছেন ! কত দিনের অনাহার, অৰ্দ্ধাহার, অনুপযুক্ত চিকিৎসা, বাৰ্দ্ধক্যে কত সময়ে শীতবস্ত্রের অভাব, কত উপেক্ষিত ব্যাধি, তাহাকে ধীরে ধীরে মরণের পথে অগ্রসর করিয়া দিয়াছে । তথাপি তিনি শাস্তিতে মরিতে পারেন নাই। শেষ মুহূৰ্ত্ত অবধি যজ্ঞেশ্বরের দুরবস্থা, যজ্ঞেশ্বরের চিস্ত, তাহাকে ইষ্ট দেবতার নামও লইতে দেয় নাই। যজ্ঞেশ্বরের বুকের ভিতরটায় একটা অব্যক্ত বেদন অনুভূত হইল। সে স্ত্রীর কথার উত্তর না দিয়া চুটিয়া বাছির হইয়া গেল। বনের ধারে, গ্রামের এক প্রান্তে নির্জনে গিয়া সে ডাকিল-“বাবা ঠাকুর । যাবা ঠাকুর ” পরক্ষণেই চমকাইয়া বলিয়া উঠিল—“একি ? আমি কি করিতেছি ।” বনের দিকে চাহিয়া দেখিল, এক দীর্ঘকায় মনুষ্য মূৰ্ত্তি। পর মূহুর্তেই সে মূৰ্ত্তি অরণ্যের মধ্যে অদৃগু হইয়া গেল। যজ্ঞেশ্বর মনে করিল, কোন শিকারী হয়ত সন্ধ্যার মুখে বনে তীর পত্তিতে যাইতেছে। बालचंद्र यश्न शुरु ििब्रण, उधन जका ७खैौ4 श्रेष्ठ,