পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

સ્ત્ર পায়ে না, দেওয়া-পাওয়া চাই সেখানে, প্রাণের সহিত প্রাণের মিলন চাই সেখানে । এই সব অনিবাৰ্য্য কারণেই ৰোধ করি পীলিয়াস-মেলিসাও নিয়তি-বিধিকেও অতিক্রম করিয়া ব্যক্তিত্ত্বের ক্ষেত্রে জাসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। ‘খুগল’ প্রেমের অপরূপ রসসৌন্দর্ঘ্যের কল্পনা করিতে গিয়াই মেটায়ুলিঙ্ক পীলিয়াস-মেলিস্যাণ্ডাকে পাইয়াছেন। এই যুগলের প্রেমকে পরিস্ফুট করিবার জন্তই গোলোডের অবতারণা । প্রেমসমসরি এই যে তৃতীয়, ইহা মূলতঃ ছুয়েরই বিকাশ ও পরিণতির জন্ত, প্রেম কি এবং কি-নয় এই ছটি দিক্‌ দেপাইবার জন্তই তিনের অবতারণা অনিবাৰ্য্য হইয় পড়ে। সে যা হোক, এই নাটকের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথম মেটাস্কৃলিঙ্ক এমনই চরিত্র স্বষ্টি করিয়াছেন বাহাকে সার্থক বলিতে হইবে । পুরুষ চরিত্র এখানে অনেকটা ছুৰ্বল হইলেও পালিয়াস, মেলিস্যাও এবং গোলোড ইহাদের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য মেটারলিঙ্ক অতি সুন্দর করিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। বিশেষতঃ পালিয়াস ও মেলিস্যাগুীর অস্তয়তম পরিচয়ের যে অপরূপ বেদনাশ্রুর সন্ধান মেটারলিঙ্ক দিয়াছেন তাঁহা বিশ্বের সাহিত্যু-ক্ষেত্রে অভিনব রসসম্পদ বলিয়া বিবেচিত হইবে সন্দেহ নাই। প্রেমানুভূতির এমন স্কুন্দর বেদনাময় প্রকাশ পালিয়াদ ও মেলিস্যাণ্ডার নীরব দৃষ্টির মধ্য দিয়া যে কি আশ্চৰ্য্য দক্ষতার সহিত মেটারলিঙ্ক করিয়াছেন তাকার একটু আভাস মাত্র হয়ত বা পাঠক নাটকের আখ্যানাংশ হইতে পাইতে পারেন, কিন্তু দৃপ্ত পরিকল্পনা, বাৰ্ত্তালাপ ও ঘটনা-সমাবেশের আশ্রয়ে যে মেটারলিঙ্কীয় প্রেম ও মানবাত্মার অপরূপ সৌন্দৰ্য্যান্থস্থতি কেমন করিয়া প্রকাশ পাইয়াছে তাছা নাটকের পাঠক ভিন্ন গুমার কাহারও ধারণ করা সম্ভব নহে। নিয়তিৰোধের অপসারণের আরম্ভের সঙ্গে সঙ্গেই মেটালিষ্ট্ৰীয় নাটকে প্রেমের সমস্তার আবির্ভাব হইয়াছে এবং তাঁহারই ফলে তাহার চরিত্রগুলিও বৈশিষ্ট্য অর্জন কৱিণ্ডে আরম্ভ কৰুিয়াছে। চরিত্র-স্থটির গতিটি কোন দিকে হইয়াছে তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করিলেই আমরা দেখিতে পাই যে, মেটারলিঙ্কীয় নাটকের চরিত্রগুলি ছায়া এবং স্বপ্নের জগৎ হইতে ধীরে ধীরে বাস্তব জগতের আলোए*७झा ७ झंौक्षम् िश्] नांषिवि! षणिष्वांश् l eुषंश् शृंगंब्र প্রবালী—ভাদ্র, ১৩৩৫ AA AMAMAMAMMAeeAeA AeeA SAeSeeeee eeAeeeSAee AeeMeeS MJAYA AMAMA AMMMeAMAg eא זיל, יש "לא ] নাটকীয়ুচরিত্রের নামগুলিপৰ্যন্ত নেন রূপকথার রং মাখান । क्रौणिशांन-८भणिछां७iब्र शनि७ पानांब्र शिकू नेिब्रा बांखदष्ठांब्र রং ধরিয়া উঠিয়াছে তথাপি তাহার সিম্বলিজম ও বার্তালাপের প্রভাবে নাটকখানি যেন মানবাত্মার অন্তলোঁকেরই একখানি জ্বপ্নময় চিত্র বলিয়া মনে হইতে থাকে। এই যে স্বপ্নময় ভাব, ইহা মেটারলিঙ্ক সহজে কাটাইয়া উঠিতে পারেন নাই। অন্তরের নিভৃত গুহা ছাড়িয় বহিবিশ্বের পানে বাছির হওয়ার বিচিত্র ইতিহাসটি যে মেটারলিঙ্কেরই জীবনের বিকাশের বিশেষত্ব নহে তাহার ইঙ্গিত স্থানাস্তরে করিয়াছি । সে বাহা হোকৃ, চরিত্রস্থষ্টির ক্রমিক ইতিহাসে মেটালিঙ্কের জীবনের বিকাশ যে কেমন করিয়া ধরা পড়িয়ছে তাহা দৃষ্টিহারা হইতে ‘মেঘাপসরণের দিকে চাহিলেই বুঝিতে পারা যাইবে। মেটারলিঙ্কীয় ভাববিকাশের মনস্তত্ব এই যে অস্তরগুহা ছাড়িয়া বাহিরেয় বাস্তব বিশ্বের দিকে প্রয়াণ ইহার মূলে শক্তিবোধ রহিয়াছে। মানবাত্মা যখন আপনার অশক্তির মধ্যে আপনাকে অসহায় দেখিতে থাকে তখন আত্মরক্ষারই প্রেরণায় সে স্বপ্নলোকে তাহার সান্থনা খুজিয়া বেড়ায় ; কিন্তু পরিপূর্ণ শক্তিবোধ কিছুতেই মানুষকে তাহার স্বপ্নলোকের মধ্যে আবদ্ধ হইয়া থাকিতে দেয় না ; বহির্জগতের সহিত সামঞ্জস্ত প্রতিষ্ঠা না করিয়া সে জাপনাকে সার্থক করিতেই পারে না । মেটাবলিঙ্কের অস্তুরজীবনে যে শক্তি ও সাহস ফুটিয়া উঠিয়াছে, তাহা উহার নাটকের বাস্তবতায় দিকে গতি দেখিলেই আছুমান করা যাইতে পারিত। কিন্তু এই শক্তিবোধ নাটকে শক্তিময় চরিত্রহুষ্টির মধ্যেও আত্মপ্রকাশ করিয়াছে। জালাদীন ও পালোমেডিসের র্যাষ্টোলেন, তিস্তাজিলের মৃত্যুতে ইগ্রেন, এগ্লাভেন শেলীসেটে এগ্লাভেন, আর্দিয়ান ও নীলদাড়িতে আর্দিয়ান, মোনাভানায় মোনাভান, মেরী মডলীনে মডলীন ও খৃষ্ট, বার্গোমষ্টিারে ইসাবেল ও বার্গোমাষ্টার, ক্লগ ও হিলমার, মেঘাপসরণে টাটিয়ান, সোনিয়া ও য়্যাক্সেল, মেটালিঙ্কের শক্তিবোধের ক্রমবিকাশটিকে স্বল্পষ্ট করিয়া দেখাইয়াছে।