পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૨ লালের চেয়েও বড় তরঙ্গ আছে, এবং বেগুনীর চেয়েও ছোট তরঙ্গ আছে, কিন্তু চোখে তাহ ধরা যায় না, আলোকচিত্র বা বিশেষ যন্ত্র সাহায্যে ধরিতে হয়। সুতরাং সাদা আলো নানারূপ দৈর্ঘ্যের আলোক-তরঙ্গের সমষ্টি এবং ত্রিশিরা কাচের কলম বা অন্তবিধ যন্ত্রসহযোগে এই আলোককে বিশ্লিষ্ট করা যায়। একটী সাদা আলোর রেখাকে বিশ্লিষ্ট করিলে লাল, জরদ, হলদে, সবুজ, নীল ও বেগুনি রঙেয় পর-পর সমাবেশে সৃষ্ট একটি ফিতার মত চিত্র পাওয়া যায়। ইংরেজীতে ইহাকে স্পেক্টাম বলে, বাঙ্গলার ইহাকে বর্ণচ্ছত্র বলা যাইতে পারে । ১৮১৪ খৃঃ আম্বো জাৰ্ম্মেনির মিউনিক সতরে ফ্রাউনহোফার নামক এক দরিদ্র চশমাওয়ালা খুব যত্বের সহিত নিউটনের বর্ণ-বিশ্লেষণ পরীক্ষাটির পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি দেখিতে পাইলেন যে, বর্ণচ্ছত্র কেবল নিরবচ্ছিন্ন বর্ণের সমাবেশে গঠিত নয়, কিন্তু মধ্যে মধ্যে কতকগুলি কৃষ্ণবর্ণ রেখা দ্বারা বিচ্ছিন্ন। ফ্রাউনহোফার এইরূপ প্রায় হাজার খানেক সুক্ষ্ম কৃষ্ণরেখা আবিষ্কার করেন। তাহার পরে আজ পর্যাপ্ত স্বপন্ন যন্ত্র সহযোগে প্রায় ২০,• • • রেখা আবিষ্কৃত হইয়াছে। যদিও ফ্রাউনহোফার বা তাহার সমসাময়িক কোন বৈজ্ঞানিকই এই কৃষ্ণবর্ণ রেখাগুলির তত্ত্ব উদ্ধার করিতে সমর্থ হন নাই, তথাপি ফ্রাউনহোফার তাহার আবিষ্কারের গুরুত্ব অনুভব করিয়া অতি যত্নের সহিত তাহাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য নিরূপণ করেন। প্রাচীনকালের মিশর দেশের রাজার সাঙ্কেতিক চিত্রলিপিতে র্তাহীদের নিজেদের এবং দেশের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। পৰ্ব্বত গাত্রে, দেবমন্দিরের ভগ্নাবশেষে, পিরামিডে সেই সমস্ত চিত্রলিপি অঙ্কিত রছিয়াছে। কালে যখন মিশরীয় সভ্যতা বিলুপ্ত হইল, তখন সেই চিত্রলিপির অর্থও লোকে ভুলিয়া গেল, তাহাতে ঐ লিপিকে দৈত্যদানবের কীৰ্ত্তি বলিয়া মনে করিতে লাগিল । • किछु प्लेनविश्ञ्च श्रृज्रोपोंौब्र ७थाद्रास्त्र हेच्न९ ७ मान्छोलिग्न নামক দুইজন পণ্ডিত এই চিত্রলিপির পাঠোদ্ধার করিয়া প্রাচীন মিশরকে জগতের সামনে প্রকাশ করিয়াছেন। ফ্রাউনহোফারের কালো রেখাগুলিও তেমনি এক প্রকার চিত্রলিপি, এই লিপিতে স্বৰ্য্যদেবতা আপনার প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৫ AAA AASAAAAASA SAASAASAASAASAA AAAAMAeeeAMAAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড AMAM MMAMAAA SAAAAA AMAAA AAAA AAAA AAAASASASS বাস্তব প্রকৃতি লিখিয়া রাখিয়াছেন । ১৮৫৯ অব্দে অধ্যাপক কিৰ্শফ এই লিপির পাঠোদ্ধার করিয়া বৈজ্ঞানিক জগতের নিকট সুৰ্য্যের প্রাকৃতিক অবস্থা সৰ্ব্বপ্রথম জ্ঞাপন कब्रिग्नांtछ्न। এখন দেখা যাউক, কিভাবে কির্শক এই কৃষ্ণরেখাগুলির পাঠোদ্ধার করেন । সকলেই জানেন দ্রব্যমাত্রকেই উত্তপ্ত করিলে উহ হইতে আলো নির্গত হয়। একখণ্ড লোহাকে উত্তপ্ত করিলে উছা লাল হয়, আরো বেশী উত্তাপে উহা হইতে প্রথমে, কমলালেবুর আভাযুক্ত আলোক বাহির হয়, পরে উত্তাপ আরও অধিক হইলে সাদা আলো বাহির হয়। যদি এই সাদা আলোককে ত্রিশির কাচকলমের সাহায্যে বিশ্লিষ্ট করা যায়, তাহা হইলে ইন্দ্রধকুর সপ্তবর্ণময় একটি বর্ণচ্ছত্র পাওয়া যায়। কিন্তু যদি কোন প্রজ্জ্বলিত গ্যাসের শিখা এই উপায়ে পরীক্ষা করা যায়, তাহা হইলে একটি অধিচ্ছিন্ন বর্ণচ্ছত্র পাওয়া যায় না, কয়েকটি উজ্জল কুষ্ম বর্ণরেখা ( Spectrum Line) of offeyi যার,—যেমন সাধারণ গ্যাসের আলোতে মুন ছিটাইয়া দিলে-জালো হরিদ্রাবর্ণ ধারণ করে, এবং বর্ণবিশ্লেবণ যন্ত্রে দুটি হলদে রেখামাত্র পাওয়া যায়। কির্শফের পূৰ্ব্বে দুই একজন পণ্ডিত পরীক্ষা করিয়া দেখেন যে, যদি স্বৰ্য্যোলোক ও সোডিয়মের আলো (লবণমিশ্রিত দীপশিখা) পাশাপাশি রাখিয়া বর্ণবিশ্লেষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করা যায়, তাহা হইলে সোডিয়মের দুইটি পীতরেখায় অবস্থান ফ্রাউনহোফরের দুইটি কৃষ্ণরেখার ( D-Lines) অবস্থানের সহিত মিলিয়া যায়। অর্থাৎ উভয়েরই তরঙ্গদৈর্ঘ্য এক। কেন এইরূপ হয় কির্শফের পূৰ্ব্বে কোন পণ্ডিতই তাহার সন্ধুত্তর দিতে পারেল নাই। কির্শফই প্রথমে এই সমস্ত ঘটনা পরম্পর একস্থত্রে গ্রথিত করিয়া বিজ্ঞানজগতে এক মহা আবিষ্কার দান করেন । পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে, যথেষ্ট উত্তপ্ত করিলে সমস্ত জিনিয হইতেই আলোক বিকীর্ণ হয়। এই আলোক বিকিরণের শক্তি সমস্ত জিনিষের সমান নয়। যে জিনিষ যত কৃষ্ণযর্ণ, তাহার আলোক বিকিরণের শক্তি তত