পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা 3 । স্বভাষিণী গুস্ত্ৰ মোক্তির নোলকটি জ্বলিয়ে কচি টুলটুলে মুখখানি পাকাগিনীর মত ঘুরিয়ে বললে—ওসব কথা গুছি না। এবার পূজোয় তাহলে বে) পাঠাবো না। নন্দলাল কাকুতি-মিনতি ক’রে বললে—বেণারসী-শাড়ী পারবে না, একখানি বোম্বাই শাড়ী কিনে দেবো। আর পায়ার চিকু আসছে বছর নিশ্চয় গড়িয়ে দেবে, বেয়ান ! স্বভা অত্যন্ত গম্ভীর মুখে শিউলির বেঁটাগুলি ক্ষুদ্র ডালাখানির উপরে সযত্নে মেলে রাখতে রাখতে বললে— তা’ হ’লে মেয়েও সেই আসছে-বছরেই নে যেও, এ’বছরে হবে না পিছন দিকে মুভা’র মা নিঃশব্দে দাড়িয়ে দু’টি বালকবালিকার সংসারাভিনয়-খেলা স্নেহমুগ্ধ সতৃপ্ত নয়নে উপভোগ কর্ছিলেন। স্বভা’র প্রবীণার মত উক্তিতে মা সশবে হেসে উঠে বললেন-গরন-কাপড় না দিলে বেীকে বাপের বাড়ী পাঠাতে নেই, কোথা থেকে শিখলি বলতে, পোড়ারমুখি — মুভ মায়ের কণ্ঠস্বরে সচকিতে পিছন ফিরে তাকিয়ে লজ্জায় তাড়াতাড়ি মাথার অবগুণ্ঠনখানি টেনে ফেলে দিয়ে ছুটে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে তার জামুদেশে নিজের মাথা গু জে সলজ্জ আবদারের স্বরে বললে – যাও,-তুমি ভারী দ্বষ্ট, মা,-তুমি কেন এখানে এলে ?— নন্দলাল এতক্ষণ তার পুতুল-কন্যার শাশুড়ী অর্থাৎ বেয়ানের পূজার তত্বের ফৰ্দ্দে নিতান্ত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল, এইবার ভরস-প্রফুল্ল মুপে এগিয়ে এসে দীপ্তকণ্ঠে বললে— দেখোন মা,—মুভি বলছে পাল্লার চিক্‌ আর বেণারসীশাড়ী না দিলে এবার পূজোর সময় পদ্মকে আমার কাছে পাঠাবে না । মা হাত তরল-কণ্ঠে বলে উঠলেন—‘পদ্ম আবার কে রে ? - জুভা মায়ের আঁচলখানি শক্তমুঠায় চেপে ধরে ননীর মুখের পানে সকৌতুক-নেত্রে তাকিয়ে খিল খিল করে হাসতে হাসতে বললে—জানেন, মা ? ওর মেয়ের নাম ষে ‘পদ্মরাণী । নন্দ মুভার হাসি এবং বলা’র ভঙ্গীতে অপ্রস্তুত হ’য়ে পড়ল। নিজের অপ্রতিভ ভাবটুকু চাকুবার জন্ত ঠোটু বেঞ্চিয়ে ক্রুদ্ধস্বরে বলে উঠল—তোর ছেলের নাম আমি বলে’ দিতে পারি না বুঝি 1– 哆

  • মায়ের অঞ্চল-প্রাস্ত মুঠা হ’তে ছেড়ে দিয়ে কলহের শ্ৰীৰাল’ মুরে জুতাও বললে—দে লা বলে । তাতে ভয় কিসের । ,

ఖి-ఫి ... মা এবার মেরেকে সজোরে ধমক দিয়ে উঠলেন।— । এই মুভি -ফের ননকে তুই-ভোকারি কছিল?...ৰায়ণ করে দিয়েছি না ওকে কখনো জুই-তোকারি ক’রবিনে ? : স্বভা ক্ৰন্ধন-বিজড়িত স্বরে বললে—জার ও যে আমার পোড়ারমুখী-রাজুলী-বলে গাল দেয়, চুলের মুঠি ধরেতার বেলায় বুঝি কিছু নয় ?...ভারী তো বর !! অমল বর আমি চাইনে— স্বভা ‘চাইলে’ শব্দটা অত্যন্ত জোর দিয়ে বলে সাভিমালরোধে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলে । নন্দলালও অায় নিজের পৌরুষ প্রকাশ না করে’ থাকৃতে পারলে না। বললে—আমিও তোর মতন ছাই বে চাই না।...দে, আমার পুতুল ফিরিয়ে দে। পুতুলবিয়ে ভেঙে দিলুম। 象 স্বভা এইবার ঝরঝর করে” কেঁদে ফেলে বললে-নে” না ফিরিয়ে তোর পুতুল !...বড় ব’য়েই গেল । তারপর মায়ের দিকে মুখ ফিরিয়ে স্বভা বাষ্প-রুদ্ধ কণ্ঠে বললে—ম, ও আমার পুতুলের সঙ্গে ওর পুতুলের বিয়ে ফিরিয়ে নিয়েছে—তুমিও ওর সঙ্গে আমার বিয়ে ফিরিয়ে নাও ! আমি ওর বেী হতে পারবো ন-কক্ষনোনা হাসির বেগ দমন কয়ে’ মা উভয়কেই ধমৰু দিলেন – ফেব্ৰু ছজনে তুই-তোকারি করে ঝগড়া করছিস্ ?..নন,— মুভি,—দু’জনেই আমার কাছ থেকে আজ মার খাবি দেখছি— স্বভা কাদূতে কঁাতে গোভরে বললে—কক্ষনো ওকে আমি "তুমি’ ব’লবে না।...ম, তুমি ওর সঙ্গে আমার বিয়ে ভেঙ্গে দাও বলছি— মা এবার ওদের সামনেই হেসে ফেললেন। বললেনআচ্ছ, তাই-ই হবে অখন্‌ ---কিন্তু তুমি যদি নলী'র নাম ধরে ডাকো আর 'তুই’ বলা অভ্যাস না ছাড়ো তা’ হ’লে কিন্তু বিয়ে আর তাঙবে না – ঘণ্টা কয়েক বাদে আহারের সময় উত্তীর্ণ হ’য়ে যায়। মা ডাকাডাকি করে’ নন্দ বা স্বভা কারুরই সন্ধান পাস | || চাকরদের অন্বেষণে পাঠালেন। তারা এসে খবর দিলে —সদরের বড় পুকুরে স্বভাষিণী ও নন্দলাল মহাননে সস্তরণপ্রতিযোগিতায় নেমে হাস্তকলোচ্ছ্বাসে পুষ্করিণী তোলপাড় করে তুলেছে। শুনে মা একটু হাস্লেন। সাত বছরের বধু—এগার বছরের বর। পুতুলের বিয়ে দেয়—লুকোচুরী খেলে—ছাদে উঠে আচার চুরি করে— মাঝামারি ঝগড়া করে—আবার ভাবও হয়। - লা আছে তাদের সাজপোষাকের বালাই, না জা লজ্জামস্কোচের ধার—ন জাছে কথাবার্তা পৃথল। .