পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] পরম-ভূষা কল্পনা !—বে তৃতীয়ের আবির্ভাব দুই-সংখ্যাকে "এক’ করে । ‘তুই’ ‘এক হওয়াতেই যে এই ‘তিন’ এর অস্তিত্ব । সুভা বিছানা ছেড়ে মেঝের উপরে মান্থর বিছায়। মুভ মেৰেয় থাকূলে ননা থাটের উপরে ঘুমাতে পারে না। অথচ তাকে জোর করে থাটের উপরে নিয়ে আসতে ও ভরসায় কুলায় না । অপরাধীর মত মুম্বকণ্ঠে মুভার পাশে দাড়িয়ে সন্ম ডাকে—মেঝেয় গুলে কেন ? অম্লখ করবে যে ! খাটে উঠে শোও না ! Ё সুভ সংক্ষেপে বলে—থাকৃ। গরম হচ্ছে। এই বেশ আছি । তারপরে নন্দলাল অীর একটিও কথা বলতে পারে না । 影 影 壽 嶺 স্বভার খুব কঠিন অমুখ হ’ল । ননা একান্ত কাতর হয়ে পড়ে দিনরাত্রি উদ্বিগ্নচিত্তে স্বভার রোগ-পাণ্ডুর মুখের পানে তাকিয়ে বসে থাকৃত। চিত্রা অহোরাত্র নিঃশব্দে দিদির সেবা করত। নিজের সহোদরা কিম্বা আত্মজাও বুঝি এমন আন্তরিক যত্নে ও আগ্রহে সেবা করতে পারে না। ’ নন্দ মাঝে মাঝে আত্মবিস্তৃত হয়ে বিমুগ্ধ-নয়নে তম্বী চিত্রার সেবারতা মূৰ্ত্তিখানির পানে তাকিয়ে থাকৃত । কিন্তু পরমুহূর্তেই ব্যথামৃতপ্ত মুখে মুভার রোগ-শীর্ণ মুখখানির উপরে সাগ্রহে ঝুকে পড়ত। তন্দ্রাবিষ্ট স্বভার ক্লাস্ত করুণ মুখখানিতে, ললাটে, রুক্ষচুলগুলিতে গভীর স্নেহে হাত বুলাতে ব্যাকুলকণ্ঠে নল ডেকে উঠত-স্ব-স্ব-মুভি— চিত্রা ধীরপদে এগিয়ে এসে শান্ত মুম্বকণ্ঠে বলত— এখন জাগাবেন না। অনেক কষ্ট্রে এইমাত্র তন্দ্রাটুকু এসেছে । সন্ম ঘোরতর অপরাধীর মত অত্যন্ত অপ্রস্তত ও কুষ্ঠিত হয়ে পড়ত। নন্দ ভাবত মুভী তারই দোষে বোধহয় মরতে বসেছে।...কিন্তু সে নিজে স্পষ্ট কী যে ক্রটী বা অপরাধ করেছে তাও ভেবে পেত না। অথচ নিজেকে অপরাধী মনে করে সর্বদাই যেন তার কুষ্ঠামুভূতি হ’ত। স্বভা একটু একটু করে সেরে উঠল। নালালের চিন্তান্নান উদ্বেগকাতর মুখখানিতে আনহ্মের স্বচ্ছহাসি আবার ফুটে উঠল। . মুভাষিণী স্বামীর মুখের পানে তাকিয়ে ভাবত যেন একটা ছঃস্বপ্ন-রীত্রির পরে মুম্বর জালোভর প্রভাতে জাৰায়সে চোখ মেলেছে । বুলাতে . স্বভা বলত—চিত্রা না থাকূলে এবার হয়তো বঁাচতুমই না। অদ্ভুত সেবা করেছে কিন্তু । নন্ম চিত্রার প্রসঙ্গে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ত, সংক্ষিপ্ত ভাবে উত্তর দিত—হঁ্যা । + - স্বভা নদ’র মুখের দিকে চেয়ে বলত-চিত্রা যে আমাদের এত বেশী ভালোবাসে, সত্যিই জানতুম न' ।। নন এ প্রসঙ্গে চঞ্চল হয়ে উঠে কথাটা ঘুরিয়ে দিয়ে প্রসঙ্গাস্তরে’র অবতারণার প্রয়াস করত। সুভা স্বামীর কথায় কান না দিয়ে নিজের কথাই বলে চলত-ও খুব ভালো মেয়ে তা জানুভূমই। তবে ও যে আমাদের একান্তভাবে মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে ভালোবেসেছে তা' উপলব্ধি করেছি এবারকার অমুখের মধ্যে — · বারে বারে "চিত্র’ ও ‘ভালবাসে’ শব্দ দু’টি নম্বর শ্রবণপথে প্রবেশ করে বক্ষঃশোণিতে নৃত্য তুলত। সে যেন দমবন্ধ বিবর্ণ হ’য়ে উঠত। শুষ্ক অসংলগ্ন কণ্ঠে মুভার কথার জবাব দিত—ষ্ট্য খুব সেবা করেচে বটে। ব’লেই তাড়াতাড়ি বলত —ভাগ্যিস অসুখের গোড়াতেই ক'লকাতা থেকে বড় ডাক্তার জানিয়েছিলুম। স্বভা স্বামীর কথার উত্তর কিছু দিত না । অত্যন্ত অষ্টমনস্কভাবে নিমেধ উজ্জ্বল আকাশের পানে তাকিয়ে থাকৃত । নন্দ আল্লক্ষণ চুপ করে থেকে, নীরবতা সন্থ করতে না পেরে বলে উঠ ত—কী ভাবচো অত ? মুভ এইবার পরিপূর্ণ দৃষ্টিতে স্বামীর মুখের পানে তাকিয়ে বললে—একটা কথা তোমায় বোলবো । নদীর চোখে মুখে ভয়ের ছায়া সুস্পষ্ট হ’য়ে উঠল। অকারণে বুক কঁপিতে লাগল। স্বভা স্নিগ্ধ-দৃষ্টিতে স্থির নয়নে স্বামীর দিকে চেয়ে সুগভীর কণ্ঠে বললে—আচ্ছ, চিত্রাকে তুমি বিয়ে করলে কেমন হয় ?—বেশ দুটি বোনে একত্রে থাকুবে ।**•••আর —আর-আমার তো—এই পৰ্য্যস্ত বলে’ স্বভা অার বলতে পারে না। - স্বামীর কাছে নিজের বন্ধ্যান্ত্রের উল্লেখ করতে গিয়ে ওষ্ঠাগ্রে কথাটা এসেও জাটুকে গেল ! নন্ম স্বভার কথায় কেঁপে উঠল। . কী যেন একটা বলবার চেষ্টা করে, কিন্তু কণ্ঠস্বর একেবারে রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুই বলতে পারলে না । শুধু কাতর বিবর্ণমুখে মুগভীর-ব্যথাভর দৃষ্টিতে স্বভার i. পানে ছলছল করুণ নয়নে অসহায়ভাবে তাকিয়ে ! - - - - -