পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] মেটারলিঙ্কীয় নাটকে চরিত্র-স্থষ্টি $$' জগৎ সে জগৎ তাহার কণার কণার বহু বিচিত্র বটুম্বের ছাপ লইয়া জীবনের স্বাতন্ত্রাকে প্রচার করিয়াছে । ষে-ব্যক্তি শুধু মন্তের ইচ্ছাকেই সার্থক করিবার জন্ত যন্ত্রের মত চলিতে থাকে, আমরা তাহাকে ব্যক্তিত্বহীন, মেরুদণ্ডহীন মানুষ বলিয়া থাকি। তাহার কারণ অন্তের ইচ্ছার স্রোতে পড়িয়া সে ভাসিয়া চলিয়াছে এবং সেই অঙ্গ-ইচ্ছার বৈশিষ্ট্যকেই বিশ্বসংসারে ঘোষণা করিবার জন্য যেন সে বঁাচিয়া আছে ; তাহার মধ্যে তাহার জীবনের যে একটি বিশেষ ইচ্ছ। এবং ইঙ্গিত, আশা এবং অভিব্যক্তি সংহত রহিয়াছে তাহাকে সে প্রকাশ করিল না, তাই সে তাহার নিজস্ব রূপ বৈশিষ্ট্যকে অর্জন করিতে পারিল না। তাহার কৰ্ম্মের মধ্যে বিশ্বজীবনের যে একটি বিশেষ মুর এবং ভঙ্গী প্রকাশের জন্য উন্মুখ হইয়া ছিল তাহাকে সে প্রকাশ করিতে পারিল না ; তাহার মধ্যে পাইলাম একটা মুখোস-পরা অভিনয় মাত্র। - প্রথমযুগের চরিত্র এইভাবে দেখিতে গেলে মেটারলীয় নাটকের প্রথম যুগের ব্যক্তিগুলি তাহাদের পারিপাশ্বিকের অর্থাৎ নিয়তিরই মূর্তিরূপ বলিয়া মনে হয়। ‘অনাহূতের’ বাপ-ঠাকুরগঁ-খুড়ে, “দৃষ্টিহারার’ অন্ধের দলের মধ্যে কি আমরা তাহাদের জীবনের কোনো বিশিষ্ট ইচ্ছার প্রেরণা দেপিতে পাই ? সেখানে আমরা চারিদিকের বিপুল রহস্তেরই আচ্ছন্ন করা অনুভবটিকে মাত্র সকলের চেহারায় পরিস্ফুট দেখিতে পাই। তাই বলিতে হয় যে, এই সব নাটকে চরিত্রস্থষ্টি नहेि। ७हे गद कदिखएक नांछेकैौग्र शूरश्चब्रहे ७कü अत्र বলিয়া ধরিয়া লইলেও বিশেষ অবিচার হয় না। কিন্তু মেটারলিঙ্ক একেবারে হঠাৎ চরিত্র-সৃষ্টির দিকে যে यन नेिब्रांश्रिणन ठांशं७ न८झ् । ॐांशंग्न अख८ब्रव्र अरुङ्गक জীবনাবেগ একদিন একেবারে সব বাধাকে ঠেলিয়া দিয়া বিশ্বালে আননে প্রবল হইয়া দেখা দিয়াছিল সত্য, কিন্তু লোতের মুখে বাঘ বাৰিয়া দিলে যেমন বাধটিকে প্লাবিত করিং বহিয়া বাইবার প্রচও বেগ নদী পূৰ্ব্ব হইতেই नकद्र कब्रिtठ षांटक, नि:*८च ८षयन जणब्रांणि कृगिब्रां উঠতে থাকে, মেটায়ুলিঙ্কের অন্তর্জীবনেও যে তাছাই Եկա Պ ঘটিয়াছিল তাহার আভাস আমরা তাহার নাটকীয় চরিত্রস্বষ্টির ধারাবাহিক ইতিহাস আলোচনা করিলে বুৰিতে পারিব। বলিবার উন্ধেগু এই যে, চরিত্র-স্মৃষ্টির প্রেরণা মেটারলিঙ্কীয় নাটকের প্রথম যুগেও স্থানে স্থানে ফুটিয়া উ ঠয়াছে । মেটারলিঙ্কীয় নাট্যে চরিত্রবিকাশের ধারা ‘প্রিন্সেস ম্যালানের কথা এখানে তুলিব না ; কারণ ইহার মধ্যে মেটারলিঙ্কীয় নাটকের বিশেষত্ব সেক্সপীয়রীয় প্রভাবের দ্বারা আচ্ছন্ন হইয়া আছে। মেটার লঙ্ক ইহার মধ্যে আপনার শক্তির একটা অন্ধঅনুভব মাত্র পাইতে আরম্ভ করিয়াছেন, দেখিতে পাই। রবীন্দ্রনাথের সন্ধ্য-সঙ্গীতে যেমন আমরা তাহার নিজস্ব বিশেষত্বের সহিত পূৰ্ব্বযুগের প্রচলিত প্রথার একটা সংগ্রামের স্বচনা দেখিতে পাই, নিজস্ব শক্তির সাক্ষাৎ না পাওয়ার ফলে যে একটা হাতড়ান শক্তি পাই, তেমনি মেটাবৃলিঙ্কের উক্ত নাটকখানিতেও আমরা শিল্পী মেটারলিঙ্কের পথ খোজা দেখিতে পাই। সেইজন্যই এখানে চরিত্র স্বাক্টর কথা বলিতে গিয়া গ্রিন্সেস ম্যালানের কথা বাদ দিতেছি । মেটালিঙ্কের সর্বপ্রথম চরিত্র-স্থষ্টি পালিয়াস-মেলিস্যাওয়ি। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, ইহার মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথম মানবঅন্তরের নিগুঢ় পরিচয়টি উদঘাটিত হইয়াছে। নিয়তির রহস্যময় অন্ধকার এই প্রেমকে পথহারা করিয়া রাখিয়াছে সত্য, কিন্তু তবু প্রেম এই আঁধার পথের মাঝ দিয়াও চলিয়াছে, চতুর্দিকের বিষণ্ণ অন্ধকারের মধ্যে প্রেম তাহারও অজ্ঞাতে তাহার নিত্যসিদ্ধ পরিচয়টিকে পাইবার জন্ত চকিত-ত্রস্ত-নয়নে চাহিতেছে। প্রেমের এই যে আবির্ভাব ইহার ফলেই চরিত্র-সৃষ্টি একেবারে অনিবাৰ্য্য হইয়া পড়িয়াছে। রহস্য-বোধ একটা আবহাওয়ার মত, অন্ধকারের মত, অস্বস্তিভর অস্পষ্টতার মত বিরাজ করিতে পারে, কিন্তু প্রেম হইতেছে আলোক, তাহার তাম্বর জ্যোতিঃ ব্যক্তির জীবনকে মুস্পষ্ট করিয়া. প্রকাশ না করিয়াই পারে না । প্রেম জীবনের নিঃশ্বাস, আত্মার খাদ্য ; প্রেমের জাগরণ মানেই ব্যক্তিত্বের পথে, বৈশিষ্ট্যের পথে যাত্রা । গ্রেমের প্রকাশ জুই না হইলে বইতে ।