পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । SASAMAAA AAASA SAASAASAA AAAAMMSAMMAMAMASAMAAASAASAASAA AA ASASASA AAAAASAAAA অবিশ্রাম আকর্ষণের সঙ্গে বিরোধ। জড়তার বৃহ চারিদিকেই, দেহের প্রত্যেক যন্ত্রই তার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রবৃত্ত। হৃদযন্ত্র চলচে, দিনে রাত্রে নিদ্রায় জাগরণে ; জড় রাজ্যের প্রকাও নিক্রিয়তা সেই চলার বিরুদ্ধ, মুহূর্তে মুহূর্ক্সেই সে ক্লাস্তির বাধ বাধতে চায়, যতক্ষণ জোর থাকে হৃদযন্ত্র মুহূর্বে মুহূর্তেই সেই বাধাকে অপসারণ করে চলে। বাতাস জামাদের চারিদিকে আপন নিয়মে প্রবাহিত, তাকে প্রাণের ব্যবস্থাবিভাগ আপন সিয়মের পথে প্রতিক্ষণেই বলপূর্বক চালনা করে। রোগের কারণ ও বীজ অস্তরে বাহিরে সর্বত্রই, দেহের আরোগ্য-সেনানী তাকে সৰ্ব্বদাই আক্রমণ করচে—এর আর অবসান নেই। জড়ধৰ্ম্মের সঙ্গে জীবধৰ্ম্মের, রোগশক্তির সঙ্গে আরোগ্য শক্তির নিরবিচ্ছন্ন যুদ্ধক্রিয়াকেই বলে প্রাশক্রিয়া । সেই সচেষ্ট শক্তি যদি ক্লাস্ত হয়, এই প্রবল বিরোধে যদি শৈথিল্য ঘটে, দেহব্যবস্থায় চলার চেয়ে না চলার প্রভাব যদি বেড়ে ওঠে, তবেই বিকৃতি ও মলিনতায় দেহ কেবলি অশুচি হ’তে থাকে, তখন মৃত্যুই করুণারূপে অবতীর্ণ হ’য়ে এই শ্রান্তসংগ্রাম পরাভবকে জীবজগৎ থেকে অপসারিত ক'রে দেয়। সমাজ দেহও সঞ্জীব দেহ। জড়ত্বের মধ্যেই তার সমস্ত অমঙ্গল । সমাজের যুদ্ধ-কুশল প্রাণধৰ্ম্মকে বুদ্ধির মানত, সংকল্পের দৈন্ত, জ্ঞানের সঙ্কীর্ণতা, প্রতি মৈত্রীর দৌৰ্ব্বল্যের সঙ্গে কেবলি বিরোধ জাগিয়ে রাখতে হয়। চিত্তের অসাড়ত . তার সকলের চেয়ে বড়ো শত্রু। চিত্ত যখন আপন কর্তৃত্বকে খৰ্ব্ব করে স্থাবর হয়ে বসতে চায় তখনি তার সর্বত্রই বিকৃতির আবর্জনা জ’মে উঠে তাকে অবরুদ্ধ ক’রে দেয়। এই অবরোধেই মৃত্যুর আরম্ভ। এই সময়ে আসেন যে মহাপুরুষ তিনি জড়ত্বপুঞ্জের মধ্যে প্রবল বিরোধ নিয়ে আসেন, নিৰ্ব্বিচার প্রথার দ্বারা চালিত দীনাত্মা তাকে সহ করতে পারে না। সুদীর্ঘকাল থেকেই ভারতবর্ষে ইতিহাস স্তম্ভিত হ’য়ে আছে। কতকাল এই দেশ নিজে চিত্ত করে নি, চেষ্টা করে নি, স্বষ্টি করে নি, বুদ্ধিপূৰ্ব্বক নিজের অন্তর-বাহিরের সস্বাঙ্গন করেনি, ভার সক্রিয় সঙ্কল্প শক্তি নব নব ব্যবস্থার দ্বারা নব নব কালের সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করে নি। স্বাস্থ্যদৈন্ত, ناحسسه S s রামমোহন রায় b*aసి SSAS A SAS SSAS SSAS SSAAAASA SAASAASSAAAAAASAAAA AAAAAA AAAASASASS অল্পদৈন্ত, জ্ঞানলৈষ্ঠ একে একে তার প্রাণের প্রায় সকল শিথাই স্নান ক’রে এনেচে । শতাব্দী থেকে শতাব্দীতে তার পরাভব বিস্তীর্ণ হয়ে চলল। মানুষের পরাভব তাকেই বলে যখন তার আপন ইচ্ছায় অরাজকতা ঘটে এবং বাহিরের ইচ্ছ। শূন্ত সিংহাসন অধিকার করে বসে, যখন তার নিজের বুদ্ধি অবসর নেয়, বাহিরের বুদ্ধি তাকে চালনা করে,—সেই বুদ্ধি তার স্বজাতির অতীত কাল থেকেই তাকে অভিভূত করুক, বা অন্তজাতির বর্তমান কাল থেকে এসেই তাকে ঘুরিয়ে বেড়াক। মামুষের পরাভব তাকেই বলে যখন তাঁর আত্মার কর্তৃত্ব আড়ষ্ট হয়, যখন সে কালপরম্পরাগত অভ্যাস-যন্ত্রের চাকগুলোকে অন্ধভাবে ঘুরিয়ে চলে, যখন সে যুক্তিকে স্বীকার করে না, উক্তিকে স্বীকার করে, আস্তরধৰ্ম্মকে খৰ্ব্ব ক’রে বাহ কৰ্ম্মকে প্রবল ক’রে তোলে । কোনো কুট কৌশলের দ্বারা বাহিরের কোনো সঙ্কীর্ণ সংক্ষিপ্ত পথে এই স্থবিরত্বভারমন্থর মামুষের পরিত্রাণ নেই। এমনতর বহুযুগব্যাপী অন্ধতার দিনে দেশ যখন নিশ্চলতাকেই পবিত্রতা বলে স্থির করে নিন্তব্ধ ছিল এমন সময়েই ভারতবর্ষে রামমোহনের আবির্ভাব । দেশকালের সঙ্গে অকস্মাৎ এমন প্রকাও বৈপরীত্য ইতিহাসে কদাচিৎ ঘটে। তার দেশ-কাল তাকে উচ্চৈঃস্বরে অস্বীকার করেছিল। সেই অসহিষ্ণু অস্বীকৃতির দ্বারাই দেশ তার মহোচ্চতাকে সৰ্ব্বকালের কাছে ঘোষণা করেচে। এই পরুষ কণ্ঠের গর্জনধ্বনির চেয়ে আর কোনো উপায়ে স্পষ্টতর ক’রে বলা যার না যে, তিনি এদেশে অন্ধকারের বিপক্ষে আলোকের বিরোধ এনেছিলেন, তিনি অভ্যস্ত দুৰ্ব্বল বচনের পুনরাবৃত্তি করে জড়বুদ্ধির অমুমোদন করেন নি ; চাটুলুদ্ধ জনতার খ্যাতিগর্বিত অগ্রণীত্ব করার আত্মাবমাননাকে তিনি অগ্রাহ করেছিলেন ; তিনি উদ্যতদও জনসত্তেম্বর মূঢ় প্রতিকুলতাকে ভয় করেন নি, এবং তাদের নিবেদিত অন্ধভক্তির প্রলোভনে সত্যপথ থেকে লেশমাত্র বিচলিত হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব ছিল। তিনি বহুযুগের পূজাবেদীতে আসীন জড়ত্বকে আঘাত করেছিলেন এবং জড়ত্ব তাকে ক্ষমা করেনি। তিনি জানতেন সকল প্রকার জড়ত্বের মূলে আত্মার