পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা] পরম-ভূষা حجم مبہممجمہ یہ بیمہ rי निङ नशैनउ ७ दक्लिबांश्छूलिe अरशष्टांशै। क्रुि তারা কি কোনও দিন পরম্পর পরস্পরকে সম্পূর্ণ নূতন করে’ উপলব্ধি করতে পেরেছে ? নিবিড়বিস্ময়ে একে অপরের পানে তাকিয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে ? যে-প্রেমে প্রেমাম্পদকে অপূৰ্ব্বরূপে দেখ বার সুযোগ নেই—ষাকে চাইবার আগেই পাওয়া যায়,--যার জন্ত হৃদয়ে বেদনা, অভাব এবং ব্যাকুলতা অনুভবের অবকাশ ঘটে না-সে-প্রেম যত গভীরই হোকৃ না কেন,- সে প্রেম বুঝি মানব-চিত্তে নিত্য নব-অমৃত পরিবেশন করতে পারে না!—তাহা জীবনকে পরমউপভোগ্য করে তুলতে বোধ হয় অসমর্থ।. আজ অকস্মাৎ সুভাষিণীর মনে হ’ল--অখণ্ড-মিলনে মিলনের আনন্দ মলিন নিরুজ্জ্বল হ’য়ে যায়। মিলনের আনন্দকে উজ্জ্বল ও রম্য ক’রে তুলতে হ'লে বিরহ-অনলে দীপালির প্রয়োজন!...স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরহ, সাময়িক মনোমালিন্য, অভিমান, রাগ, কলহ-এর যে প্রেমকে আরও উজ্জল প্রদীপ্ত ও ঘন-নিবিড় ক’রে তোলে এর একটা অস্পষ্ট-ধারণা স্বভার চিত্তে ছায়া বিস্তার করল। - স্বভা চিত্রাকে স্বামীর সঙ্গে নূতন আলাপ সম্বন্ধে প্রশ্ন করত। কুষ্ঠিত-চিত্র লজ্জাভারে মুয়ে পড়ত। তার সৰ্ব্ব-অবয়বে গভীর গজ ও গোপন-পুলকের বিচিত্র ংমিশ্রণে একটি অপরূপ-সৌন্দৰ্য্যত্র উদ্ভাযিত হ’য়ে উঠ ত । স্বভা দেখত স্বামীরও চোখেমুখে সলজ্জ গভীর আবেশের ছায়া 1•••নয়নের দৃষ্টি,-অধরের হাসি—তার অন্তরলোকের মধু-রজনীর বসন্ত-উৎসবের আভাস বাইরে এনে দিত।••• মনে হ’ত সে যেন মাদক পান করেছে |•••চোখেমুখে তারই গোলাপী-নেশা জড়িয়ে আছে!••• স্বভা ভাবৃত সে’ও তো তার নবযৌবন-প্রভাতে স্বামীর পাশেই ছিল । কিন্তু কোনও দিন তো স্বামীর নয়নে এ স্বপ্ন-বিহবলতা দেখতে পায়নি!.. চিত্রা পান সাজ ত—নন তার পাশ দিয়ে চলে যেতে যেতে চটু করে অবগুণ্ঠনটা খসিয়ে দিয়ে কবরীর একটা কাটা খুলে দিয়ে চলে’ যেত । চিত্রার মুগেীর মুখখানি রাঙা হ’য়ে উঠত। কপটক্রোধে স্বামীর প্রতি ভ্ৰকুট করে—কিন্তু দৃষ্টিতে সগ্ৰেমহালি উৎসারিত হ’য়ে আসত। অকারণ-প্রয়োজনের মিথ্য-ছলে নক্ষ কতবারই না অনারের ভিতরে মানগোনা করত। তার শ্রবণ যেন সৰ্ব্বণ উৎকর্ণ-দৃষ্টি যেন সদাই ক'র জন্ত ? . . . . দূর হতে হয়তে চিত্রার সঙ্গে এক নিমেষের তরে চোথা-চোখি হ’ত, উভয়েরই মুখে আনন্দ্রের বিদ্যুৎ খেলে যেত । e সুভার সামনে কোনও অসতর্ক মুহূর্তে ধরা পড়ে’ গেলে উভয়েই রাঙা হ’য়ে উঠত। অপরাধীর মত অপ্রতিভ মুখে ছ’ জনে ছ' দিকে সরে যেত। মুভ অন্তমনস্ক চিত্তে ভাব ত—সে তো কখনও ননকে দেখে অমনতর আনন্দে উজ্জল হ’য়ে ওঠেনি। কারুর সাম্নে ধরা পড়লে মধুর লজ্জায় অমনতর রাঙা হ’য়ে ওঠেলি 1•••••• অবগুণ্ঠনের আড়ালে থেকে সবাইকে লুকিয়ে छूब्रि করে স্বামীকে দেখার গোপন পুলকের স্বাল কেমন,--তা তোলে কখনও জানতে পায়নি! সে তার স্বামীকে পেয়েছে—দ্ধি প্রহরের অনাবৃত প্রখর আলোয়—সহস্র মানবের দৃষ্টির সাম্নে। সেক্ষণের আলোর দীপ্তি যতই থাকুক্‌ মাধুর্য কিছু নেই। উষার আলো-ছায়ার লুকোচুরির মধ্যে যখন সহস্র বর্ণের বিচিত্র লীলা—সে লগ্নে সবার প্রখর দৃষ্টির অন্তরালে নির্জনে স্বামীকে পেয়েছে চিত্ৰ ! চিত্রা হতে সে তার অনাস্বাদিত মাতৃজীবনের রসাস্বাদন করতে পাবে, এই প্রলোভনেই চিত্রাকে স্বেচ্ছায় এবং একপ্রকার সাগ্রহেই সপত্নী করেছিল সুভা। কিন্তু চিত্র এ কী অনাস্বাদিত জীবনের তৃষা জাগিয়ে তুললে তার ---ধ।’ তার 'মা' হওয়ার সাধের চেয়েও অঙ্গে বড় হ’তে চাইছে –যা তার ইহজন্মে পূর্ণ হয়নি হবে না এবং হ’তে পারেই না। সুভা নিঃশব্দ-বেদনায় শরাহত পার্থীর মত আপনার মৰ্ম্ম-কোটরের মধ্যে ছটফট করুত !...অভিমানকুন্ধ আঁথি মেলে চারিদিকে অসহায়ভাবে তাকাত। মনে হ’ত তাঁকে 'আপনার’ বলে একান্তভাবে কাছে টেনে নেবার কেউ নেই। নিজেই মনে মনে ভাবত-সতীনের প্রতি ঈর্ষার জালা হয়তো একেই বলে। এইই হয়তো হিংসা বিষ । স্বভা ভয়ে আপন আপনি চোখ বুজত। কায়মনোচিত্তে ভগবানকে স্মরণ করত-–হে ভগবান । আমি আর মা হ'তে চাই না। আর ছেলেও চাই না,—স্বামীও চাই না । আমাকে পাপ হ’তে বাঁচাও,নীচতা হ’তে রক্ষা কর, প্ৰভু !••• - -- ". তামার মু-দর্শনচক্রে আমার দৃষ্টিতে স্ন-দর্শন এনে দাও,. —মামার মৰ্ম্মে ক্ষ-দর্শন দান কর— . . . . ^^^^^