পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিশিয়া গিয়াছে যে নিতান্ত চেষ্টা না করিলে, তাহারা যে তাছাদের আপন ভাই নয়, তাহা তড়িৎ প্রভৃতি কেহই অনুভব করিতে পারে না। প্রতিভা অমিয়াও তাঁহাদের নিজের দেবরের চেয়ে কিছুমাত্র পর জ্ঞান করে না। ২স্বতরাং বিপিন চলিয়া যাওয়ায় সবাই দুঃখিত। প্রথমে কর্তা ঠিক করিয়াছিলেন যে নবীনকেই লইয়া যাইবেন, কারণ বিপিন রেজুনে থাকিয়াই মন কাজ করিতেছিল না । কিন্তু বিপিনই বলিয়া-কহিয়া তাহার মতের পরিবৰ্ত্তন করিয়াছে। হঠাৎ রেজুন ছাড়িয়া যাইবার উৎসাহ কেন যে তাহার এত বেশী হইল, তাহ কেহই ভাবিয়া পাইল না, কেবল একজন ছাড়া। কৃষ্ণ বুঝিতেই পারিল, তাহার নিকট হুইতে সরিয়া যাইবার জন্তই বিপিন পলায়ন করিতেছে। ট্রেন বিকাশ, সাড়ে পাঁচটায়। বিপিন সকাল হইতে জিনিষ গোছানোর কাজে লাগিয়া গিয়াছিল। তাহার ঘরটি ছোট একটি গুদাম-বিশেষ। এতদিনে, স্বরে অল্পে কত রকমের কত জিনিষ যে ইহার ভিতর জমিয়া উঠিয়াছে, তাহার ঠিকানা নাই। কি লইয়া যাইবে, কি ফেলিয়৷ यांश्व ठांश बांश्छि कि कट्ठाई ७क बांशाब्र। उबू করিতেই যখন হইবে এবং সময়ও আর নাই, তখন সে নাওয়া-খাওয়া ত্যাগ করিয়া মাথা নীচু করিয়া একমনে কাজই করিয়া যাইতেছিল। তড়িৎ ক্রমাগত তাহার ঘরে ঢুকিতেছিল এবং বাহির হুইতেছিল। বিপিন দাদা যতই তাহার পিছনে লাওক এবং সে যতই বিপিনের নামে সকলের কাছে নালিশ করুক না কেন তাহাকে তড়িৎ নিজের সহোদর ভাইদের অপেক্ষা কিছুমাত্র কম ভালবাসিত না। মুতরাং আজ তাহার কেবলি গলার কাছটা ব্যথায় টনটন করিতেছে, চোখ দিয়া জল আসিয়া পড়িতেছে। একবার ঘরে ঢুকিয়া তড়িৎ জিজ্ঞাসা করিল, “বিপিনদ, এতগুলো বই কি কবে ?” s বিপিন বলিল, “ছ চার খানা নিয়ে যাব, বাকি এই , তড়িৎ বড় চোখ দুইটা জারে খানিক বিস্কারিত করিয়া বলিল, “ওম, এতগুলো বই, এইখানে কেলে রেখে যাবে ? কে দেখবে ?” -- - বিপিন বলিল, “তুই দেখি।” তড়িৎ মাথা নাডুয়। বলিল, “ওরে বাবা, জামি কিছুর ভার নিতে পারব না, আশার যা ভোল৷ মন । শেষে সব পোকায় কেটে নষ্ট করে দেবে। তুমি বরং ও গুলো কৃষ্ণাদির কাছে দিয়ে যাও।” বিপিন বিরক্ত হইয়া বলিল, “যা যা তোকে বই দেখতেও হবে না, পরামর্শ দিতেও হবে না। ওগুলো এখানে যেমন আছে, তেমনি থাকৃ। কারুকে ওগুলোর জন্তে মাথা ঘামাতে হবে না।” 翰 বিপিনের কাছে তাড়া খাইয়া তড়িৎ আসিয়া কৃষ্ণার ঘরে ঢুকিল। কৃষ্ণ তখন বসিয়া অমিয়া প্রতিভার খাতা দেখিতেছিল। সে একবার মাত্র মুখ তুলিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি খবর, তড়িৎ ?” তড়িৎ বলিল, “কিছু না, এমনি একটু এলাম।” খানিক এটা সেটা নাড়িয়া চাড়িয়া জিজ্ঞাসা করিল, *আচ্ছা, কৃষ্ণাদি, এক জায়গায় অনেক দিন থাকৃবার পর চ’লে যেতে ভয়ানক বিশ্ৰী লাগে না ? আপনার কলকাতা থেকে আসতে খারাপ লাগেনি ?” কৃষ্ণ বলিল, “তা লেগেছিল বই কি একটু ? কিন্তু বোর্ডিং আর বাড়ী ত এক জায়গা নয়। বাড়ীতে থাকা যদি অত্যাস হ’ত, তাহলে আরো বেশী খারাপ লাগত বোধ হয় ।” তড়িৎ খুব বিজ্ঞভাবে মাথা দুলাইয়া বলিল, "ছেলেদের বোধ হয় মেয়েদের মত মায়া হয় না, যত দিনই যেখানে থাকুক না কেন। দেখুন না বিপিনদাটা যাবার জন্তে যেন নাচছে। এত দিন যে আমাদের সঙ্গে রইল সে-কথা ওর মনেও হচ্ছে না।" কৃষ্ণা চাহিয়া দেখিল বিপিনের মায়া হোক বা না হোক, তড়িতের ত চোখে জল জাসিয়া পড়িয়াছে। সাম্বন দেওয়ার বিদ্যা তাহার জানা ছিল না, স্বতন্ত্রাং সে আবার খাতা দেখায় মন দিল। তড়িৎ মিনিট দুই sांब फेन्भून् कब्रिब्रा अभिद्रांप्नब्र परब्र कगिब्राcणण। দেখিতে দেখিতে ট্রেনের সময় জাসিয়া পড়িল ।