পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ]_ অতিরঞ্জিত নছে। তিনি স্পষ্টই বলিতেছেন, “আমি যাহা দেখিতেছি, তাহাই লিখিতেছি ।” বঙ্কিমচন্দ্র বৃক্ষরাজিশোভিত উদয়গিরি দূর হটতে দর্শন করিয়া মুগ্ধ হইয়াছিলেন,কিন্তু সে স্থানের স্তুপ,মন্দির, মূৰ্ত্তি প্রভৃতির সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ পরিচয় সম্ভবতঃ হয় নই। রত্নগিরির তিনি নাম করেন নাই। কিন্তু এই তিনটি গিরিশিখরের কোনটিই শিল্পগৌরবে অপরটি অপেক্ষা হীন নহে। এই গিরিত্রয় উড়িষ্যাপ্রদেশের কটক জেলায় পরস্পর হইতে অদূরে ব্যবস্থিত। বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের ধানমণ্ডল ষ্টেশন ( কটক হইতে ২২ মাইল এবং কলিকাতা হইতে ২৩২ মাইল ) হইতে বিরূপ নদীর তীরে বালিচন্দ্রপুর আট মাইল। এস্থান হইতে ললিতগিরি তিন মাইল দক্ষিণদিকে এবং উদয়গিরি সাড়ে চারি মাইল পুৰ্ব্বে । উদয়গিরি হইতে রত্নগিরি আরও তিন মাইল পূৰ্ব্বে। উদয়গিরির শিখরদেশ হইতে ললিতগিরি এবং রত্নগিরি উভয় শিধরই দেখিতে পাওয়া যায়। ললিতগিরির পাদদেশে এবং উদয়গিরির সন্নিকটে গোপালপুরে ডাক বাংলা আছে। ধানমণ্ডল হইতে গে যানে অথবা পালকীতে সকল স্থানেই যাওয়া যায়। শীতকালে মোটরযান চলিতে পারে। উদয়গিরি অসিয়া নামক পৰ্ব্বতশ্রেণীর একটি শিখর, ললিতগিরি ও রত্নগিরি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র । ভুবনেশ্বরের সন্নিকটস্থিত থগুগিরির পাশ্ববৰ্ত্তী উদয়গিরির সহিত এ উদয়গিরির কোনও সম্বন্ধ নাই । শ্ৰীযুক্ত চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায় এবং বীম্স্ সাহেব উদয়গিরি ও ললিতগিরি সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিৎ বিবরণ বাঙ্গালা এশিয়াটিক সোসাইটীর পত্রিকায় ১৮৭০ ও ১৮৭৫ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রকাশিত করিয়াছিলেন এবং বীম্স্ সাহেব কয়েকটি প্রতিমূৰ্ত্তি প্রভৃতির স্বাস্তাঙ্কিত চিত্রও দিয়াছিলেন। রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র মহাশয় স্বয়ং এস্থানে গমন করেন নাই। কিন্তু তাহার উড়িষ্যার প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থে (Antiquities of Orissa) বীম্স্ কর্তৃক অঙ্কিত চিত্রের প্রতিরূপ প্রদান করিয়াছিলেন। কিন্তু সাংহবের চিত্রগুলি মূল মূৰ্ত্তির এত হৗন অনুকরণ যে তাহাতে তৎপ্রতি কলাবিদগণের দৃষ্টি श्रांङ्गळे झग्न नांझे । উড়িষ্যায় স্ববৃহৎ প্রাচীন বৌদ্ধপীঠ । SMMMAMAMAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAASASASS सूःडङ्ग छोशी (ललिउििद्र) ললিতগিরিতে বঙ্কিমচন্দ্ৰ অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূৰ্ব্বে যে সমুদয় অনিন্দ্যমুন্দর প্রস্তরমূৰ্ত্তি দর্শনে বিমুগ্ধ হইয়াছিলেন তাহার অনেকগুলি বর্তমানে ভগ্ন, নষ্ট, স্থানচ্যুত, মৃত্তিকাগর্ভস্থ অথবা বিক্রীত হইয়া গিয়াছে । কিন্তু এখনও শিল্পগৌরব সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হর নাই। একটি সুবিশাল উপবিষ্ট বুদ্ধ-মূৰ্ত্তি দিব্য সৌন্দর্য্যে ললিতগিরির শিখরদেশ এখনও উজ্জ্বল করিয়া রাখিয়াছে। কি মুখশ্ৰী, কি দেহের অঙ্গানুপাত, সৰ্ব্ববিষয়েই এ মুর্তির লালিত্য অতুলনীয়। কটিদেশ হইতে মস্তকের উষ্ণীষ পৰ্য্যন্ত উচ্চতা ছয় ফুট তিন ইঞ্চি, স্কন্ধদেশের বিস্তৃতি তিন ফুট তিন ইঞ্চি এবং উরুদেশের বিস্তৃতি প্রায় সাড়ে পাচ ফুট। লোচনায় ধ্যানস্তিমিত, দক্ষিণ কর ভূমিম্পৰ্শ-মুদ্রান্বিত এবং বাম হস্ত ধ্যান মুদ্রান্বিত, উৎসঙ্গে উত্তানভাবে রক্ষিত ; পদদ্বয় বজপর্যাঙ্কাসনে নিবদ্ধ। কেশ কুঞ্চিত, ক্রদ্ধয় মধ্যে উর্ণ এবং মস্তোকোপরি উর্ষীব। ইহাই বৌদ্ধ গ্রন্থানুসারে বজ্রাসন বুদ্ধমূৰ্ত্তি। বুদ্ধদেব বোধি লাভকালে মার বিজয়ের সাকিস্বরূপে ভূমিকে স্পর্শ করিতেছেন। -