পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] - মণ্ডলের ( chromosphere ) বর্ণচ্ছত্র পৃথক পৃথক্ ভাবে পৰ্য্যবেক্ষণ করা যায় কি না ? উত্তরে বলা যায় যে, যদি আলোকমণ্ডলটি কোনওরূপে আবৃত করা যায়, তাহা হইলে আমরা শুধু বর্ণমণ্ডলের বর্ণচ্ছত্র পর্যবেক্ষণ করিতে পারি। কিন্তু এ ব্যাপার সহজসাধ্য নয়। আমরা একটি গোল চাকৃতী নিৰ্ম্মাণ করিয়া উহাকে এমনভাবে দূরবীক্ষণের সাম্নে স্থাপন করিডে পারি যে, আলোকমণ্ডল সম্পূর্ণ क्लांकिब्र शांग्न । किरू हेशं८ठ७ ॐtणश् निष्क रुग्न না। কারণ স্বৰ্য্য আকাশের যে অংশ অধিকার করিয়া আছে, শুধু যে সেই অংশ হইতেই স্বৰ্য্যালোক পাওয়া যায় এমত নহে। আকাশের যে কোন অংশ হইতেই স্বৰ্য্যালোক পাওয়া যায়। তাহার কারণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভিতর দিয়া আসার সময় ধূলিকণা ও অণুপরমাণু দ্বারা স্বর্যালোক বিক্ষিপ্ত ( scattered ) হইয়া পড়ে। এই বিক্ষিপ্ত আলোককে আমরা আকাশ-আলোক ( Sky Light ) বলিয়া থাকি। এই আলোকবিক্ষেপণ প্রক্রিয়া না থাকিলে, আকাশ কখনও ছাতিমান হইতে পারিত না, দিনের বেলায়ও সমস্ত তারা দেখা যাইত। সুতরাং আমাদিগকে বর্ণমণ্ডল পর্য্যবেক্ষণের জন্ত অন্ত কোন সুযোগ অন্বেষণ করিতে হয়। স্থৰ্য্য গ্রহণের পূর্ণগ্রাসের সময় এই সুযোগ উপস্থিত হয় ; তখন চন্দ্র, স্বৰ্য্য-ও পৃথিবীর মধ্যে আসিয়া স্বৰ্য্য-দেহকে সম্পূর্ণ আবুত করিয়া ফেলে। উপরোক্ত প্রক্রিয়ার সহিত, এই ব্যাপারের বাস্তবিক কোন তফাত নাই, শুধু চন্দ্র একটি বড় চাকৃতী মাত্র, এবং আকাশের বহু উপর হইতে স্বর্যা-দেহ আবৃত করে বলিয়া সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষিপ্ত আলোকের পরিমাণও প্রায় সম্পূর্ণভাবেই লুপ্ত হয়। সুতরাং যতক্ষণ পূর্ণগ্রাস স্থায়ী হয়, ততক্ষণই বর্ণমণ্ডল পর্য্যবেক্ষণ করার সুবিধা ঘটে। যদি আমরা স্বর্যের বর্ণমণ্ডলের দিকে বর্ণচ্ছত্র-দর্শক যন্ত্র ঘুরাইয়া রাখি, তাহা হইলে ঠিক পূর্ণগ্রাস আরম্ভ হইবার সঙ্গে-সঙ্গেই আমরা শুধু বর্ণমণ্ডলের বর্ণচ্ছত্র দেখিতে পাইব। এক্ষণে জিজ্ঞাস্ত—এই বর্ণচ্ছত্র কি প্রকারের হুইবে ? কির্শফের মতবাদ অম্বুসারে বর্ণমণ্ডল বাষ্পময়, छूछब्रां९ ऎझांब्र ब4छढ७ अदिझिझ न इहेब्रा व4-८ब्रशांभद्र নরওয়েতে পূৰ্ণগ্রাস সূৰ্য্যগ্রহণ দর্শন ৭৩৩ হইবে অর্থাৎ ফ্রাউনহোফরের কৃষ্ণ-রেখাগুলি উজ্জ্বল ८द्रथ। श्ब्रा मृथ्यांन इहेरव। আসলে কিন্তু এই প্রণালীটি কাজে খাটানো অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। প্রথমতঃ পূর্ণগ্রাসের স্থিতিকাল অতি অল্প—উৰ্দ্ধকল্পে সাত মিনিট হইতে কয়েক সেকেও পৰ্য্যন্ত নামিতে পারে। নরওয়েতে দৃষ্ট ১৯৯৭ খৃঃ অম্বের গ্ৰহণ মাত্র ৪২ সেকেণ্ড কাল স্থায়ী ছিল। দ্বিতীয়তঃ পূর্ণস্বৰ্য্যগ্রহণ পৃথিবীর অতি সামান্ত স্থান হইতেই দেখা যায়। এই সমস্ত স্থান এমন হইতে পারে, যে মানবের বাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য, যেমন মেরু প্রদেশ, আফ্রিকার মরুভূমি, বা মহাসাগরের মধ্যস্থ নির্জন দ্বীপ। 酸 কিন্তু এই সকল বাধা বিপত্তি অগ্রাহ করিয়াও জ্যোতির্ষিগণ ১৮৬৮ অফ হইভে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর সকল স্থানে তাহীদের গ্রহণ-অভিযান চালাইয়া আসিতেছেন । বিস্তারিত বিবরণ S A. Mitchel প্রণীত Eclipses of the Sun altx gèRI I ১৮৭১ অব্দে আমেরিকার Princeton বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিষ-অধ্যাপক Young প্রথমে লক্ষ্য করেন যে, যখন চন্দ্র ক্রমে ক্রমে অগ্রসর হইয়া স্বৰ্য্য-দেহকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে, ঠিক সেই মুহূর্ডে ফ্রাউনহোফরের কালোরেখাগুলি হঠাৎ উজ্জল হইয়। দৃশ্বমান হয়, স্বৰ্য্যের সপ্ত বর্ণ বিচিত্রিত বর্ণচ্ছত্রটি সম্পূর্ণ তিরোহিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে দৃপ্তমান হইয়! আবার মুহূর্বের মধ্যেই মিলাইয়া যায় বলিয়া তিনি বর্ণ মণ্ডলের বর্ণচ্ছত্রকে Flash Spectrum আখ্যা দেন। কিন্তু এই ঘটনার আকস্মিকতা বশতঃ ১৮৯৬ খৃঃ আব্দ পৰ্য্যস্ত কেহ ইহার প্রথম আলোক চিত্র গ্রহণ করিতে সক্ষম হন নাই। ১৮৯৬ খৃঃ অন্ধে প্রসিদ্ধ মেরুপর্য্যটক Shackleton উত্তর মেরুর সন্নিহিত নভজেম্বলা দ্বীপে পূর্ণ স্বর্যগ্রহণের সময় সৰ্ব্বপ্রথম বর্ণমণ্ডলের বর্ণচ্ছত্রের আলোক চিত্র তুলিতে সমর্থ হন। ১৮৯৮ খৃঃ অধ্যে যখন ভারতবর্ষে পূর্ণস্বর্যগ্রহণ হয়, তখন ইংল্যাও হইতে অনেকগুলি গ্রহণ-অভিযান ভারতবর্ষে আসে । তন্মধ্যে স্তার নৰ্ম্মান লকিয়ার বিজয়ক্রগে, এভারসেড, তালনীতে, এবং পাশী অধ্যাপক লিগাম-ভেলা পুণাতে বিভিন্ন অবস্থায় - অনেকগুলি চমৎকার বর্ণচ্ছত্ৰ তুলিতে সক্ষম হন।