পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] দেখাচ্ছে। চোখের তলায় কালি পড়ে গিয়েছে, মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। অমন যে আগুনের মত রং আপনার, তাও একটু কালো দেখাচ্ছে।” কৃষ্ণ হাদিয়া উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিল। বলিল, *ৰূড়ো ত হচ্ছি, কাজেই চেহারা এখন খারাপ হবে বৈ কি ? অমুখ-বিমুখ আমার কিছুই করেনি ,” অমিয়া বলিল, “আহা কি না বয়েস আপনার ? বিয়ে শুদ্ধ হয়নি, এরি মধ্যে অত বুড়ী সাজতে গেলেই বুঝি লোকে তা বিশ্বাস করবে ? মাও সেদিন বলছিলেন আপনার চেহারা খারাপ হ’য়ে যাচ্ছে ।” R কৃষ্ণ বলিল, “আচ্ছ, তা যাকৃ। এখন এস, ঢের কাজ আছে।” গৃহিণী অনুরোধ করা সত্বে ও সে স্থা চার দিন ছুটি লষ্টতে রাজি ইল না। শরীর মন যত ভাঙ্গিয়া পড়িতে লাগিল, ততই কাজের উৎসাহ তাহার বাড়িয়া চলিল । কলিকাতায় ফিরিয়৷ যাইবার কথাও সে বিবেচনা করিতেছিল। রেজুনে আসিয়াছিল সে বেশী অর্থোপার্জন করিদার আশায়। ইচ্ছা ছিল টাকা জমাইয়! বিলাত যাইবার চেষ্টা করিবে । অল্প বেতনের কাজ করিয়া জীবন শেষ করিবার তাহার ইচ্ছা ছিল না। এখন তাহার ভবিষ্যৎ জীবনের চিত্ৰ মনের মধ্যে একেবারে বদলাইয়া যাওয়ায়, রেজুনে থাকার আর প্রয়োজন ছিল না । তাহার স্বাস্থ্য নষ্ট হইতে বসিয়াছিল, মানসিক শাস্তি ত নষ্ট হইয়াইছিল। গৃহিণীকে অল্প শিক্ষয়িত্রী দেখিতে বলা উচিত কি না, সে তাবিতে আরম্ভ করিয়াছিল । সামান্ত একটা ঘটনায় সে মনস্থির করির ফেলিল । সকাল বেলা তড়িৎ হঠাৎ চুটিয়া আসিয়া বলিল, “জানেন কুঞ্চাদি, আপনার ছাত্রী আরো এক জন বাড়ল।" কৃষ্ণ জিজ্ঞাসা করিল, “কে সেটি ?" তড়িৎ বলিল, “আমি।” কৃষ্ণ জিজ্ঞাসা করিল, “কেন, তোমার স্কুল কি অপরাধ কয়ূল ?” তড়িৎ উত্তর দিবার আগেই প্রতিভা ঘরে চুকিল। বলিল, “স্থলের শিক্ষায় আর কুলোবে না, খণ্ডয়-মশায় লিখেছেন ঘরকরার কাজ সব ভাল করে শেখাতে । আমাদের শিগগিরই একটি ঠাকুর-জামাই জুটুবে কিনা। সাম্নের মাসে শ্বশুর মশায় মাস তিন চারের মত এসে থাকৃবেন। একেবারে শুভকৰ্ম্ম শেষ ক'রে তবে ফিরবেন - তড়িৎ লজ্জিত হইয়া পলায়ন করিল। কৃষ্ণ' বলিঙ্গ, *ছেলে মানুষ, এরি মধ্যে ওর বিয়ে দিয়ে দেবেন ?” প্রতিভা বলিল, “শাশুড়ী ঠাকরুণ যে বড় জেদ করছেন। মেয়ে দেখতে ভাল নয়, বেশী দেরি করলে বিয়ে দিতে কষ্ট পেতে হবে। তা না হ’লে কৰ্ত্ত এত অল্প বয়সে বিয়ের পক্ষপাতী নন।” প্রতিভা চলিয়া যাইবার পর কৃষ্ণ বসিয়া বসিয়া অনেক ভাবনাই ভাবিল। অবশেষে চলিয়া যাওয়াই স্থির করিল। কৰ্ত্তাটিকে তাহার মোটেই ভাল লাগে নাই । তিনি আসিয়া এখানে বাস করিতে আরম্ভ করিলে, তাহার এখানকার বাস উঠাইলেই ভাল। রেজুন তাহার এমনিতেই যথেষ্ট অসহ্য হইয় উঠিয়াছিল। পরদিন ছাত্রীদের লইয়া বসিবার পূর্কেই সে গৃহিণীর কাছে গিয়া উপস্থিত হইল। তিনি তখন চাকরকে বাজারের পয়সা দিতেছিলেন। কৃষ্ণাকে দেখিয়া বলিলেন, “কি গো, মা লক্ষ্মী ?” কৃষ্ণ' বলিল, “আপনাকে একটা কথা বলবার আছে। আমার শরীর মোটেই ভাল যাচ্ছে না।” গৃহিণী বাধা দিয়া বলিলেন, “তাত দেখতেই পাচ্ছি। তোমরা ত কথা শুনবে না বাছা, নিজের ইচ্ছা মত চল। এত থাটনী খাট, একটু ভাল ক’রে দুধ ঘি না খেলে কি চলে ? তা দুধ ত এক ফোট। তুমি মুখে দেবে না। বল ত কাল থেকে তোমার জন্তে আধা বিশ ক’রে ফুধ রাখি।” কৃষ্ণ হাসিয়া বলিল, “ন, তার দরকার নেই। . জারগাটাই আমার সহ হচ্ছে না । আমি কলকাতায়ই ফিরে যাব ভাবছি। অমিয়াদের জন্তে আর একটি লোক । যদি ঠিক ক’রে নেন— - গৃহিণী বলিলেন, “ওম, এই কথা ? আমি বলে কত আশা ক’রে বসে আছি যে তুমি তড়িৎকে গুপ্ত পড়াবে। এখন লোক আবার কোথা পাই ? লোক কি জার हा कड्ठई शां७ब्रां वांब्र ?"