পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] তার চড়াইয়া আজ তাহাকে বীণাযন্ত্রে পরিণত করিয়া জুলিয়াছেন, পূৰ্ব্বে যাহাতে কেবল স্থানীয় গ্রাম্যমুর বাজিত আজ তাহ বিশ্বসভায় শুনাইবার উপযুক্ত ধ্রুপদ অঙ্গের কলাবতীরাগিণী আলাপ করিবার যোগ্য হইয়া উঠিয়াছে।” ( ১৯ ) । সুতরাং বঙ্কিমচন্দ্র তাহার একজীবনেই উপন্যাসকে শৈশব হইতে লালনপালন করিয়া যৌবন অতিক্রম পূৰ্ব্বক প্রৌঢ়ত্বে আনিয়া দিয়া গিয়াছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র তাহার সাহিত্য-স্বষ্টিতে একালের artকে একেবারে বাদ না দিলেও, তাহার লেখনী প্রধানতঃ নীতি শিক্ষাকেই অবলম্বন করিয়াছিল। “আকাশে যেমন নক্ষত্ররাজি বিক্ষিপ্ত আছে বঙ্কিমবাবুর রচনাতে তদ্রুপ সু-নীতি রত্ন তারকার স্তায় চক্‌মক্‌ করিতেছে। বঙ্কিমবাবুর উপন্যাস প্রথম প্রথম সংযমশিক্ষা দিয়াছে—ক্রমে তাহার উপন্যাসের ধৰ্ম্মনীতি বিকাশিত হইয় দেবীচৌধুরাণীর নিষ্কাম পারিবারিক ধৰ্ম্মচেষ্টা, সত্যানন্দ প্রভৃতির নিঃস্বার্থ স্বদেশ প্রেম এবং জয়ন্ত্রী সন্ন্যাসিনীর নিষ্কামধৰ্ম্মে পরিণত হইয়াছে। সেখানে নিষেধমূলক ধৰ্ম্মনীতি ত আছেই, তাহার উপর বিধিমূলক, প্রতি মূলক, পরার্থপরতামুলক, আত্মবিশ্বতিসাধক, দেহের ও বাসনাব বন্ধন মুক্তি সাধক ধৰ্ম্ম—মহাপ্রাণাত্মক ধৰ্ম্ম আছে ৷’’ ( ১২ )। মানবচরিত্রের মুসংবদ্ধ গঠনোপযোগী ধৰ্ম্ম সাধনের প্রতি তাহার লিপ্তমন মু-পৃথল বৈচিত্র সমন্বিত অহৈতুক শিল্পসাধনের দিকেও . তীব্র সন্ধান রাখিয়াছিল। তাই তাহার অমর বাণী ঘোষণা করিয়াছে,"যেদিন ইউরোপীয় বিজ্ঞান ও শিল্প এবং তারতের নিষ্কামধৰ্ম্ম একত্রিত হইবে সেই দিন মনুষ্য দেবতা হইবে।” “ঈশ্বরের গৃষ্টি অপেক্ষ কোন কবির সৃষ্টি সুন্দর ? বস্তুতঃ কবির সৃষ্টি সেই স্বষ্টির অমুকারী বলিয়াই সুন্দর।” বঙ্কিমের উপন্যাস-কল৷ ঈশ্বরের স্বষ্টিকে উপেক্ষা করিয়া আত্মম্ভরিতা প্রকাশ করে নাই, তাই বলিয়াই তাহার স্বষ্টি বড় সুন্দর। জড় ও চৈতন্তের একোত্তর সমন্বয় সাধনের উদ্দেশুে মাতৃবন্দনার যে স্বর তিনি ধরিয়াছিলেন সেই মুরের বাংলা কথা-সাহিত্যের গতি { ४४) ब्रदौछनॉर्थ । { ১২ ) জ্ঞামেজলাল রায়। やが冷為 কল্যাণে বিশ্বের সাহিত্য-পরিষদে বাংলাসাহিত্যের ও" স্থানলাভের সুযোগ হইয়াছে। বঙ্কিমচন্দ্রের পরে রমেশচন্দ্র, দামোদর, সঞ্জীবচক্র প্রভৃতি লেখক বাংলা উপন্যাসকে সম্পন্ন করিলেও ঐতিহাসিক তথ্যই প্রধানতঃ তাছাদের সাহিত্য স্থষ্টির উপকরণ জোগাইত। রমেশচন্দ্র দত্তের মাধবীকঙ্কণে পাশ্চাত্য প্রভাব পূর্ণ দৃষ্ট হয়। ইহা টেনিসনের এনক্‌ আর্ডেনের অনুসরণে লিখিত । “মানুষের ভাষা একটা স্রোত, মানুষের মন s একট। স্রোত, এবং এই দুই স্রোত মিলিয়া যে-শ্রোতের স্বষ্টি করে তাহার নাম সাহিত্য স্রোত। এ স্রোতের অন্তরে কখনো আসে জোয়ার কখনে আসে ভাটা" ( ১৩ ) । বিশ্ব সাহিত্যের ছন্দোবন্ধ কাব্য স্বষ্টির স্রোতে ভাট পড়িয়া যাওয়ার পরেই যে জোয়ার আসিয়াছে তাহা কথা-সাহিত্যের স্রোতের জোয়ার। তাই বঙ্কিমচন্দ্রের যুগ হইতে উদ্ভূত. সাহিত্য-প্রবাহের জোয়ারাভিমুখে আমরা তারকনাথ— স্বর্ণকুমাৰী-শিবনাথ প্রভূতির শক্তি সংযোগ দেখিতে পাই। বিশেষ কোনও নুতন উপাদানে না কইলেও এই শক্তি বাংলাসাহিত্য সম্পাদকে যে সমৃদ্ধ করিয়া তুলিতে সাহায্য করিয়াছিল তাহ নিঃসন্দেহ। অতঃপর যিনি উপন্যাসে নুভন উপাদান সংযোজনা করিতে অগ্রসর হইয়াছিলেন তিনি বিশ্ববরেণ্য কবি-সম্রাট রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের ভাবরাশি ব্যষ্টিবদ্ধ নহে সমষ্টিগত ; তিনি শুধু বঙ্গঙ্গনের নহেন, বিশ্বের। তাই বাংলার তথা ভারতের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য লইয়া একদিকে বঙ্কিমচন্দ্র 敏 যেমন সরল সংহত ও ঐকেন্দ্রিকত-যুক্ত প্লট সৃষ্টি করিয়াছেন—অন্তদিকে রবীন্দ্রনাথ পাশ্চাত্য সমাজমনের ভাবতরঙ্গে হিল্লোল তুলিয়া, অসংহত ও বিক্ষিপ্ত ঘটনা এবং চরিত্র স্বষ্টি করিয়াছেন। “wrpSTwy föwl-¢rifà swić A-posteriori fww প্রাচ্য চিন্তুrপ্রণালী A-priori. প্রাচ্যেরা কাৰ্য্যান্থসন্ধান করেন, প্রতীচ্যের কারণানুসন্ধান করেন। হিন্দুর চরিত্র চিত্র সংগঠন মূলক (synthetic) বিলাতী কবির চরিত্র, চিত্র বিশ্লেষপূর্ণ (analytic)। আরও একটি পার্থক্য ۹۹ نه ه (هد )