পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૭ প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৫ [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড বর্ণের সমষ্টি। লাল জিনিষটি সবুজাদি রঙ অনুগ্রহণ করিয়া লইয়া শুধু লালরঙটি প্রতিফলিত করে। ८डभनि সবুজ জিনিষটি শুধু সৰুজরঙই প্রতিফলিত করে, বাকী রঙ অন্তগ্রহণ করিয়া উত্তাপে পরিণত করে । এখন দেখা যাউক এই সমস্ত বিভিন্নরঙের জিনিষকে উত্তপ্ত করিলে কি হয় ? যথেষ্ট উত্তাপ দিলে সমস্ত জিনিষ হইতেই আলোক নির্গত হয়, কিন্তু পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে, যে একই তাপমানে সাদা জপেক্ষা কালে छिनिरु झहेष्ठ ८दनॆी यांtणां विकौ4 झग्न । शनेि ७भन একটি চীনামাটির বাসন নেওয়া যায় যে, উহার অৰ্দ্ধাংশ সাদা, অৰ্দ্ধাংশ কালো, এবং যদি উহাকে কয়লার আগুনে যথাসাধ্য উত্তপ্ত ( প্রায় ১••• ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) করিয়া অন্ধকার ঘরে নেওয়া যায়, তাহা হইলে দেখা যায় যে, কৃষ্ণবর্ণ অংশ হইতে খুব উজ্জ্বল আলো নিঃস্থত হইতেছে, সাদা অংশ একেবারে নিম্প্রভ । তেমনি লাল জিনিষকে গরম করিলে তাহা হইতে লোহিত ব্যতিরিক্ত অন্ত সমস্ত আলো বহির্গত হয়—জর্থাৎ উহা সবুজ আলো দেয়, এবং সবুজ জিনিষকে উত্তপ্ত করিলে উহা হইতে লাল আলো বেশী বাহির হয়। এই সমস্ত পরীক্ষা প্রমাণ ও হেতুবাদ দিয়া কির্শফ প্রমাণ করেন যে, যে-জিনিষের যেযে প্রকারের আলোক অস্তগ্রহণ করিবার ক্ষমতা অধিক, সেই জিনিষটিকে উত্তপ্ত করিলে, তাহার সেই সেই আলো বিকিরণ করার ক্ষমতাও অধিক হয়। কির্শফের কিছুপূৰ্ব্বে ইংরেজ পণ্ডিত ব্যালফুর জুয়ার্টও এই সিদ্ধান্তে উপনীত इन । এখন দেখা যাক, কির্শফ কিরূপ ভাবে এই তত্ব স্বর্য্যের কৃষ্ণরেখার পাঠোদ্ধারে নিয়োজিত করেন। আমরা প্রথমে দেখিয়াছি যে বায়বীয় পদার্থ মাত্রই উত্তপ্ত হইলে বা অন্ত কোনরূপে উত্তেজিত হইলে বিশিষ্ট আলো প্রদান করে। যেমন সোডিয়ম্ হইতে পীত আলো বহির্গত श्छ, ठांश्च इहेrङ उष्बण नैौण जांrणा ५ष६ कrांणनिब्रम् হইতে লাল আলো বহির্গত হয়। এই ব্যাপারটা আমাদের দেশের প্রাচীন রাসায়নিকগণেরও জানা ছিল এবং এই যে সমস্ত বিভিন্ন রঙের জাভলবাৰী, তাহ শুধু বারদের সঙ্গে বিভিন্ন ধাতবচুর্ণের মিশ্রণেই প্রস্তুত। ইউরোপে এখনও আতসবাজী বাঙ্গালার আলো ( Bengal Fire ) নামে विशTांठ । किर्लीक eयंथ८भ भडयांश «थ5ांब्र क८ब्रन cय, विछिन्न थकांद्र शांकुब्र अब्रशांभू छेखांश्रृं, विश९ वा अछ প্রকারে উত্তেজিত হইলে উহা বিশিষ্ট বর্ণের অালো প্রদান করে। যেমন ভানপুর, বেহালা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র নির্দিষ্ট ভাবে বাধা হইয়া নির্দিষ্ট সুর উৎপন্ন করে এবং যেমন স্বর দ্বারাই বাদ্যযন্ত্র চিলিয়া লওয়া যায়, অথবা স্বরবৈশিষ্ট্য দ্বারা প্রত্যেক লোককেই চিনিয়া লওয়া যায় তেমনি বর্ণচ্ছত্র দ্বারা প্রত্যেক ধাতুকেই চিনিয়া লওয়া যায়। প্রত্যেক পরমাণু যেমন এক একটি বাদ্যযন্ত্র এবং বিভিন্ন বর্ণরেখা তাহার এক একটি স্বর। সুতরাং এই উপায়ে জনায়াসে বিভিন্ন ধাতুকে চিনিয়া লওয়া যাইতে পারে। মনে করা যাক্ যে, আমাকে একথও খনিজ প্রস্তর দেওয়া গেল। ইহাতে কি কি ধাতু আছে তাহা স্থির করিতে হইবে। আমি খনিজ দ্রব্যকে চূর্ণ করিয়া দীপশিখায় রাখিলাম। এবং বর্ণচ্ছত্র-বিশ্লেষণ-বন্ত্রদ্বারা পরীক্ষা করিলাম। যদি বিশিষ্ট দৈর্ঘ্যের পীতবর্ণের দুইটি রেখা পাওয়া যায়, তাহা হইলে প্রমাণ হইল যে এই প্রস্তরে সোডিয়ম আছে। যদি বিশিষ্ট দৈর্ঘ্যের নীল রেথা পাওয় যায়, তাহা হইলে প্রমাণ হইল যে, প্রস্তরে তাম্র আছে। এইরূপ প্রক্রিয়াতে বস্তুবিশ্লেষণকে ইংরেজীতে Spectrum Analysis Ito avt trè Botto কর্শফ ও র্তাহার পরবর্তীগণ প্রায় ৪৯টি বিভিন্ন প্রকারের মূলপৃদার্থ আবিষ্কার করেন। - এখন জিজ্ঞাস্ত এই যে, স্বর্ঘ্যের বর্ণচ্ছত্রে আমরা উজ্জল রেখা ন পাইয়। কৃষ্ণরেখা পাই কেন। মনে করা যাকৃ যে, আমাদের সাম্নে একটি জলন্ত লৌহপিণ্ড আছে এবং উহার চারিদিকে সোডিয়ম্ গ্যাসের একটা আযেইনী আছে। জলপ্ত লৌহপিণ্ড হইতে যে-আলো বাহির হইবে তাহার বর্ণচ্ছত্র হইবে অবিচ্ছিন্ন, তাঁহাতে লাল হইতে বেগুনী পৰ্য্যন্ত সমস্ত বর্ণই পর-পর অবিচ্ছিন্নভাবে বিস্তস্ত থাকিবে। উহার চতুর্দিকে যে সোডিয়ম্ গ্যাসের আবেষ্টনী আছে, তাহা হইতে পীতাভ জালো বাহির হইবে। উছার বর্ণচ্ছত্র হইবে মাত্র ত্বইটি উজ্জল পীচ-রেখা। এখন