পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૬૨ সুভা এবার স্বামীর দিকে ব্যথিত অথচ মমতী-স্নিগ্ধ নেত্ৰে তাকিয়ে যুদ্ধ-ভসনায় মুরে বললে-ছিঃ, মত কাতর হ'লে চলে কি ? পুরুষ-মানুষ ভূমি। ভাল করে সব দিক্ ভেবে দেখ।... * . —জামরা দু’জনেতে চিরদিন থাকবে না -বাবা-মার ইচ্ছে ছিল তুমিই তোমার পুরুবায়ুক্রমে তাদের এই সম্পত্তি ভোগ কর । সে কথাটা কি ভাবা উচিত নয় ? নন্দলাল রুদ্ধকণ্ঠে বললে—মুভা— স্বভা বললে—মত কাতর হচ্ছি কেন ?.. তুমি আর আমি কি দুই ? আমরা যে একই। আমি তো কাতর झहेनि । নন্দলাল ভয়-কুষ্ঠিত মূখে সকাতর স্বরে বললে—হারে স্ব,--আমি কি সত্যিই কিছু অপরাধ করেছি ? সুভা জিভ, কেটে বললে—পাগল কি তুমি ?... অভিমান-ভরে নন্দ বললে—তবে কেন তুই এসব কথা বলছিস বল-তো ? স্বভা বললে—আচ্ছা তোমার যা কিছু জিমিষ, তা’ আমার একান্ত নিজস্ব জিনিষ, এ কথা সত্যি কি ন জবাব দাও আগে । নন্দ বিস্ময়াভিভূতস্বরে বললে--তাও কি আজ আবার নতুন করে’ বলে দিতে হবে না কি ? স্বভা এইবার স্বামীর অনাবৃত-বাহুমূলে নিজের শীর্ণ মুখখানি লুকিয়ে গাঢ়স্বরে বললে—তোমার ছেলে তা’হলে আমারই ছেলে নিঃসন্দেহ !••••••হোক না সে চিত্রার ছেলে, কিন্তু সে-তো তোমারই। তোমার যা কিছু সবই যে একান্তভাবে আমার । [ অন্ত ] নানান্‌ বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সতি্যুসত্যিই শেষে মৃন্দর সঙ্গে চিত্রার বিয়ে হ’য়ে গেল । ললার শিক্ষিত বন্ধুবান্ধবের ‘ছি ছি’ করলে । মন্দ সামুযোগে স্বভাকে বললে—তোমার জন্তই আমাকে এত দুর্গামের ভাগী হ’তে হ’ল ! মুভ করুণ হেসে বললে—কৃষ্ণ-কলঙ্কে কলঙ্ক হওয়ারও যে সুখ আছে।••••••চিত্রাকে পাওয়ার বদলে চুণাম সহ করা আর এমন বেশী কি ! নন্দ আরক্তিমমুখে অপ্রস্তুত হয়ে উঠলোঁ । প্রথম কিছুদিন স্বভা প্রাণে যেন একটা মহৎ ঔদার্যের স্পর্শ পেত, নিজেকে সে সংসারের সমতলভূমি হতে উদ্ধে অবস্থিত বলে উপলব্ধি’ করুত এবং তার জন্য একটু গৰ্ব্বণ্ড বোধ কয়ূত । তার নিজের যে অনেকখানিই পার্থক্য আছে--তার প্রবাসী-ভাঙ্গ, ులలt മാ.ക്ഷാ جمیے সংসারের সাধারণ নারীর সহিত । [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড ত্যাগশক্তি, মহত্ব ও নিঃস্বার্থতা যে এই স্বার্থপয় সংসারে বহুমূল্য এবং মহার্ঘ্য এটা যেন সে নিজেই সবচেয়ে বেশী উপলব্ধি করে আত্মহারা হয়ে পড়ত । কিন্তু এই উগ্র মাদকের মত অহঙ্কত আনন্দ বেশীদিন তার আত্মত্যাগের উদার মুখামুভূতিকে সচেতন রাখতে পারলে না তাহা ক্রমশঃই পাতলা হয়ে আসতে লাগল।•••••• সঙ্গে সঙ্গে দারুণ অবসরতা ও শুষ্ঠতাবোধ । বিয়ের পর সুভা চিত্রাকে বেশী করে যত্ন-আদর করতে লাগল। কিন্তু মাত্র কয়েক মাস ••• নিজের হাতে সযত্নে কবরী রচনা করে দিয়ে মুখে ক্রিম্ পাউডার মাখিয়ে—কাপড়ে এসেন্স ঢেলে দিয়ে সরয়কুষ্ঠিতা আরক্তমুখী চিত্রাকে সুভ। স্বামীর ঘরে গল্প করতে পাঠিয়ে দিত । তারপর খানিক বাদে মৃদ্ধ হাসি-মাক সকৌতুক মুখে সুভা জানালার বাইরে খড়গড়ির কাছে দাড়িয়ে আড়ি পাতত । রুদ্ধদ্বার গৃহাভ্যন্তরে তখন একটি মধুর দৃষ্ঠের অভিনয় চলেছে । লজ্জারণা তরুণী চিত্রার ললাটের ক্ররেখা-অবধি নামান নীলাম্বরী-অধগুণ্ঠনখানি উন্মোচনের জন্ত নন্দলালের সে কী ব্যাকুল প্রয়াস ! প্রিয়ার মুখের একটিমাত্র বাণী শুনার জন্ত কি নিবিড় সাধ্যসাধনা !r••••• তাদের কথাবাৰ্ত্ত বাইরে থেকে কিছু শোনা না গেলেও মধুর মুখবিহবল স্বপ্নাবিষ্ট চাহনি, অধরের হাসি ভূষিত অথচ সলজ্জ ভঙ্গীটুকু মুস্পষ্টই দেখা যেত। ননালালের পানে বিস্ফারিতনয়নে তাকিয়ে সুভার মনে হ’ত—এ নন্দলাল যেন আর একজন নতুন মানুষ। এর এই প্রেমাবিষ্ট চাহনি, মুখবিহ্বল হারি, আত্মহারা একাগ্রতন্ময় মুখভাব-এর সঙ্গে ত সুভার আশৈশবের—জাযৌবনের অতিপরিচিত নন্দলালের সাদৃপ্ত নেই। আর ঐ নূতন ননালালের বক্ষোনিবদ্ধ লতার মত এলিয়ে-পড়া, সলজ্জস্থাবেশে অধিমুদিতনয়ন মেয়েটি— এই কি নিৰ্ব্বিকার মৌনপ্রকৃতি শাস্তুসংযত বিষাদকরুণমুখী চিত্র ! মিনিট পনেরো বাতায়নের ছিদ্রে চোখ রেখে দাড়িয়ে —তারপর সুভ আর দাড়াতে পারলে না। টলতে টলতে এসে নিজের শূন্তঘরের মেঝের অৰ্দ্ধমূৰ্ছিতার মত লুটিয়ে পড়ল। श्रांत्र श्छांद्र थषय मtन श्ण प्रांशै-ढौब्र यtथा शनि প্রেম সুন্দর ও সজীব হয়, তাহলে তাদের মধ্যে চিন্মদিন ।